গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে তারা গুমের শিকার হয়েছিলেন তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে কমিশনের প্রধান করা হয়েছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর: নিষ্কাশনব্যবস্থার ঘাটতি, পানি নামছে ধীরে”
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে ত্রাণ নিয়ে ফিরছেন এক ব্যক্তি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো
আকস্মিক বন্যার পানি সাধারণত দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নেমে যায়। দেশের সিলেট বিভাগ ও তিস্তা অববাহিকায় প্রতিবছরই একাধিকবার আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।
ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে এক সপ্তাহের বেশি সময় হলো। পানি কমছে, তবে তা ধীরগতিতে। বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনো পানিবন্দী। নদীবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যার পানি দ্রুত না নামার কারণ ওই অঞ্চলের ভূমিরূপ ও পানি সরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. মুনসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এবং সংলগ্ন এলাকায় সাম্প্রতিকালে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ নানা কাজে ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার পানিনিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক খাল এবং নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে পানি নামতে দেরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের কমিশন”
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে তারা গুমের শিকার হয়েছিলেন তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে কমিশনের প্রধান করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন। দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ৪(৩) ধারার ক্ষমতাবলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ কমিশন গঠন করেছে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সারের চাহিদা প্রায় ৬৯ লাখ টন, দেশে মজুদ ১৮ লাখ টন”
দেশে চলতি অর্থবছরে সারের মোট চাহিদা হতে পারে প্রায় ৬৯ লাখ টন। বাংলাদেশে সারের মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সরকারি গুদামগুলোয় সারের মজুদ আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। এ মজুদ দেশের আসন্ন প্রয়োজনও তাৎক্ষণিকভাবে মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, দুই মাসের মধ্যে শুরু হচ্ছে বোরো ও রবি মৌসুম। দেশে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী মৌসুমটিতে সারসহ চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণের চাহিদাও থাকে সবচেয়ে বেশি। দেশে মোট রাসায়নিক সারের ৭০ শতাংশেরও বেশি ব্যবহৃত হয় শুধু বোরো ও রবি মৌসুমে। যদিও এবার গ্যাস সংকটে সারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমদানিতে জটিলতা তৈরি করেছে ডলার সংকট। ফলে আসন্ন রবি ও বোরো মৌসুমে সারের প্রয়োজনীয় জোগান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন। চলতি অর্থবছরে এ চাহিদার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে প্রায় ৬৯ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। যদিও এর বিপরীতে সরকারি গুদামগুলোয় সারের মজুদ আছে মাত্র ১৭ দশমিক ৭৪ লাখ টন। দেশে সারের মোট চাহিদার চার-পঞ্চমাংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। এবার বেসরকারি উদ্যোগে সাড়ে নয় লাখ টন সার আমদানির কথা আছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে সার আমদানি করা যায়নি। আবার দেশের পাঁচটি ইউরিয়া সার কারখানার মধ্যে তিনটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে গ্যাসের অভাবে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ড. ইউনূস বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার সক্ষমতা রাখেন : সৌদি রাষ্ট্রদূত”
ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ড. ইউনূসের প্রশংসা করে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরবকে ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি গত বছর ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে সৌদি আরব সফরের কথা স্মরণ করেন যেখানে তিনি সৌদি মহিলা ফুটবল দলের উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং বিশ্ব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খেলাধুলার অসাধারণ ক্ষমতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন যারা তার দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তিনি জানান, সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে পাঠান এবং আরও ৫ বিলিয়ন ডলার অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠান। রাষ্ট্রদূত বলেন, অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের অর্থ বৈধ পথে পাঠানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। ১৯৭০ সাল থেকে সৌদি আরবে বসবাসরত ৬৯ হাজার অনিবন্ধিত বাংলাদেশীর পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেন।