০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি বিশ্বের তেল সম্পদের নতুন এলাকা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা নিউইয়র্কের আকাশছোঁয়া মানবিক স্থাপনা: জেপি মরগান চেজ ভবনের নতুন দিগন্ত স্ট্যাটিনের বাইরে নতুন আশা: উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আসছে আধুনিক ওষুধ ও জিন-সম্পাদনার যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দক্ষ কর্মীরাই এখন অফিসের নতুন তারকা চীনের নৌবাহিনীতে নতুন শক্তি যোগ: ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরী আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন উপাদান: অ্যান্টিমনি অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের পর ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তি চুক্তি স্থগিত

ইশকুল (পর্ব-৬১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 59

আর্কাদি গাইদার

অষ্টম পরিচ্ছেদ

এদিক-ওদিক দেখে নিয়ে তিঙ্কা ফিসফিস করে বললে:

‘আজ সন্ধেয় আমাদের ওখানে আসিস। বাপি বলে দিয়েছে আসতে। ভুলিস না যেন।’

‘তোর বাবার আমাকে কী দরকার? এবার কী মতলব এ’টেছিস বল দেখি?’

‘কিছুই মতলব আঁটি নি। আসবি কিন্তু, ভুলবি না।’

তিষ্কাকে গম্ভীর ঠেকল, কিছুটা যেন উৎকণ্ঠাও রয়েছে মনে হল। বুঝলুম, ও তামাশা করছে না।

সেদিন সন্ধেয় কবরখানায় গেলুম। তখন তুষার-ঝড় বইছে। তুষারে-মোড়া টিমটিমে বাতিগুলোয় রাস্তায় আলো হয়েছে কিনা সন্দেহ। বনে আর কবরখানায় যেতে গিয়ে একটা ছোট মাঠ পার হতে হল। ধারালো তুষারফলক মুখে কেটে বসতে লাগল। মাথাটা কোটের কলারের মধ্যে ডুবিয়ে তুষারের জাজিম-পাতা পথ ধরে জোরে-জোরে কবরখানার গেটের সবুজ বাতিটা লক্ষ্য করে হাঁটতে লাগলুম। হঠাৎ একটা কবুরের পাথরে পা বেধে বরফের ওপর আছাড় খেলুম। চৌকিদারের বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ধাক্কা দিলুম, সাড়াশব্দ নেই। আবার ধাক্কা দিলুম। তারপর দরজার ওধারে পায়ের শব্দ পেলুম।

‘কে?’ চৌকিদারের পরিচিত হে’ড়ে গলা শোনা গেল।

‘আমি, ফিয়োদর-কাকা।’

‘বরিস, তুমি?’

‘হ্যাঁ। শিগগির দোর খুলুন।’

আগুনে উত্তপ্ত হয়ে-থাকা বাসার মধ্যে ঢুকলুম। টেবিলের ওপর সামোভার দাঁড় করানো। একটা প্লেটে খানিকটা মধু আর পাঁউরুটি। যেন কিছুই হয় নি এমন ভাব করে তিকা বসে-বসে একটা খাঁচা সারাচ্ছিল।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ

ইশকুল (পর্ব-৬১)

০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

অষ্টম পরিচ্ছেদ

এদিক-ওদিক দেখে নিয়ে তিঙ্কা ফিসফিস করে বললে:

‘আজ সন্ধেয় আমাদের ওখানে আসিস। বাপি বলে দিয়েছে আসতে। ভুলিস না যেন।’

‘তোর বাবার আমাকে কী দরকার? এবার কী মতলব এ’টেছিস বল দেখি?’

‘কিছুই মতলব আঁটি নি। আসবি কিন্তু, ভুলবি না।’

তিষ্কাকে গম্ভীর ঠেকল, কিছুটা যেন উৎকণ্ঠাও রয়েছে মনে হল। বুঝলুম, ও তামাশা করছে না।

সেদিন সন্ধেয় কবরখানায় গেলুম। তখন তুষার-ঝড় বইছে। তুষারে-মোড়া টিমটিমে বাতিগুলোয় রাস্তায় আলো হয়েছে কিনা সন্দেহ। বনে আর কবরখানায় যেতে গিয়ে একটা ছোট মাঠ পার হতে হল। ধারালো তুষারফলক মুখে কেটে বসতে লাগল। মাথাটা কোটের কলারের মধ্যে ডুবিয়ে তুষারের জাজিম-পাতা পথ ধরে জোরে-জোরে কবরখানার গেটের সবুজ বাতিটা লক্ষ্য করে হাঁটতে লাগলুম। হঠাৎ একটা কবুরের পাথরে পা বেধে বরফের ওপর আছাড় খেলুম। চৌকিদারের বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ধাক্কা দিলুম, সাড়াশব্দ নেই। আবার ধাক্কা দিলুম। তারপর দরজার ওধারে পায়ের শব্দ পেলুম।

‘কে?’ চৌকিদারের পরিচিত হে’ড়ে গলা শোনা গেল।

‘আমি, ফিয়োদর-কাকা।’

‘বরিস, তুমি?’

‘হ্যাঁ। শিগগির দোর খুলুন।’

আগুনে উত্তপ্ত হয়ে-থাকা বাসার মধ্যে ঢুকলুম। টেবিলের ওপর সামোভার দাঁড় করানো। একটা প্লেটে খানিকটা মধু আর পাঁউরুটি। যেন কিছুই হয় নি এমন ভাব করে তিকা বসে-বসে একটা খাঁচা সারাচ্ছিল।