পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতার জন্যে জরুরী কিছু বিষয় (ক)
১. অভ্যাস
বাস্তবে মানুষের জীবনের একটি বড় সম্পদ তার অভ্যাস। শিশুকাল থেকে এ অভ্যাস গড়ে ওঠে। এবং অভ্যাসের সঙ্গে মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে যায় যে সে সব সময় বুঝতে পারে না তার অভ্যাসগুলো কী কী? আর খুব দ্রুত বা শতভাগ তার পুরোনো অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারে খুব কম সংখ্যক মানুষ। কিন্তু স্মার্ট লিডারকে যে কোন মূল্যে বা কাজের প্রয়োজেনে্ তার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। অভ্যাসকে অবশ্যই কাজের সঙ্গে সমঞ্জস করতে হবে। এই মানসিক ও ব্যবহারিক শক্তি তাকে অর্জন করতে হবে।
২. সামাজিক রীতি নীতি (সোশ্যাল নর্মস )
সোশ্যাস নর্মস বা সামাজিক রীতি নীতি বোঝা ও তার সঙ্গে বেড়ে ওঠা সর্বোপরি তার সঙ্গে নিজেকে প্রতি মুহূর্তে মানিয়ে নেয়া স্মার্ট লিডারের অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কারণ, সব কিছুই সমাজকে ঘিরে;তাই সামাজিক নর্মস এর সঙ্গে যে যত বেশি আত্মস্থ হয় এবং সামাজিক রীতি নীতির সঙ্গে যে যত বেশি নিজের জীবনাচারণকে এক করে নেয় ততই সে নেতা হিসেবে নিজেকে বিকশিত করতে পারে। কারণ, ব্যক্তি জীবন, সংগঠন, টিম, কোম্পানি এমনকি রাষ্ট্রের বিকাশও নির্ভর করে সমাজের ওপর। তাই সমাজের সঙ্গে যে যত বেশি এক হতে পারবে, এবং ক্রমান্বয়ে সমাজের নেতা সোশ্যাল এলিট হিসেবে নিজেকে যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবে ততই সে নেতা সফল হবে।
৩.আনুষ্ঠানিক নিয়মাবলী বা ফর্মাল প্রসেসে
যে কোন কাজের ক্ষেত্রে একটি আনুষ্ঠানিক নিয়ামবলী থাকে। এমনকি ব্যক্তি জীবনেরও অনেক কিছু আনুষ্ঠানিক নিয়মের মধ্যে পড়ে। ব্যক্তি জীবনও সব সময় ইনফরমাল পথে চলে না।
তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে কাজের বিষয়ে নেতাকে সব সময়ই আনুষ্ঠানিক নিয়ামাবলী মানতে হয়। অনেক সময় নেতা আবেগ বা তথাকথিত মানবিকতায় তাড়িত হয়ে অনেক কিছু ইনফরমাল কাজ করে কিন্তু দেখা যায় সেগুলো শেষ অবধি ভুল বা যথেষ্ট ভালো হয় না।
কারণ, একটা বিষয় মনে রাখতে হয় পৃথিবীর সব কিছুই সংগঠন পরিবার, থেকে আর্মি আবার আর্মি থেকে কোম্পানি বা রাষ্ট্র সবই সংগঠন। তাই এর সবখানেই ইনফরমালের স্থান কম। আর সংগঠন হিসেবে আর্মির সফলতার বেশি কারণও কিন্তু সেখানে আনুষ্ঠানিক নিয়মাবলী সব থেকে বেশি মানা হয়।
Leave a Reply