০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৬) চিতা-বাঘের শেষ আলোঝলক ঢাকা শহরের বাস সেবা: আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ

ঈদে কেমন নাটক দেখতে চায় গৃহিণীরা?

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • 37

ফয়সাল আহমেদ

 

ঈদের নাটকে সব সময় আলাদা একটা বৈচিত্র্য থাকে। দর্শক টানতে ঈদের নাটক নিয়ে নানা পরিকল্পনা করে টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো। গল্প, অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাণে থাকে নানা চমক। বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম বাংলা নাটক। এক সময় বাংলাদেশের টিভি নাটক অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকায় টিভিতে নাটক না দেখে সবাই ফোন বা ট্যাবেই বেশি নাটক দেখে। তবে এখনো অনেক গৃহিণীরা আছেন যারা ঈদে টিভিতে বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করেন।

 

কয়েকজন গৃহিণীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলে, ঈদে কেমন নাটক দেখতে চায় তারা?

 

গৃহিণী শাহানাজ আক্তারের (৩২) বাসা সাত রাস্তা নাবিস্কো মোড়ের কাছেই। তার মতে, এমনিতে বাংলা নাটক দেখা না হলেও ঈদের সময় বাংলা নাটক দেখি। এখনো বেশ ভালো ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে। কমেডি নাটকগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। তবে বর্তমানে চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিম, জাহিদ হাসান এসব গুণী অভিনেতাদের নাটক খুব একটা দেখা যায় না। তবে তারা নাটকে নিয়মিত হলে নাটক দেখার আগ্রহ আরো বাড়বে। নতুন শিল্পীদের চেয়ে আমার কাছে তাদের অভিনয় সব সময়ই ভালো লাগে।

 

 

কবিতা আহমেদ (৩৬) বলেন, বাংলা নাটক এখন আর দেখা হয় না। আগে অনেক বাংলা নাটক দেখতাম কিন্তু এখন আর ভালো লাগেনা। আগে যে সব নাটক দেখতাম, এখনকার নাটক তেমন ভালো লাগে না। হয়তো আমার চেয়ে যারা কম বয়সী তাদের কাছে এখনকার নাটক ভালো লাগে কিন্তুআমার কাছে  ভালো লাগে না, তাই দেখি না। ভালো না লাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে অশালীন  ভাষা আর অতিরিক্ত মিউজিক। এসব যদি নাটকে না থাকে তাহলে হয়তো আবার নাটক দেখা শুরু করবো।

 

মহাখালির বাসিন্দা গৃহবধূ রাবেয়া (২৮) বলেন, শুদ্ধ এবং শালীন ভাষার নাটক দেখতে চাই। নাটকে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার না করে বইয়ের ভাষা ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে আমরা সকলেই ভাষাটি সুন্দরভাবে বুঝতে পারবো। টেলিফিল্ম এর পাশাপাশি সাত ও তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটকগুলো দেখতাম আগে, যা এখন একদম কমে গেছে। আমি চাই ঈদের এই ধারাবাহিক নাটকগুলো আবার ফিরে আসুক।

 

 

 

পুষ্প খানোম (২৯)। বাসা মিরপুর – ১০ নম্বরে। তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে বর্তমানে টিভিতে খুব একটা নাটক দেখা হয় না। তবে ইউটিউব চ্যানেলে নাটক দেখি। ভাল ভাল গল্পেরই নাটক দেখি। তবে কিছু কিছু নাটকের অভিনেতা এবং গল্প কোনটাই ভালো হয়  নয়। কিন্তু তারপরও নাটকের ভিউয়ার্স দেখি অনেক!  তাই আমার মতে ভিউয়ার্সদের রুচির পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে বাংলা নাটক আরো সমৃদ্ধ হবে।

 

 

আনজুমান (৩৮) বলেন, ঈদের মধ্যে এমন নাটক চাই যাতে ফ্যামিলির সবাই মিলে দেখতে পারি। নাটকে অশ্লীল ডায়লগ খুব বিরক্তিকর । এসব বিষয় নাটকে থাকলে ফ্যামিলির সবাই মিলে দেখা সম্ভব হয় না। আর পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কিছু কুরুচিপূর্ণ দর্শকের জন্য রুচিশীল মানুষদের নাটক দেখা যাতে বন্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা

ঈদে কেমন নাটক দেখতে চায় গৃহিণীরা?

