০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি বিশ্বের তেল সম্পদের নতুন এলাকা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা নিউইয়র্কের আকাশছোঁয়া মানবিক স্থাপনা: জেপি মরগান চেজ ভবনের নতুন দিগন্ত স্ট্যাটিনের বাইরে নতুন আশা: উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আসছে আধুনিক ওষুধ ও জিন-সম্পাদনার যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দক্ষ কর্মীরাই এখন অফিসের নতুন তারকা চীনের নৌবাহিনীতে নতুন শক্তি যোগ: ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরী আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন উপাদান: অ্যান্টিমনি অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের পর ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তি চুক্তি স্থগিত

ইশকুল (পর্ব-৬২)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 37

আর্কাদি গাইদার

অষ্টম পরিচ্ছেদ

আমার লাল-হয়ে-ওঠা জলে-ভেজা মুখের দিকে তাকিয়ে ও বলল, ‘কি, তুষার- ঝড়?’

‘নয় তো কী,’ আমি জবাব দিলুম। ‘উহ, পায়ে যা লেগেছে। বাইরে একেবারে কালি-ঢালা অন্ধকার।’

তিষ্কা হাসল। কেন হাসল ও, বুঝলুম না। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলুম। এবার আরও জোরে হেসে উঠল তিস্কা। ওর চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝলুম আমাকে দেখে নয়, আমার পেছনে অন্য কিছু দেখে হাসছে ও। ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখি, পেছনে ফিয়োদর-কাকা আর আমার বাবা দাঁড়িয়ে।

সবাই মিলে যখন চা খেতে বসলুম তখন তিষ্কা বলল, ‘উনি তো আজ দু- দিন আমাদের সঙ্গে আছেন’।

‘দু-দি আমার বন্ধু?’ ন… আর তুই আমাকে এর আগে বলিস নি! এরপরও বলবি তুই অপরাধী-অপরাধী ভাব করে তিষ্কা প্রথমে ওর বাবার দিকে তারপর আমার বাবার দিকে চাইল। যেন ওঁদের কাছে ওর কাজের সমর্থন খুঁজছে।

ভারি ভারি হাত দিয়ে ছেলের পিঠ চাপড়ে চৌকিদার বললেন, ‘একেবারে যেন পাথর। দেখতে তেমন কেউ-কেটা না-হলে কী হবে, বেশ নির্ভর করার মতো খুদে মানুষ।’

বাবা পরে ছিলেন বেসামরিক পোশাক। তাঁকে বেশ খুশি-খুশি আর প্রাণবন্ত লাগছিল। আমাকে তিনি ইশকুলের ব্যাপার-স্যাপার জিজ্ঞেস করছিলেন আর হাসছিলেন কথায়-কথায়। বারবার বলছিলেন খালি:

‘কিছু, না.. কিছু না.. কিছু এসে-যায় না। চিন্তা কোরো না। দেখবে অখন কী দিন আসছে। কী? কিছু বুঝতে পারছ না?’

আমি বললুম আমার মনে হচ্ছে এরপর আরেক বার বকুনি খাওয়ার কারণ ঘটলেই আমাকে ইশকুল থেকে তাড়িয়ে দেবে।

‘তাতে চিন্তার কী আছে!’ ধাঁরভাবে বললেন বাবা। ‘যতক্ষণ তোমার শেখার ইচ্ছে আছে আর মাথাটা পরিষ্কার থাকছে ততক্ষণ ইশকুলে যাও আর না-যাও তুমি বোকা হয়ে থাকবে না।’

বললুম, ‘বাপি, আজ তুমি এত খুশি কেন গো, সব সময়েই হাসছ? আমাদের ইশকুলের পাদ্রিসাহেব কিন্তু তোমাকে নিয়ে একটা বক্তৃতা দিয়েছেন আর সবাই তোমার সম্বন্ধে এমনভাবে কথা বলছে যেন তুমি মরেই গেছ। আর এদিকে তুমি খুশিতে ডগমগ। ব্যাপার কী গো!’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ

ইশকুল (পর্ব-৬২)

০৮:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

অষ্টম পরিচ্ছেদ

আমার লাল-হয়ে-ওঠা জলে-ভেজা মুখের দিকে তাকিয়ে ও বলল, ‘কি, তুষার- ঝড়?’

‘নয় তো কী,’ আমি জবাব দিলুম। ‘উহ, পায়ে যা লেগেছে। বাইরে একেবারে কালি-ঢালা অন্ধকার।’

তিষ্কা হাসল। কেন হাসল ও, বুঝলুম না। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলুম। এবার আরও জোরে হেসে উঠল তিস্কা। ওর চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝলুম আমাকে দেখে নয়, আমার পেছনে অন্য কিছু দেখে হাসছে ও। ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখি, পেছনে ফিয়োদর-কাকা আর আমার বাবা দাঁড়িয়ে।

সবাই মিলে যখন চা খেতে বসলুম তখন তিষ্কা বলল, ‘উনি তো আজ দু- দিন আমাদের সঙ্গে আছেন’।

‘দু-দি আমার বন্ধু?’ ন… আর তুই আমাকে এর আগে বলিস নি! এরপরও বলবি তুই অপরাধী-অপরাধী ভাব করে তিষ্কা প্রথমে ওর বাবার দিকে তারপর আমার বাবার দিকে চাইল। যেন ওঁদের কাছে ওর কাজের সমর্থন খুঁজছে।

ভারি ভারি হাত দিয়ে ছেলের পিঠ চাপড়ে চৌকিদার বললেন, ‘একেবারে যেন পাথর। দেখতে তেমন কেউ-কেটা না-হলে কী হবে, বেশ নির্ভর করার মতো খুদে মানুষ।’

বাবা পরে ছিলেন বেসামরিক পোশাক। তাঁকে বেশ খুশি-খুশি আর প্রাণবন্ত লাগছিল। আমাকে তিনি ইশকুলের ব্যাপার-স্যাপার জিজ্ঞেস করছিলেন আর হাসছিলেন কথায়-কথায়। বারবার বলছিলেন খালি:

‘কিছু, না.. কিছু না.. কিছু এসে-যায় না। চিন্তা কোরো না। দেখবে অখন কী দিন আসছে। কী? কিছু বুঝতে পারছ না?’

আমি বললুম আমার মনে হচ্ছে এরপর আরেক বার বকুনি খাওয়ার কারণ ঘটলেই আমাকে ইশকুল থেকে তাড়িয়ে দেবে।

‘তাতে চিন্তার কী আছে!’ ধাঁরভাবে বললেন বাবা। ‘যতক্ষণ তোমার শেখার ইচ্ছে আছে আর মাথাটা পরিষ্কার থাকছে ততক্ষণ ইশকুলে যাও আর না-যাও তুমি বোকা হয়ে থাকবে না।’

বললুম, ‘বাপি, আজ তুমি এত খুশি কেন গো, সব সময়েই হাসছ? আমাদের ইশকুলের পাদ্রিসাহেব কিন্তু তোমাকে নিয়ে একটা বক্তৃতা দিয়েছেন আর সবাই তোমার সম্বন্ধে এমনভাবে কথা বলছে যেন তুমি মরেই গেছ। আর এদিকে তুমি খুশিতে ডগমগ। ব্যাপার কী গো!’