০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি ঢাকায় দিনের আলোয় গুলিতে নিহত একজন স্ট্রিমিং যুগে হলিউড: নাম নয়, কারিগরি ও ধারাবাহিকতা শিক্ষায় সরলীকৃত চীনা: অনমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজন বাস্তব সংস্কার মাইক্রো-ড্রামা: ছোট পর্বে পূর্ণ কাহিনি সমাধিক্ষেত্রের পদচিহ্নে ইতিহাস ও কল্পনার ছায়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উঠছে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ — ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ঢাল নাকি এক মহাকল্পনার সাম্রাজ্য? তানজিন তিশা: আলো, প্রতিভা আর আত্মনির্ভরতার দীপ্ত গল্প জাপানের ট্রেডিং হাউসগুলো ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলছে অ্যানথ্রপিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসা: ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্বেগ

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 60

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৫৪)

০৮:০০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

‘তোর বাবা সম্বন্ধে আমি মন্দ কথা বলতে চাই নে। তবে ও যা করেছিল, কী জানি বাবা, আমি তো তার কোনো অর্থ বুঝি নে। যদি জিজ্ঞেসা করিস তো বলি, তোর বাবার বুদ্ধিসুদ্ধি বড় কম ছিল, খালি গোলমাল পাকাতেই জানত।

আমাকেও সাত ঝামেলায় প্রায় জড়িয়ে ফেলেছিল আর কী। অফিস থেকে তখন সবে আমায় ফোরম্যানের পদটা দেবে বলে ঠিক করেছে, এমন সময় হঠাৎ কোত্থাও কিছু নেই, অফিস থেকে একদিন বলে কিনা: ‘ও, তোমার বাসায় যে আত্মীয়টি আসত সে বুঝি ওইরকম?’ কোনোক্রমে ব্যাপারটা চাপা দিতে পথ পাই না তখন।’

বাটি থেকে মাংসসুদ্ধ এক-টুকরো হাড় তুলে নিয়ে তার ওপর ঘন করে মাস্টার্ড আর নূন ছড়িয়ে তাতে বড়-বড় হলদে দাঁতগুলো বসিয়ে দিলেন। তারপর ব্যাজার হয়ে মাথা নাড়লেন মামাবাবু।

তাঁর স্ত্রী, আমার মামীমা, দেখতে লম্বা, সুন্দর গড়নপেটন, খাওয়ার পর উনি মামাকে একটা রঙ-করা মাটির পাত্রে বাড়িতে-তৈরি ভাস এনে দিলেন। মামা ওঁকে বললেন:

‘এখন একটু ঘুমুব। ঘণ্টাখানেক পরে ডেকে দিও আমায়। ভার্ভারা-বোনটাকে দু-ছত্তর চিঠি লিখতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় বরিসের হাতে চিঠিটা দিয়ে দেব।’

‘ও কখন যাবে?’

‘কেন, আসচে কাল।’

এমন সময় জানলায় কে যেন টোকা দিল।

‘নিকোলাই-কাকা, জমায়েতে আসচেন তো?’ বাইরের রাস্তা থেকে কে যেন বলল।

‘কোথায় আসছি?’

‘জমায়েতে। চৌকো ময়দানে এখনই মেলা নোক।’