সারাক্ষণ প্রতিবেদক
গত ২১ জুন ছিল বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। দিনটিকে বাংলাদেশেও বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গীতানও বিশেষভাবে উদ্যাপনের চেষ্টা করেছে। ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’ সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১১ জন যন্ত্রশিল্পী সমবেত অর্কেস্ট্রায় সানফ্লাওয়ার পরিবেশনা করে।
এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রূপসা, মীম, হিমাদ্রি, হীরক, বর্ণালী, সুস্মিতা, সুচিত্রা, শাওন। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হিসেবে দেশাত্ববোধক গান ‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদেরই বুসন্ধরা’ ও আধুনিক গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি একসঙ্গে মঞ্চে উঠে পরিবেশন করেন অনুপমা মুক্তি, পান্থ কানাই, সাব্বির, রাজীব, রাশেদ, এলিটা, ইউসুফ, হৈমন্তী রক্ষিত, অপু আমান, পুলক অধিকারী, কিশোর, ঝিলিক, স্বরলিপি, অবন্তী সিঁথি, অনিমেষ, প্রিয়াঙ্কা, কর্ণিয়া, আরমিন’সহ আরো অনেকে। শিল্পীদের এই সঙ্গীত পরিবেশনা শেষে মঞ্চে উঠে আসেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি এমন চমৎকার একটি আয়োজনের জন্য নেপথ্যে থাকা একাডেমির সবার প্রতি আান্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে অংশগ্রহণ করা সব শিল্পীর প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পুরো অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি তার ভীষণ ভালোলাগার কথাও প্রকাশ করেন তার অভিব্যক্তিতে। শিল্পকলা একাডেমির সংশ্লিষ্টরা এমন একটি শতভাগ সফল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ অনুপমা মুক্তি বলেন, ‘এমন আয়োজনে অংশ গ্রহন করতে পারাটাই আসলে ভীষণ আনন্দের। শিল্পকলা একাডেমির এই ধরনের আয়োজনে সোমা আপা, শামীমা আপার আহ্বানে আমরা শিল্পীরা সবসময়ই নিবেদিত হয়ে অংশগ্রহন করি।’ রাজীব বলেন, ‘দুটো গানই আমরা শিল্পীরা ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে একসঙ্গে পরিবেশন করেছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য।’
ঝিলিক বলেন, ‘সঙ্গীত দিবসে সবার সঙ্গে একটি আয়োজনে দেখা হয়, গল্প হয় এটাও এক ধরনের আনন্দ।’ রাশেদ বলেন, ‘কিছুটা সময়ের জন্য সবাই একত্রিত হতে পারার মধ্যে ভালোলাগা কাজ করে। এজন্য বিশেষ দিবসকে উপলক্ষ্য করে শিল্পকলো একাডেমির এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার।’ অনুষ্ঠানে ইয়াসমিন আলীর সঙ্গীত পরিচালনায় ঢাকা সাংস্কৃতিক দল বিদেশি সাতটি ভাষার গান পরিবেশন করে।