১১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৩) মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ ১,০০০ বছর পুরনো পবিত্র কুরআনের দুর্লভ অনুলিপি পিনাট বাটারের তুলনায় আরও পুষ্টিকর ও বহুমুখী বাদাম বাটার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২২) গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত

কানাডায় গেলেন ববিতা

  • Sarakhon Report
  • ০৯:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • 65
সারাক্ষণ প্রতিবেদক
গত ৫ আগস্ট ছিলো ‘ববিতা দিবস’। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস’-এ দিনটি উদযাপন করা হয়। যেহেতু গেলো বছর ডালাসেই দিনটির যাত্রা শুরু করেন ডালাসের সিটি মেয়র। তাই দিনটি শুরুর এক বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে ডালাসেই দিনটি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলোনা বিধায় ইচ্ছে থাকলেও ববিতা ‘ববিতা দিবস’-এ ডালাসে যেতে পারেননি।
আবার এরমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা হওয়ায় তিনি তার এবারের জন্মদিনের (৩০ জুলাই) আগে তিনি তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছেও যেতে পারেননি। তবে এবার বলা যায় পুরোপুরি সুস্থ হয়েই ববিতা কানাডায় চলে গেলেন। গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে ববিতা কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। যাবার আগে ববিতা বলেন,‘ আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি অনেকটাই সুস্থ।
ছেলের কাছে যাবার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। তাই কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক হোক, নিরাপত্তার বেস্টনীতে আবার দেশে শান্তি ফিরে আসুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক-এই দোয়া করি। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করছি।
যখন আমি আমার অভিনয় জীবনের শুরুতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে হেঁটেছি, তখন একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করেছি। এখনো প্রতিটি মুহুর্তে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। সেই আমার গর্বের বাংলাদেশ সবসময় ভালো থাকুক, এখানকার মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটাই চাই সবসময়।’ ববিতা বাংলাদেশের একজন সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং প্রযোজক।
তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৭০-র দশকের সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ২৩তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন বীয়ার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। ববিতা ৩৫০ এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন।
এছাড়া ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৮৫ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, ২০০২ ও ২০১১ সালে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ববিতা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিলো নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’।
জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা

কানাডায় গেলেন ববিতা

০৯:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
সারাক্ষণ প্রতিবেদক
গত ৫ আগস্ট ছিলো ‘ববিতা দিবস’। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস’-এ দিনটি উদযাপন করা হয়। যেহেতু গেলো বছর ডালাসেই দিনটির যাত্রা শুরু করেন ডালাসের সিটি মেয়র। তাই দিনটি শুরুর এক বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে ডালাসেই দিনটি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলোনা বিধায় ইচ্ছে থাকলেও ববিতা ‘ববিতা দিবস’-এ ডালাসে যেতে পারেননি।
আবার এরমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা হওয়ায় তিনি তার এবারের জন্মদিনের (৩০ জুলাই) আগে তিনি তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছেও যেতে পারেননি। তবে এবার বলা যায় পুরোপুরি সুস্থ হয়েই ববিতা কানাডায় চলে গেলেন। গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে ববিতা কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। যাবার আগে ববিতা বলেন,‘ আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি অনেকটাই সুস্থ।
ছেলের কাছে যাবার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। তাই কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক হোক, নিরাপত্তার বেস্টনীতে আবার দেশে শান্তি ফিরে আসুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক-এই দোয়া করি। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করছি।
যখন আমি আমার অভিনয় জীবনের শুরুতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে হেঁটেছি, তখন একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করেছি। এখনো প্রতিটি মুহুর্তে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। সেই আমার গর্বের বাংলাদেশ সবসময় ভালো থাকুক, এখানকার মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটাই চাই সবসময়।’ ববিতা বাংলাদেশের একজন সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং প্রযোজক।
তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৭০-র দশকের সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ২৩তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন বীয়ার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। ববিতা ৩৫০ এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন।
এছাড়া ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৮৫ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, ২০০২ ও ২০১১ সালে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ববিতা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিলো নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’।