১০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৬)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 64

প্রদীপ কুমার মজুমদার

বর্ণমালার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

মানব সভ্যতার ইতিহাসে বর্ণমালার আবিষ্কার একটি ঐতিহাসিক সম্পদ বলে পরিগণিত। মানুষ নিজের ভাবকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের চিহ্ন বা চিত্র অংকন করতো যেগুলি আমরা সাধারণত, লিপি বা বর্ণমালা বলে স্বীকৃতি দিই। এই বর্ণমালার প্রথম স্তর মৌত্তিক অক্ষর বা বস্তু চিত্র (Hieroglyphics)। এটি আবার দুই ভাগে বিভক্ত যথা: (১) ভাবচিত্র (Ideographs), (২) শব্দ চিত্র (Phonetics)।

ভাবচিত্র আবার দুভাগে বিভক্ত: (ক) সরল ভাবচিত্র (Simple Ideographs), (খ) বহু ভাবচিত্র (Determinative Ideographs)। তবে অনেক পণ্ডিত মৌত্তিক অক্ষরকে প্রধানও পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। তারপর আবার এগুলিকে আরও নানা প্রকার উপভাগে ভাগ করেছেন। প্রধান পাচটি ভাগ হচ্ছে (১) মিশর দেশীয় বর্ণমালা, (২) কিউনিফর্ম বা কিলাকার বর্ণমালা, (৩) চীন দেশীয় বর্ণমালা, (৪) মেক্সিকো দেশীয় বর্ণমালা, (৫) হেটাইট বর্ণমালাসমূহ।

মিশর দেশীর বর্ণমালা পাঁচটি উপভাগে বিভক্ত। এগুলি হচ্ছে: (ক) স্তম্ভ বা স্মৃতি ফলকে অংকিত মৌত্তিক অক্ষর, (খ) কার্সিভ হাইরেটিক, (গ) সেমেটিক বর্ণমালা,
(ঘ) কার্সিভ ডেমটিক, (ঙ) কপ্টিক।

কিউনিফর্ম বর্ণমালা নয়টি উপভাগে বিভক্ত। সেগুলি হ’চ্ছে: (ক) ব্যাবিলন দেশীয় রেখাময় মৌত্তিক অক্ষর, (খ) ব্যাবিলন দেশীয় কিলাকার অপ্রচলিত বর্ণমালা, (গ) ব্যাবিলন দেশীয় পুরোহিতদের বর্ণমালা, (ঘ) সুসীয় দেশের শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (৫) আসিরীয় দেশের কিলাকার বর্ণমালা, (চ) আর্মেনীয় দেশের কিলাকার বর্ণমালা, (ছ) তৃতীয় একামেনীয় বর্ণমালা, (জ) দ্বিতীয় একামেনীয় বর্ণমালা, (বা) প্রথম একামেনীয় বর্ণমালা।

চীন দেশীয় বর্ণমালাও পাঁচটি উপভাগে বিভক্ত। সেগুলি হচ্ছে; (ক) কু-ওয়েন মৌত্তিক ভাবচিত্র, (খ) চতুষ্কোণ কিয়াসিস্থ বর্ণমালা, (গ) জাপানদেশীয় কাটাকান। শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (ঘ) জাপানদেশীয় হেরাকানা শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (৫) চলিত কিলাকার সাউ-সু বর্ণমালা।

মেক্সিকো দেশীয় বর্ণমালা দুটি উপভাগে বিভক্ত। (ক) অ্যাজটেক জাতির মৌত্তিক ভাবচিত্র, (খ) জুকাতান দেশী ময়ার বর্ণমালা। হিটাইট বর্ণমালা চারটি উপভাগে বিভক্ত। এগুলি হ’চ্ছে: (ক) কার্কেমিস্ মৌত্তিক চিত্র, (খ) এশিয়া মাইনরের এক শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (গ) লিসীয় বর্ণমালা, (ঘ) সাইপ্রিয়ট শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা।

এতগুলি উপভাগ ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বর্ণমালা, পিকটস বর্ণমালা, ল্যাপল্যাওজাতির বর্ণমালা, এস্কিমোজাতির বর্ণমালা ইত্যাদি আরও অনেক প্রকার বর্ণমালা আছে। যাই হোক বর্ণমালার বিভাগ সম্পর্কে আর গভীর আলোচনায় না গিয়ে কোথায় প্রথম বর্ণমালা সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করা যাক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৬)

