০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 20

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্য

 মায়া জনগোষ্ঠীর মানুষ যেসব দ্রব্য তাদের দৈনন্দিন সরল জীবনে ব্যবহার করত তার কিছু নিদর্শন পুরাতাত্ত্বিকদের অন্বেষণে আবিষ্কৃত হয়েছে। মায়াদের সামগ্রিক জীবনযাত্রায় ভুট্টার (Maize) ভূমিকা ব্যাপক। মায়ারা চাষবাসের কাজে মোটামুটি দক্ষ ছিল।

গম বা ভুট্টা ছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ছিল বিন, লংকা, মানিয়ক, কাকাও (Cacao) কাপড়ের জন্য সুতি। সিসাল উৎপাদন ছিল মূলত ভারি কাপড় এবং দড়ি তৈরি করার জন্য। ভারি ধাতুর মধ্যে আমরা পাই সিনাবার (Cinnabar), হেমাটাইট (Hematite)। শস্য উৎপাদনের উপর মায়ারা খুব নির্ভর করত।

শস্যের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি তারা পেত। একটি হিসেব বলছে মায়া অঞ্চলে বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬০ ইঞ্চির মত। বৃষ্টি বা অন্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত জল ক্যারিবিয়ান বা মেক্সিকো থেকে নদীর সঙ্গে মিশত।

নদীগুলির মধ্যে প্রধান দুটির নাম উসুমাউন্তা (Usumaunta) এবং গ্রিজালভা (Grijalva)। জনসংযোগ, যোগাযোগ এবং সামগ্রিকভাবে মায়া সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই নদীদুটির ভূমিকা খুব বেশি।

মায়া সংস্কৃতির বহুমুখী রূপের মধ্যে মায়াদের মূল অন্যতম দিক হল চিত্রকলার সৌন্দর্য। এই চিত্রকলা বা অঙ্কণ প্রধানত কাগজ এবং পাথরের উপর ছিল। এছাড়া টেরাকোটার কিছু কাজও দেখা যায়।

ধাতুর তৈরি নানা অলংকার মায়াদের চিত্রকল্পর সৃষ্টিশীল মানসকিতাকে ফুটিয়ে তোলে। আধুনিককালের সংস্কৃতি ও শিল্পর সঙ্গে পুরোহিত দেবতন্ত্র বা তত্ত্বকে মিশিয়ে দেওয়া যায় না।

বরং বলা যায় এই সাম্প্রতিক শিল্পের মধ্যে বিশেষ করে সমাজজীবন, তার বাস্তবতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। এবং এইসঙ্গে চিত্রিত হয়েছে মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক প্রক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৭)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৭)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৮)

০৬:০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্য

 মায়া জনগোষ্ঠীর মানুষ যেসব দ্রব্য তাদের দৈনন্দিন সরল জীবনে ব্যবহার করত তার কিছু নিদর্শন পুরাতাত্ত্বিকদের অন্বেষণে আবিষ্কৃত হয়েছে। মায়াদের সামগ্রিক জীবনযাত্রায় ভুট্টার (Maize) ভূমিকা ব্যাপক। মায়ারা চাষবাসের কাজে মোটামুটি দক্ষ ছিল।

গম বা ভুট্টা ছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ছিল বিন, লংকা, মানিয়ক, কাকাও (Cacao) কাপড়ের জন্য সুতি। সিসাল উৎপাদন ছিল মূলত ভারি কাপড় এবং দড়ি তৈরি করার জন্য। ভারি ধাতুর মধ্যে আমরা পাই সিনাবার (Cinnabar), হেমাটাইট (Hematite)। শস্য উৎপাদনের উপর মায়ারা খুব নির্ভর করত।

শস্যের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি তারা পেত। একটি হিসেব বলছে মায়া অঞ্চলে বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬০ ইঞ্চির মত। বৃষ্টি বা অন্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত জল ক্যারিবিয়ান বা মেক্সিকো থেকে নদীর সঙ্গে মিশত।

নদীগুলির মধ্যে প্রধান দুটির নাম উসুমাউন্তা (Usumaunta) এবং গ্রিজালভা (Grijalva)। জনসংযোগ, যোগাযোগ এবং সামগ্রিকভাবে মায়া সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই নদীদুটির ভূমিকা খুব বেশি।

মায়া সংস্কৃতির বহুমুখী রূপের মধ্যে মায়াদের মূল অন্যতম দিক হল চিত্রকলার সৌন্দর্য। এই চিত্রকলা বা অঙ্কণ প্রধানত কাগজ এবং পাথরের উপর ছিল। এছাড়া টেরাকোটার কিছু কাজও দেখা যায়।

ধাতুর তৈরি নানা অলংকার মায়াদের চিত্রকল্পর সৃষ্টিশীল মানসকিতাকে ফুটিয়ে তোলে। আধুনিককালের সংস্কৃতি ও শিল্পর সঙ্গে পুরোহিত দেবতন্ত্র বা তত্ত্বকে মিশিয়ে দেওয়া যায় না।

বরং বলা যায় এই সাম্প্রতিক শিল্পের মধ্যে বিশেষ করে সমাজজীবন, তার বাস্তবতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। এবং এইসঙ্গে চিত্রিত হয়েছে মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক প্রক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৭)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৭)