০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

প্রায় ১০০ মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • 23

সারাক্ষণ ডেস্ক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় , গতকাল বৃহস্পতিবার আরাকান আর্মির হাতে পরাজিত হয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ডের সদস্য এবং সৈনিক সহ কমপক্ষে ১০০ জন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন।

কিন্তু তারা বলছে অনেকেই আবার সীমান্ত দিয়েই ফেরত গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নাফ নদী পার হয়ে তিনটি পথে বাংলঅদেশে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড তাদেরকে হেফাজতে নিয়েছে।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জুন মাসে বলেছিল, কমপক্ষে ৭৫২ জন সামরিক জান্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বন্দী বিনিময় চুক্তি ছাড়াই মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। টেকনাফে কর্মকর্তারা ‘দি ইরাওয়াদ্দিকে’ জানান, জান্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, কেউ কোনো আইন ঝামেলায় জড়াবেনা।

তারা বলেছে, ঢাকা বারংবার নেপিডকে এধরনের অনুপ্রবেশকে নিরুৎসাহিত করেছে। ফেব্রুয়ারীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ক্লোজড বর্ডার পলিসি ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু সেটা বারংবার ভাঙ্গা হয়েছে।

ইতোমধ্যে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অনেকটাই ঠেকানো গেছে বলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস এন্ড্রুজ গত ১০ মে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সীমান্তে পুশ ব্যাকের সংখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন।

তিনি রোহিঙ্গা রেফিউজিদের ফেরত এবং রোহিঙ্গা রেফিউজি ক্যাম্পে তাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এন্ড্রুজ বাংলাদেশ সরকারকে এইসব দাবীগুলিকে তদন্ত এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেবার আহ্বান জানান।

প্রায় ১০০ মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে

০৭:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় , গতকাল বৃহস্পতিবার আরাকান আর্মির হাতে পরাজিত হয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ডের সদস্য এবং সৈনিক সহ কমপক্ষে ১০০ জন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন।

কিন্তু তারা বলছে অনেকেই আবার সীমান্ত দিয়েই ফেরত গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নাফ নদী পার হয়ে তিনটি পথে বাংলঅদেশে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড তাদেরকে হেফাজতে নিয়েছে।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জুন মাসে বলেছিল, কমপক্ষে ৭৫২ জন সামরিক জান্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বন্দী বিনিময় চুক্তি ছাড়াই মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। টেকনাফে কর্মকর্তারা ‘দি ইরাওয়াদ্দিকে’ জানান, জান্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, কেউ কোনো আইন ঝামেলায় জড়াবেনা।

তারা বলেছে, ঢাকা বারংবার নেপিডকে এধরনের অনুপ্রবেশকে নিরুৎসাহিত করেছে। ফেব্রুয়ারীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ক্লোজড বর্ডার পলিসি ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু সেটা বারংবার ভাঙ্গা হয়েছে।

ইতোমধ্যে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অনেকটাই ঠেকানো গেছে বলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার টমাস এন্ড্রুজ গত ১০ মে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সীমান্তে পুশ ব্যাকের সংখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন।

তিনি রোহিঙ্গা রেফিউজিদের ফেরত এবং রোহিঙ্গা রেফিউজি ক্যাম্পে তাদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এন্ড্রুজ বাংলাদেশ সরকারকে এইসব দাবীগুলিকে তদন্ত এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেবার আহ্বান জানান।