০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদেরের পাশে- শামীম পাটোয়ারী

সিনিয়র নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও তৃণমূলের আনুগত্য

জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অতীতে দলের কিছু সিনিয়র নেতা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য দলকে বিশ্বাসঘাতকতা ঘটিয়েছে, এ কারণেই পার্টি সাতবার বিভক্ত হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা সবসময় দলের মূল স্রোত অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, কখনোই বিচ্যুত হননি।

ঢাকায় সমর্থন প্রদর্শন

২৫ জুন ঢাকায় এসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। পাটোয়ারী উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিফল আমরা ২০২৪ সালে দেখেছি, আর আজকের বক্তব্যও ভবিষ্যতে সঠিক প্রমাণিত হবে।

নির্বাচন বর্জন করলো বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল

সততা ও স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত

পাটোয়ারী তুলে ধরেন, গত পাঁচ বছরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালনার সময়ে কাদেরের বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতি মামলা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ইমেজ ভেঙে রেখেছিলেন; তবু তাদের পুনরায় চেষ্টা করেও কোনো মামলা দায়ের করতে পারেনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোটভাই হওয়ার পরও কাদের নিজ যোগ্যতায় দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ নির্মল থেকেছেন—সবই তার স্বচ্ছতার প্রমাণ।

নির্বাচনী বর্জন ও বিরোধী মনোভাব

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়া সত্ত্বেও কাদের সংসদের বাইরে থেকে দেশের কথা তুলে এনেছেন। সরকার তাঁকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, তবুও ভোট বর্জন করে পাঁচ বছর ধরে জনগণের হয়ে কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে অনেকেই জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে না বললেও শ্রম ও মেধায় দলকে শক্ত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

কাউন্সিল নিয়ে মিথ্যা জল্পনা

এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছিল, কাউন্সিলে হারে যাওয়া ভয়ে কাদের নাকি দাঁড়াচ্ছেন না। পাটোয়ারী বলেন, কাউন্সিলে তৃণমূলেরই আধিপত্য থাকবে, তারা একমত হয়ে কাদেরের পক্ষে থাকবে—প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশ্নই ওঠে না।

আগামীর কর্মপরিকল্পনা

শীঘ্রই সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বর্ধিত সভার আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি। পল্লীবন্ধু এরশাদের সুশাসন ও উন্নয়নের বার্তা নিয়েই দল যাবে জনগণের দ্বারে—২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বা ২০২৪ সালের গণহত্যার কোনও রেকর্ড নেই জাতীয় পার্টির শাসনকালে; এ কারণেই মানুষ মনে করে পার্টি নিরাপদ।

প্রধান নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি

সভায় উপস্থিত ছিলেন মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, এডভোকেট মোঃ মমতাজ উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, নুরুল আজহার শামীম, মোঃ খলিলুর রহমান, মনির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোড়ল জিয়াউর রহমান ও সমরেশ মন্ডল মানিক।

সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মোঃ সামছুল হক ও সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিম; অন্য নেতৃবৃন্দ ছিলেন কাজী আবুল খায়ের, মোঃ আনিসউর রহমান খোকন, মাহমুদুল হাসান আলাল, মোঃ ইব্রাহিম খান, মোঃ নজরুল ইসলাম সর্দার, আক্তারুজ্জামান মাসুম, আবুল হোসেন, নাইমুল ইসলাম নয়ন, ফজলুল হক শিশির, হারুন পাটোয়ারী, আব্দুল বারেক, মোঃ এরশাদ, শফিকুল ইসলাম লিপন, নুরুল হক নুরু, সালেহ আহমেদ ও মবিন হোসেন কিশোর।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদেরের পাশে- শামীম পাটোয়ারী

০৬:০০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

সিনিয়র নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও তৃণমূলের আনুগত্য

জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অতীতে দলের কিছু সিনিয়র নেতা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য দলকে বিশ্বাসঘাতকতা ঘটিয়েছে, এ কারণেই পার্টি সাতবার বিভক্ত হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা সবসময় দলের মূল স্রোত অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, কখনোই বিচ্যুত হননি।

ঢাকায় সমর্থন প্রদর্শন

২৫ জুন ঢাকায় এসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। পাটোয়ারী উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিফল আমরা ২০২৪ সালে দেখেছি, আর আজকের বক্তব্যও ভবিষ্যতে সঠিক প্রমাণিত হবে।

নির্বাচন বর্জন করলো বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল

সততা ও স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত

পাটোয়ারী তুলে ধরেন, গত পাঁচ বছরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালনার সময়ে কাদেরের বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতি মামলা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ইমেজ ভেঙে রেখেছিলেন; তবু তাদের পুনরায় চেষ্টা করেও কোনো মামলা দায়ের করতে পারেনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোটভাই হওয়ার পরও কাদের নিজ যোগ্যতায় দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ নির্মল থেকেছেন—সবই তার স্বচ্ছতার প্রমাণ।

নির্বাচনী বর্জন ও বিরোধী মনোভাব

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়া সত্ত্বেও কাদের সংসদের বাইরে থেকে দেশের কথা তুলে এনেছেন। সরকার তাঁকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, তবুও ভোট বর্জন করে পাঁচ বছর ধরে জনগণের হয়ে কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে অনেকেই জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে না বললেও শ্রম ও মেধায় দলকে শক্ত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

কাউন্সিল নিয়ে মিথ্যা জল্পনা

এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছিল, কাউন্সিলে হারে যাওয়া ভয়ে কাদের নাকি দাঁড়াচ্ছেন না। পাটোয়ারী বলেন, কাউন্সিলে তৃণমূলেরই আধিপত্য থাকবে, তারা একমত হয়ে কাদেরের পক্ষে থাকবে—প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশ্নই ওঠে না।

আগামীর কর্মপরিকল্পনা

শীঘ্রই সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বর্ধিত সভার আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি। পল্লীবন্ধু এরশাদের সুশাসন ও উন্নয়নের বার্তা নিয়েই দল যাবে জনগণের দ্বারে—২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বা ২০২৪ সালের গণহত্যার কোনও রেকর্ড নেই জাতীয় পার্টির শাসনকালে; এ কারণেই মানুষ মনে করে পার্টি নিরাপদ।

প্রধান নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি

সভায় উপস্থিত ছিলেন মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, এডভোকেট মোঃ মমতাজ উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, নুরুল আজহার শামীম, মোঃ খলিলুর রহমান, মনির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোড়ল জিয়াউর রহমান ও সমরেশ মন্ডল মানিক।

সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মোঃ সামছুল হক ও সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিম; অন্য নেতৃবৃন্দ ছিলেন কাজী আবুল খায়ের, মোঃ আনিসউর রহমান খোকন, মাহমুদুল হাসান আলাল, মোঃ ইব্রাহিম খান, মোঃ নজরুল ইসলাম সর্দার, আক্তারুজ্জামান মাসুম, আবুল হোসেন, নাইমুল ইসলাম নয়ন, ফজলুল হক শিশির, হারুন পাটোয়ারী, আব্দুল বারেক, মোঃ এরশাদ, শফিকুল ইসলাম লিপন, নুরুল হক নুরু, সালেহ আহমেদ ও মবিন হোসেন কিশোর।