১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি” পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত জাতিসংঘের উদ্ভাবন সূচকে শীর্ষ-১০—জার্মানিকে সরিয়ে চীন ইইউর ১৯তম রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ স্থগিত—পরিধি নিয়ে মতভেদ অ্যামাজনের হার্ডওয়্যার ইভেন্ট ৩০ সেপ্টেম্বর—ইকো, ফায়ার টিভি, কিন্ডলে চমক টিকটক সমাধানে ‘ফ্রেমওয়ার্ক’—যুক্তরাষ্ট্রে চালু রাখতে অরাকলসহ কনসোর্টিয়াম স্কারবরো শোলে ফিলিপাইনি জাহাজে চীনের ওয়াটার ক্যানন রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়ায় একজন নিহত, বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ফেড সুদ কমাতে পারে—এশিয়া শেয়ারে নতুন উত্থান চীনের বৈশ্বিক বন্দর প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড়সড় সামুদ্রিক উদ্যোগ

জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয়া বিজিপিসহ ৩৩০ সদস্যকে হস্তান্তর কাল

  • Sarakhon Report
  • ০৪:১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 127

জাফর আলম, কক্সবাজার

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপিসহ ৩৩০ জন। তাদেরকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদেরআগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হবে । মিয়ানমারের জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হবে মাঝসমুদ্রে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশে আসা সদস্যদের মিয়ানমার নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ করবেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের এসব সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কক্সবাজারের কিনারি জেটি ঘাটে।

সেখান থেকে বাংলাদেশি জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে মাঝসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সমুদ্রসীমায়। সেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমারের জাহাজ। সেখানেই মূলত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্যদের হস্তান্তর করা হবে।

তিনি জানান, জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপিসহ অন্যান্য বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্যকে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় কক্সবাজার ইনানীর নৌবাহিনী জেটিঘাটে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকাল ৮টায় এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকা দিয়ে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি তিনি।

তবে বিজিবিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসবে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করবে। বিজিপির এই ৩৩০ সদস্যকে পৃথক নৌযানে ওই জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।তিনি বলেন, তারা (মিয়ানমার) আমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে যে তারা খুব শীঘ্রই জাহাজে করে তাদের ফিরিয়ে নেবে। আশা করছি তারা তাদের সদস্যদের দুয়েকদিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেবে। আমাদের সাথে তাদের কোনো বিরোধ নেই, কোন যুদ্ধ নেই।উল্লেখ্য, সংঘাতের জেরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পর পর কয়েক দিন বিজিপির ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি”

জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয়া বিজিপিসহ ৩৩০ সদস্যকে হস্তান্তর কাল

০৪:১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাফর আলম, কক্সবাজার

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপিসহ ৩৩০ জন। তাদেরকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদেরআগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হবে । মিয়ানমারের জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হবে মাঝসমুদ্রে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশে আসা সদস্যদের মিয়ানমার নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ করবেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের এসব সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কক্সবাজারের কিনারি জেটি ঘাটে।

সেখান থেকে বাংলাদেশি জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে মাঝসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সমুদ্রসীমায়। সেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমারের জাহাজ। সেখানেই মূলত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্যদের হস্তান্তর করা হবে।

তিনি জানান, জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপিসহ অন্যান্য বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্যকে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় কক্সবাজার ইনানীর নৌবাহিনী জেটিঘাটে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকাল ৮টায় এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকা দিয়ে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি তিনি।

তবে বিজিবিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসবে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করবে। বিজিপির এই ৩৩০ সদস্যকে পৃথক নৌযানে ওই জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।তিনি বলেন, তারা (মিয়ানমার) আমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে যে তারা খুব শীঘ্রই জাহাজে করে তাদের ফিরিয়ে নেবে। আশা করছি তারা তাদের সদস্যদের দুয়েকদিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেবে। আমাদের সাথে তাদের কোনো বিরোধ নেই, কোন যুদ্ধ নেই।উল্লেখ্য, সংঘাতের জেরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পর পর কয়েক দিন বিজিপির ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।