রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

এখনও বিপদসীমার ওপরে ৬ নদীর পানি

  • Update Time : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪, ৮.৪৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “উত্তরা থেকে মতিঝিল: ৩৭ দিন পর মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন আজ শুরু”

ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল ৩৭ দিন বন্ধ ছিল। আজ রোববার আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে।অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে গতকাল শনিবার জানানো হয়েছে, আজ থেকে নতুন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল ভ্রমণসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে। তবে অনিবার্য কারণবশত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত মেট্রোরেল থামবে না এবং যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

কোটা সংস্কার ঘিরে আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। অবশ্য এরপর ১৫ আগস্ট ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “এখনও বিপদসীমার ওপরে ৬ নদীর পানি”

 

ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসায় নদীর পানি যেমন নামতে শুরু করেছে বন্যা পরিস্থিতিও উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে এখনও গোমতী, ডাকাতিয়া, মুহুরী, কহুয়া ও ছিলোনিয়া নদী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজও দেশের ৬ নদীর ৯ স্টেশনের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সাত নদীর ১৪টি স্টেশনের পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল।

কুমিল্লা জেলার গোমতী ও ডাকাতিয়া নদী পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭.২৫ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেনী জেলার মুহুরী, কহুয়া ও ছিলোনিয়া নদী পয়েন্টে বিপদসীমার ১০০ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে নতুন করে মুহুরি নদীর পরশুরাম স্টেশনের পানি বিপদসীমার উপরে উঠেছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় যোগাযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। সব মিলিয়ে কুশিয়ারা নদীর ৪ স্টেশনের পানি আজকেও বিপদসীমার ওপরে থাকলেও এখন পানির পরিমাণ কমে এসেছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বানোয়াট পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী লোটাস কামাল”

সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরও দেশে আশানুরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় অর্থনীতির মূল সূচকগুলো হয় প্রশ্নবিদ্ধ। ২০১৪ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেয়ার পর পরিসংখ্যান বিভ্রাট আরো প্রকট হয়। মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পাঁচ-ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট। অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকের তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বাড়তে থাকে পরিসংখ্যানগত পার্থক্য। এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পরবর্তী সময়েও। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেই কেবল সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানো হয়েছিল। এসব বানোয়াট পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হয় লোটাস কামাল তথা তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামালকে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৯৭০ সালে পুরো পাকিস্তানের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে কমার্সে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আইন শাস্ত্রেও রয়েছে তার স্নাতক ডিগ্রি। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষাজীবনেই তিনি ‘লোটাস’ উপাধি পেয়েছিলেন। তবে তার এ জ্ঞানকে ভালো কাজে ব্যবহার হয়নি বলে মনে করেন অনেকেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় এলে মিথ্যা তথ্য তৈরির পুরস্কার হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামালকে ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে বসান শেখ হাসিনা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলাকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করে দেশবাসীকে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।  উপকূল ও দুর্গত এলাকায় কর্মরত ৪৪টি এনজিও’র কর্তাব্যক্তিরা বৈঠকে অংশ নেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের অবশ্যই এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সবাই মিলে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। ড. ইউনূস বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সরকার, এনজিওসহ যারা যারা কাজ করছেন, তাদের সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে জেলা পর্যায়েও বন্যা মোকাবিলার কাজে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোটি কোটি মানুষ বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছে। তাদের মহৎ উৎসাহের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।

এজন্য আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে বন্যা পরবর্তী খাদ্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা আমাদের জন্য মহৎ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।  দ্রুত এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’
সরকার প্রধান আরও বলেন, কেবল বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব দিলে হবে না, কীভাবে দেশকে বন্যামুক্ত রাখা যায় সেদিকেও মনোযোগী হতে হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024