৭ মে থেকে শুরু হওয়া সামরিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান এয়ার ফোর্স দাবি করে যে_PL-15E_ দীর্ঘপরিসর মিসাইল ছুড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ছিল রাফেল জেট। তবে কোনো ধরনের প্রমাণ দাখিল করা হয়নি।
পাকিস্তানের দাবি ও দাসলতের বক্তব্য:
Dassault Aviation-এর চেয়ারম্যান ও সিইও এরিক ট্রাপিয়ের পাকিস্তানের “তিনটি রাফেল বিধ্বস্ত” দাবিকে অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের অপারেশন সিন্দুরের ওই অঞ্চলে শত্রুর কোনো সংঘর্ষমূলক আঘাত ছাড়াই একটি লড়াকু বিমান হারানো হয়েছে, যা ঘটেছে উচ্চ উচ্চায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। পরে Dassault Aviation এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে, এ বিষয়ে ট্রাপিয়ের কোনও সামরিক বা প্রযুক্তিগত মন্তব্য আসলে প্রদান করেননি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিবের মন্তব্য:
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং CNBC TV18-কে বলেন, একাধিক রাফেল বিধ্বস্তের কথা বলা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, “রাফেলস শব্দটি বহুবচনে ব্যবহার করা হয়েছে, যা একদমই সঠিক নয়। মানবিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তানই ভারতের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং ১০০-র বেশি সন্ত্রাসীর পতন ঘটেছে।”
ফরাসি গোয়েন্দাদের ডিসইনফরমেশন সতর্কবার্তা:
জুন মাসে ফ্রেঞ্চ গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংযুক্তারা Dassault-এর রাফেল জেট সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছেন, যাতে দেশগুলো ফরাসি বিমানের বদলে চীনা নির্মিত যন্ত্রপাতি কেনার পক্ষে সরে আসে। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, রাফেলকে লক্ষ্য করে একটি ব্যাপক ‘ডিসইনফরমেশন’ অভিযান চলছে যা মূলত চীনা ডিজাইনের বিকল্প প্রযুক্তির সীমাহীন সুপারিয়রিটি প্রমাণ করার চেষ্টা করে। মন্ত্রণালয় যোগ করেছে, “এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল একক বিমানই নয়, বরং ফ্রান্সের কৌশলগত স্বয়ত্তশাসন, শিল্প বিশেষজ্ঞতা ও বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা।”
রাফেলের বৈশ্বিক বিক্রয়:
Dassault Aviation এ পর্যন্ত মোট ৫৩৩টি রাফেল বিমান বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ৩২৩টি রপ্তানি হয়েছে মিশর, ভারত, কাতার, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সার্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।