১০:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

বর্ণমালার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

মানব সভ্যতার ইতিহাসে বর্ণমালার আবিষ্কার একটি ঐতিহাসিক সম্পদ বলে পরিগণিত। মানুষ নিজের ভাবকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের চিহ্ন বা চিত্র অংকন করতো যেগুলি আমরা সাধারণত, লিপি বা বর্ণমালা বলে স্বীকৃতি দিই। এই বর্ণমালার প্রথম স্তর মৌত্তিক অক্ষর বা বস্তু চিত্র (Hieroglyphics)। এটি আবার দুই ভাগে বিভক্ত যথা: (১) ভাবচিত্র (Ideographs), (২) শব্দ চিত্র (Phonetics)।

ভাবচিত্র আবার দুভাগে বিভক্ত: (ক) সরল ভাবচিত্র (Simple Ideographs), (খ) বহু ভাবচিত্র (Determinative Ideographs)। তবে অনেক পণ্ডিত মৌত্তিক অক্ষরকে প্রধানও পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। তারপর আবার এগুলিকে আরও নানা প্রকার উপভাগে ভাগ করেছেন। প্রধান পাচটি ভাগ হচ্ছে (১) মিশর দেশীয় বর্ণমালা, (২) কিউনিফর্ম বা কিলাকার বর্ণমালা, (৩) চীন দেশীয় বর্ণমালা, (৪) মেক্সিকো দেশীয় বর্ণমালা, (৫) হেটাইট বর্ণমালাসমূহ।

মিশর দেশীর বর্ণমালা পাঁচটি উপভাগে বিভক্ত। এগুলি হচ্ছে: (ক) স্তম্ভ বা স্মৃতি ফলকে অংকিত মৌত্তিক অক্ষর, (খ) কার্সিভ হাইরেটিক, (গ) সেমেটিক বর্ণমালা,
(ঘ) কার্সিভ ডেমটিক, (ঙ) কপ্টিক।

কিউনিফর্ম বর্ণমালা নয়টি উপভাগে বিভক্ত। সেগুলি হ’চ্ছে: (ক) ব্যাবিলন দেশীয় রেখাময় মৌত্তিক অক্ষর, (খ) ব্যাবিলন দেশীয় কিলাকার অপ্রচলিত বর্ণমালা, (গ) ব্যাবিলন দেশীয় পুরোহিতদের বর্ণমালা, (ঘ) সুসীয় দেশের শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (৫) আসিরীয় দেশের কিলাকার বর্ণমালা, (চ) আর্মেনীয় দেশের কিলাকার বর্ণমালা, (ছ) তৃতীয় একামেনীয় বর্ণমালা, (জ) দ্বিতীয় একামেনীয় বর্ণমালা, (বা) প্রথম একামেনীয় বর্ণমালা।

চীন দেশীয় বর্ণমালাও পাঁচটি উপভাগে বিভক্ত। সেগুলি হচ্ছে; (ক) কু-ওয়েন মৌত্তিক ভাবচিত্র, (খ) চতুষ্কোণ কিয়াসিস্থ বর্ণমালা, (গ) জাপানদেশীয় কাটাকান। শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (ঘ) জাপানদেশীয় হেরাকানা শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (৫) চলিত কিলাকার সাউ-সু বর্ণমালা।

মেক্সিকো দেশীয় বর্ণমালা দুটি উপভাগে বিভক্ত। (ক) অ্যাজটেক জাতির মৌত্তিক ভাবচিত্র, (খ) জুকাতান দেশী ময়ার বর্ণমালা। হিটাইট বর্ণমালা চারটি উপভাগে বিভক্ত। এগুলি হ’চ্ছে: (ক) কার্কেমিস্ মৌত্তিক চিত্র, (খ) এশিয়া মাইনরের এক শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, (গ) লিসীয় বর্ণমালা, (ঘ) সাইপ্রিয়ট শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা।

এতগুলি উপভাগ ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বর্ণমালা, পিকটস বর্ণমালা, ল্যাপল্যাওজাতির বর্ণমালা, এস্কিমোজাতির বর্ণমালা ইত্যাদি আরও অনেক প্রকার বর্ণমালা আছে। যাই হোক বর্ণমালার বিভাগ সম্পর্কে আর গভীর আলোচনায় না গিয়ে কোথায় প্রথম বর্ণমালা সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করা যাক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৫)