০৪:০০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ফয়সাল আহমেদ

 

ঈদের নাটকে সব সময় আলাদা একটা বৈচিত্র্য থাকে। দর্শক টানতে ঈদের নাটক নিয়ে নানা পরিকল্পনা করে টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো। গল্প, অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাণে থাকে নানা চমক। বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম বাংলা নাটক। এক সময় বাংলাদেশের টিভি নাটক অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকায় টিভিতে নাটক না দেখে সবাই ফোন বা ট্যাবেই বেশি নাটক দেখে। তবে এখনো অনেক গৃহিণীরা আছেন যারা ঈদে টিভিতে বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করেন।

 

কয়েকজন গৃহিণীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলে, ঈদে কেমন নাটক দেখতে চায় তারা?

 

গৃহিণী শাহানাজ আক্তারের (৩২) বাসা সাত রাস্তা নাবিস্কো মোড়ের কাছেই। তার মতে, এমনিতে বাংলা নাটক দেখা না হলেও ঈদের সময় বাংলা নাটক দেখি। এখনো বেশ ভালো ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে। কমেডি নাটকগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। তবে বর্তমানে চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিম, জাহিদ হাসান এসব গুণী অভিনেতাদের নাটক খুব একটা দেখা যায় না। তবে তারা নাটকে নিয়মিত হলে নাটক দেখার আগ্রহ আরো বাড়বে। নতুন শিল্পীদের চেয়ে আমার কাছে তাদের অভিনয় সব সময়ই ভালো লাগে।

 

 

কবিতা আহমেদ (৩৬) বলেন, বাংলা নাটক এখন আর দেখা হয় না। আগে অনেক বাংলা নাটক দেখতাম কিন্তু এখন আর ভালো লাগেনা। আগে যে সব নাটক দেখতাম, এখনকার নাটক তেমন ভালো লাগে না। হয়তো আমার চেয়ে যারা কম বয়সী তাদের কাছে এখনকার নাটক ভালো লাগে কিন্তুআমার কাছে  ভালো লাগে না, তাই দেখি না। ভালো না লাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে অশালীন  ভাষা আর অতিরিক্ত মিউজিক। এসব যদি নাটকে না থাকে তাহলে হয়তো আবার নাটক দেখা শুরু করবো।

 

মহাখালির বাসিন্দা গৃহবধূ রাবেয়া (২৮) বলেন, শুদ্ধ এবং শালীন ভাষার নাটক দেখতে চাই। নাটকে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার না করে বইয়ের ভাষা ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে আমরা সকলেই ভাষাটি সুন্দরভাবে বুঝতে পারবো। টেলিফিল্ম এর পাশাপাশি সাত ও তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটকগুলো দেখতাম আগে, যা এখন একদম কমে গেছে। আমি চাই ঈদের এই ধারাবাহিক নাটকগুলো আবার ফিরে আসুক।

 

 

 

পুষ্প খানোম (২৯)। বাসা মিরপুর – ১০ নম্বরে। তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে বর্তমানে টিভিতে খুব একটা নাটক দেখা হয় না। তবে ইউটিউব চ্যানেলে নাটক দেখি। ভাল ভাল গল্পেরই নাটক দেখি। তবে কিছু কিছু নাটকের অভিনেতা এবং গল্প কোনটাই ভালো হয়  নয়। কিন্তু তারপরও নাটকের ভিউয়ার্স দেখি অনেক!  তাই আমার মতে ভিউয়ার্সদের রুচির পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে বাংলা নাটক আরো সমৃদ্ধ হবে।

 

 

আনজুমান (৩৮) বলেন, ঈদের মধ্যে এমন নাটক চাই যাতে ফ্যামিলির সবাই মিলে দেখতে পারি। নাটকে অশ্লীল ডায়লগ খুব বিরক্তিকর । এসব বিষয় নাটকে থাকলে ফ্যামিলির সবাই মিলে দেখা সম্ভব হয় না। আর পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কিছু কুরুচিপূর্ণ দর্শকের জন্য রুচিশীল মানুষদের নাটক দেখা যাতে বন্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।