০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 18

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’

 

 

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’