০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 81

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬)

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’