ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা করেছে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ। তারা ‘ভাঙা’ বাড়িতেই লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করেছে বলে বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, প্রায় পাঁচ-সাতশো লোক সেখানে অবস্থান করছেন।
এদিকে, সেখানে বিক্ষুব্ধদের মিছিল করার কথা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ মাসুদ।
“সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। আরও পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
তবে হামলা বা ভাঙচুর করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে উত্তর দেননি মি. মাসুদ।
বিক্ষোভকারীরা স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। বাড়ির ভেতরের প্রবেশ করে একদল বিক্ষোভকারী ভাঙচুর চালায়। বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুড়িয়ে দেয়া হবে এমন গুঞ্জনও ছিল । তবে সেখানে কোনো বুলডোজার দেখা যায়নি।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাস পর ছাত্র সমাজের উদ্দেশে শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা জানানো হয় গতকাল। এর তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয় ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই ভাঙচুর শুরু হয় সেখানে।
বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।”
এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচি দিয়ে প্রচারণাও চালানো হয় বিভিন্ন আইডি থেকে।
‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসা বাড়িটি পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই জনরোষের শিকার হয়। সেদিনই সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
বিবিসি নিউজ বাংলা