১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
রেকর্ড নিম্নস্তরের কাছেই রুপি, ডলারের দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বস্তি নেই পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২২) ব্রেক্সিট-পরবর্তী দুর্বল ব্রিটেনের পক্ষে চীনের সঙ্গে বিরোধিতা এখন আত্মঘাতী গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই

প্রচলিত জীবনের গল্পে ‘ভালোবাসায় আদরে’

  • Sarakhon Report
  • ০১:৫০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 69

রেজাই রাব্বী

ভালোবাসায় আদরে, জনপ্রিয় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহান ও সুহাসিনী খ্যাত অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তটিনীর মিষ্টি হাসি ও কথা বলার ধরন মুগ্ধ করে দর্শক—শ্রোতাকে। অসাধারণ এ নাটকটিতে আমাদের বাস্তব জীবনের প্রচলিত কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে যা কোনো না কোনোভাবে মানুষের জীবনের সাথে মিলে যায় ।দেখে মনে হবে এ যেন নিজেরই জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি যা নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে নাটকটিতে খুবই সুন্দর একটি মিষ্টি প্রেম কাহিনী দেখানো হয়েছে।

গল্পে দেখানো হয়েছে রোহান ছোট্ট একটি চাকরি করে তার কাছে তেমন টাকা থাকে না। সে তটিনী কে কিছু কিনে দিতে পারে না এমনকি একটা শার্ট প্রতিদিনই পড়ে থাকেন। তটিনী ও খুব কষ্টে থাকেন শত কষ্টে থাকার পরও দুজন দুজনকে দেখলে তাদের মন ভালো হয়ে যায়।একেই হয়তো বলে ভালোবাসা। টাকা না থাকলেও যে একজন আরেকজনকে কিভাবে ভালোবাসা যায় তা এই নাটকটিতে দেখানো হয়েছে।

নাটকটিতে আমরা দেখতে পাই ইয়াশ রোহান গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেন চাকরির জন্য। ইয়াশ রোহানের বাবা নেই তার ফ্যামিলির খরচ ও ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনা খরচ সবই তাকে বহন করতে হয়। গল্পে সে সেলসম্যানের চাকরি করে। রোহান দিনরাত পরিশ্রম করে অনেক কষ্ট করে চাকরি করে কিন্তু এই টাকায় বেতন খুবই কম। এই টাকায় পরিবারের সকল খরচ মেটাতেই সব শেষ হয়ে যায় সে নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারে না। এই কাজ তাকে এতটাই কষ্ট দেয় যে সে মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করে।

অন্যদিকে তটিনীর বাবা—মা মারা যাবার পর সে মামা—মামির কাছে বড় হন। তার মামা মামিও তাকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু হঠাৎ তার মামি মারা যাবার কারণে তার মামা আর একটা বিয়ে করেন। এদিকে তার মামার ব্যবসাও দিন দিন খারাপ হতে থাকে, ব্যবসায় লস হতে থাকে হঠাৎ তার মামা প্যারালাইসিস হয়ে যায়। আর এই প্যারালাইসিস হওয়ার পরেই মামী তার সাথে খারাপ আচরণ করে।

ধীরে ধীরে সে আদরের মেয়ের থেকে কাজের মেয়েতে পরিণত হন এভাবেই চলতে থাকে ইয়াশ ও তটিনীর জীবন। এরই মাঝে হঠাৎ মামী তটিনীর জন্য একটি টাকা ওয়ালা বয়স্ক ছেলে নিয়ে আসেন বিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর রোহান সিদ্ধান্ত নেন তারা পালিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে যাবেন।

একসময় ইয়াশ তটিনীকে নিয়ে তার গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় আর এভাবেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।উল্লেখ্য, ইয়াশ—তটিনী জুটির পাশাপাশি বিভিন্ন চরিত্রে সমু চৌধুরী, শিল্পী সরকার, জিলস্নুর রহমান, আনোয়ার, সাজ্জাদ চৌধুরী সহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রেকর্ড নিম্নস্তরের কাছেই রুপি, ডলারের দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বস্তি নেই

প্রচলিত জীবনের গল্পে ‘ভালোবাসায় আদরে’

০১:৫০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

ভালোবাসায় আদরে, জনপ্রিয় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহান ও সুহাসিনী খ্যাত অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তটিনীর মিষ্টি হাসি ও কথা বলার ধরন মুগ্ধ করে দর্শক—শ্রোতাকে। অসাধারণ এ নাটকটিতে আমাদের বাস্তব জীবনের প্রচলিত কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে যা কোনো না কোনোভাবে মানুষের জীবনের সাথে মিলে যায় ।দেখে মনে হবে এ যেন নিজেরই জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি যা নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে নাটকটিতে খুবই সুন্দর একটি মিষ্টি প্রেম কাহিনী দেখানো হয়েছে।

গল্পে দেখানো হয়েছে রোহান ছোট্ট একটি চাকরি করে তার কাছে তেমন টাকা থাকে না। সে তটিনী কে কিছু কিনে দিতে পারে না এমনকি একটা শার্ট প্রতিদিনই পড়ে থাকেন। তটিনী ও খুব কষ্টে থাকেন শত কষ্টে থাকার পরও দুজন দুজনকে দেখলে তাদের মন ভালো হয়ে যায়।একেই হয়তো বলে ভালোবাসা। টাকা না থাকলেও যে একজন আরেকজনকে কিভাবে ভালোবাসা যায় তা এই নাটকটিতে দেখানো হয়েছে।

নাটকটিতে আমরা দেখতে পাই ইয়াশ রোহান গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেন চাকরির জন্য। ইয়াশ রোহানের বাবা নেই তার ফ্যামিলির খরচ ও ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনা খরচ সবই তাকে বহন করতে হয়। গল্পে সে সেলসম্যানের চাকরি করে। রোহান দিনরাত পরিশ্রম করে অনেক কষ্ট করে চাকরি করে কিন্তু এই টাকায় বেতন খুবই কম। এই টাকায় পরিবারের সকল খরচ মেটাতেই সব শেষ হয়ে যায় সে নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারে না। এই কাজ তাকে এতটাই কষ্ট দেয় যে সে মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করে।

অন্যদিকে তটিনীর বাবা—মা মারা যাবার পর সে মামা—মামির কাছে বড় হন। তার মামা মামিও তাকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু হঠাৎ তার মামি মারা যাবার কারণে তার মামা আর একটা বিয়ে করেন। এদিকে তার মামার ব্যবসাও দিন দিন খারাপ হতে থাকে, ব্যবসায় লস হতে থাকে হঠাৎ তার মামা প্যারালাইসিস হয়ে যায়। আর এই প্যারালাইসিস হওয়ার পরেই মামী তার সাথে খারাপ আচরণ করে।

ধীরে ধীরে সে আদরের মেয়ের থেকে কাজের মেয়েতে পরিণত হন এভাবেই চলতে থাকে ইয়াশ ও তটিনীর জীবন। এরই মাঝে হঠাৎ মামী তটিনীর জন্য একটি টাকা ওয়ালা বয়স্ক ছেলে নিয়ে আসেন বিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর রোহান সিদ্ধান্ত নেন তারা পালিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে যাবেন।

একসময় ইয়াশ তটিনীকে নিয়ে তার গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় আর এভাবেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।উল্লেখ্য, ইয়াশ—তটিনী জুটির পাশাপাশি বিভিন্ন চরিত্রে সমু চৌধুরী, শিল্পী সরকার, জিলস্নুর রহমান, আনোয়ার, সাজ্জাদ চৌধুরী সহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।