১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শীতের সঙ্গে বাড়ছে ব্লেজারের কদর

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 14

রেজাই রাব্বী

দরজায় কড়া নাড়ছে পৌষ মাস। অথচ শীতের তীব্রতা শুরু হয়েছে প্রায় সব অঞ্চলেই। রাজধানীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। চলতি বছরে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ঢাকায় শীত অনুভূত হলেও ডিসেম্বরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সম্প্রতি দুপুর পর্যন্তও দেখা মেলে না সূর্যের। এতে কমেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছে বায়ু দূষণ বেশি থাকায় এবছরে অগ্রিম অনুভূত হচ্ছে শীত।

শীতকাল মানেই স্টাইলিং এর জন্য আদর্শ সময়। শীতকে কেন্দ্র করে জমে উঠে পুরনো ও নতুন কাপড় বেচাকেনার ধুম।
বলছিলাম রাজধানীর গুলিস্থান জিপিও ও বাইতুল মোকাররমের ফুটপাতের সামনে জমে উঠেছে ব্লেজার বেচাকেনার দোকান। হাক-ডাক দিয়ে ব্লেজার বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় মিলছে ব্লেজার। সব শ্রেণীর মানুষই ব্লেজার কিনছেন। দেখা মেলে অসংখ্য সারি সারি ব্লেজারও কটির দোকান। কালারফুল কটি ১০০০ টাকা করে এবং এক কালার গুলো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে।

দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় স্বল্প টাকায় সব ধরনের কটির সমাহার। রয়েছে ছোট থেকে বড় সব বয়সীদের জন্য নানা ডিজাইনের, নানা রঙের লং, শর্ট, ফর্মাল ব্লেজার এমন কি পাঞ্জাবের সাথে পড়ার জন্য রয়েছে নানান রঙ ও প্রিন্টের সৌখিন সব কটি।

ব্লেজার কিনতে আসা রতন বলেন, দাম চাইল ৩২০০ টাকা কিনলাম ২০০০ টাকায়। এখানে তুলনামূলক একটু দাম কম পাওয়া যায়।
কম দামে ব্লেজার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা মুরাদ মিয়া সারাক্ষণ প্রতিবেদককে বলেন, এখানে আমাদের তেমন দোকান ভাড়া নাই ১০০ টাকা লাভ হলে আমরা মাল (ব্লেজার) বিক্রি করে দেই। কিন্তু দোকানে হলে আমরা সেটি করতে পারতাম না আমাদের নূন্যতম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ রাখতে হতো।

তিনি আরোও বলেন, এখানে আপনি সব ধরনের ব্লেজার পাবেন। এখানে সব ধরনের মানুষই আসে সচিবালয় থেকে শুরু করে রিক্সাওয়ালা সবাই এসে ব্লেজার কিনেন।

আরেক বিক্রেতা স্বাধীন জানান, প্রত্যেক দিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টা করে ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে আরো বেশি বিক্রি বাড়বে।

তিনি আরো জানান,  সকাল থেকে শুরু করে রাত দশটা পর্যন্ত শীত   মৌসুমে তিন থেকে চার মাস ব্যবসা হয়ে থাকে তাদের ।

সারাক্ষণ প্রতিবেদকের সাথে আরো কথা হয় ব্লেজার কিনতে আসা দুজন যুবকের সাথে, তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্বল্পমূল্যে পছন্দ অনুযায়ী ব্লেজার কেনার জন্য।  তারা প্রতিবেদককে বলেন একদিকে শীত অন্যদিকে বিয়ের মৌসুম তাই সময়টা এখন কোর্ট ব্লেজার পরে ঘুরে বেড়ানোর।

শীতের সঙ্গে বাড়ছে ব্লেজারের কদর

১০:০০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

দরজায় কড়া নাড়ছে পৌষ মাস। অথচ শীতের তীব্রতা শুরু হয়েছে প্রায় সব অঞ্চলেই। রাজধানীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। চলতি বছরে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ঢাকায় শীত অনুভূত হলেও ডিসেম্বরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সম্প্রতি দুপুর পর্যন্তও দেখা মেলে না সূর্যের। এতে কমেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছে বায়ু দূষণ বেশি থাকায় এবছরে অগ্রিম অনুভূত হচ্ছে শীত।

শীতকাল মানেই স্টাইলিং এর জন্য আদর্শ সময়। শীতকে কেন্দ্র করে জমে উঠে পুরনো ও নতুন কাপড় বেচাকেনার ধুম।
বলছিলাম রাজধানীর গুলিস্থান জিপিও ও বাইতুল মোকাররমের ফুটপাতের সামনে জমে উঠেছে ব্লেজার বেচাকেনার দোকান। হাক-ডাক দিয়ে ব্লেজার বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় মিলছে ব্লেজার। সব শ্রেণীর মানুষই ব্লেজার কিনছেন। দেখা মেলে অসংখ্য সারি সারি ব্লেজারও কটির দোকান। কালারফুল কটি ১০০০ টাকা করে এবং এক কালার গুলো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে।

দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় স্বল্প টাকায় সব ধরনের কটির সমাহার। রয়েছে ছোট থেকে বড় সব বয়সীদের জন্য নানা ডিজাইনের, নানা রঙের লং, শর্ট, ফর্মাল ব্লেজার এমন কি পাঞ্জাবের সাথে পড়ার জন্য রয়েছে নানান রঙ ও প্রিন্টের সৌখিন সব কটি।

ব্লেজার কিনতে আসা রতন বলেন, দাম চাইল ৩২০০ টাকা কিনলাম ২০০০ টাকায়। এখানে তুলনামূলক একটু দাম কম পাওয়া যায়।
কম দামে ব্লেজার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা মুরাদ মিয়া সারাক্ষণ প্রতিবেদককে বলেন, এখানে আমাদের তেমন দোকান ভাড়া নাই ১০০ টাকা লাভ হলে আমরা মাল (ব্লেজার) বিক্রি করে দেই। কিন্তু দোকানে হলে আমরা সেটি করতে পারতাম না আমাদের নূন্যতম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ রাখতে হতো।

তিনি আরোও বলেন, এখানে আপনি সব ধরনের ব্লেজার পাবেন। এখানে সব ধরনের মানুষই আসে সচিবালয় থেকে শুরু করে রিক্সাওয়ালা সবাই এসে ব্লেজার কিনেন।

আরেক বিক্রেতা স্বাধীন জানান, প্রত্যেক দিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টা করে ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে আরো বেশি বিক্রি বাড়বে।

তিনি আরো জানান,  সকাল থেকে শুরু করে রাত দশটা পর্যন্ত শীত   মৌসুমে তিন থেকে চার মাস ব্যবসা হয়ে থাকে তাদের ।

সারাক্ষণ প্রতিবেদকের সাথে আরো কথা হয় ব্লেজার কিনতে আসা দুজন যুবকের সাথে, তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্বল্পমূল্যে পছন্দ অনুযায়ী ব্লেজার কেনার জন্য।  তারা প্রতিবেদককে বলেন একদিকে শীত অন্যদিকে বিয়ের মৌসুম তাই সময়টা এখন কোর্ট ব্লেজার পরে ঘুরে বেড়ানোর।