সারাক্ষণ ডেস্ক
শারিরীকভাবে সুস্থ থাকতে হলে মানুষের জীবনে কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ কিডনি মানুষের শরীরে রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল ফিল্টার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তবে কিছু খাবার এমন আছে যা মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমানে চাপ প্রয়োগ করে থাকে।তাই কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত। কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা দরকার।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেনঃ
১) লবণযুক্ত খাবারঃ অধিক পরিমানে লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, ফলে তা কিডনি রোগের একটি বড় কারণ হতে পারে। কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমনঃ টিনজাত স্যুপ,লবনযুক্ত স্ন্যাকস এবং প্রক্তিয়াজাত মাংসে অনেক সময় লবণ বেশি থাকে। তাই এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া উচিত যে খাবারে লবণের পরিমাণ কম থাকে।
২) প্রক্রিয়াজাত মাংসঃ বেকন ,সসেজ এবং ডেলি মাংসের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রোটিন বেশি থাকলেও এতে অ্যাডিটিভ এবং অধিক পরিমানে লবণ থাকে। অধিক প্রোটিন কিডনিতে চাপ প্রয়োগ করতে পারে।এতে করে কিডনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।যদি বিশেষ করে খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া হয়।
৩) চিনি এবং মিষ্টিঃ চিনি ও অধিক পরিমানে মিষ্টি জাতীয় খাবার যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকিও অনেক বাড়ায়। মিষ্টিজাতীয় পানিয় যেমনঃ সোডা,এনার্জি ড্রিংকস ও কিছু ফলের রস যা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ভেষজ চা ও মিষ্টি ছাড়া পানীয় বেছে নেওয়া উত্তম।
৪) প্রোটিন জাতীয় খাবারঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তবে বিশেষ ধরনের লাল মাংস ( রেড মিট) প্রচুর পরিমানে কিডনিতে চাপ বাড়াতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার মটরশুটি,মসুর ডাল ইত্যাদি সুষম ভিত্তিক খাদ্য বেছে নেওয়া দরকার।
৫) মদ্যপানঃ অধিক পরিমানে মদ্যপানীয় পান করার ফলে ডিহাইড্রেশন ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে যা কিডনির উপরে প্রভাব ফেলে। তাই অধিক পরিমানে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে । যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটা মানুষের খাদ্যতালিকা আলাদা।তাই কিডনি সুস্থ রাখতে ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য ডাক্তার অথবা নিবন্ধিত খাদ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শাকসবজি ,তাজা ফল,এবং চর্বিহীন প্রোটিন জাতীয় সুষম খাদ্য বজায় রাখলে কিডনির স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে বজায় রাখতে অনেক সহায়তা করে থাকে। খাবারে ছোট পরিবর্তন কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
Leave a Reply