হারুন উর রশীদ স্বপন
কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র–ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছেন৷ আরো বলা হয়েছে, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে৷
এই বিষয়ে ডয়চে ভেলে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করে৷ অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘‘এই অবৈধ সরকারের আদেশও অবৈধ৷ তাদের আদেশ মানার প্রশ্নই ওঠে না৷ আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।”
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার জবরদখলকারী সরকার৷ এই সরকারের কোনো আইনগত বৈধতা নেই৷ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা তাদের বেআইনি, অসাংবিধানিক গেজেটের কোনো মূল্য আছে বলে মনে করি না৷ এটা এক ধরনের তামাশা৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই সরকারে যারা আছেন তারা যে রাজাকারদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন তা তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নিবেদিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করলো৷”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সশস্ত্র হামলা ও হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগই হত্যা, গণহত্যার শিকার৷ ছাত্রলীগ শুরু থেকেই কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিল৷ আসলে এই আন্দোলনকে যারা এখন ক্ষমতায় আছে তারা ষড়যন্ত্রমূকভাবে ব্যবহার করেছে৷’’
একই সন্ত্রাস দমন আইনে আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি৷ তাদের নিষিদ্ধ করা জাতীয় দাবি ছিল৷’’