০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ, প্রশ্ন

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 53

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এক্সক্যাভেটর দিয়ে ভাঙা হচ্ছে

কাদির কল্লোল

ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ এবং সুধাসদনেই থেমে থাকেনি হামলা-ভাঙচুর। খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় ব্যবহার করা হয় বুলডোজার, এক্সকাভেটর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ভূমিকা রেখেছে, এরকম কোনো উদাহরণও নেই।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কিন্তু ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন বা চরিত্র দেখে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, এর পেছনে এক ধরনের প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের দিক থেকে সেভাবে শক্ত অবস্থান দৃশ্যমান ছিল না।

ফলে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের এবং প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ভাঙচুরের ঘটনা শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

সারারাত এবং পরদিনও যখন ঘটনা ঘটেই চলেছে, তখন বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে ভাঙচুর চলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে

সরকার এ বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের একটা অবস্থান তুলে ধরেছে। তবে বক্তব্য দেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারেরই কারও কারও মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল বলে মনে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে কথা হচ্ছিল একজন উপদেষ্টার সঙ্গে। তিনি অনানুষ্ঠিকভাবে বলছিলেন, সরকারের অবস্থান তার জানা নেই এবং অব্যাহত ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি হতভম্ভ হয়েছেন।

অন্যদিকে শেষপর্যন্ত সরকার যে বক্তব্য দিয়েছে, এর মাধ্যমে তারা দায় এড়াতে চাইছে কি না, এমন আলোচনাও উঠছে।

রাজনীতিকেদেরই কেউ কেউ মনে করেন, বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে ঘোষণা দিয়ে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, এর দায় এড়াতে পারে না সরকার এবং তা সরকারের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করেছে।

পরিস্থিতির নানা প্রভাব পড়তে পারে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘটনার ব্যাপারে বেশ সতর্ক বলে মনে হয়েছে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ভাঙচুরের ঘটনা শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে

দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে ঘটনার ব্যাপারে সরকারের ভূমিকায় বিএনপির নেতাদের অনেকের মধ্যে সন্দেহ এবং অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, ভাঙচুরের ঘটনাগুলো যে রাতদিন ধরে চলেছে, এতে তারা হতবাক হয়েছেন; বিস্মিত হয়েছেন।

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন একইরকম এবং এর পেছনে প্রস্তুতি ছিল। বিএনপির মিত্র কোনো দলও একইভাবে মূল্যায়ন করছে পরিস্থিতিটাকে।

বিএনপি’র একজন নেতাই এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলেছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ এক অনুষ্ঠানে বলেন, “গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনও চলমান। এটি কারা করেছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে নাই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল সেই তথ্য আমাদের কাছে নাই।”

পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন বলেও জানান তিনি।

তবে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ভিন্ন, দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পা্ওয়া গেছে। দলটির নেতাদের অনেকে ঘটনার জন্য শেখ হাসিনার বক্তব্য দে্ওয়ার বিষয়কেই মূল কারণ হিসেবে দেখেন। এছাড়া তাদের কথায় ঘটনাগুলোর পক্ষেই যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা ছিল।

বিএনপির মিত্র গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ঘটনা যে কারণেই ঘটুক না কেন- সরকার পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না।

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন একইরকম এবং এর পেছনে প্রস্তুতি ছিল।

ভাঙচুরের ঘটনায় যে সব সংগঠন এবং সামাজিক মাধ্যমে যারা যারা সক্রিয়, তারাও তাদের এমন অবস্থানের ক্ষেত্রে ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার বিষয়কে তুলে ধরেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেও বক্তব্য দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদেরও অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা থেকে বুলডোজার বা এক্সকাভেটর নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের সময় সংঘবদ্ধভাবে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। ফলে এর পেছনে একটা প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের পতন হলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সেদিন ঢাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং সারাদেশে দলটির নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। এবার হামলায় ভবনগুলোই গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও সরকারের বক্তব্যে ঘটনাগুলোর পক্ষেই এক ধরনের যুক্তি এসেছে বলা যায়। কিন্তু এতে কার লাভ বা কার ক্ষতি, সেই হিসাব-নিকাশ করা এ মুহূর্তে কঠিন।

অন্যদিকে, ঘটনাগুলো দেশে একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে রাজনীতিকদেরই অনেকে মনে করেন।

বিবিসি নিউজ বাংলা

ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ, প্রশ্ন

০৪:০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কাদির কল্লোল

ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ এবং সুধাসদনেই থেমে থাকেনি হামলা-ভাঙচুর। খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় ব্যবহার করা হয় বুলডোজার, এক্সকাভেটর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ভূমিকা রেখেছে, এরকম কোনো উদাহরণও নেই।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কিন্তু ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন বা চরিত্র দেখে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, এর পেছনে এক ধরনের প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের দিক থেকে সেভাবে শক্ত অবস্থান দৃশ্যমান ছিল না।

ফলে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের এবং প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ভাঙচুরের ঘটনা শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

সারারাত এবং পরদিনও যখন ঘটনা ঘটেই চলেছে, তখন বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে ভাঙচুর চলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে

সরকার এ বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের একটা অবস্থান তুলে ধরেছে। তবে বক্তব্য দেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারেরই কারও কারও মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল বলে মনে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে কথা হচ্ছিল একজন উপদেষ্টার সঙ্গে। তিনি অনানুষ্ঠিকভাবে বলছিলেন, সরকারের অবস্থান তার জানা নেই এবং অব্যাহত ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি হতভম্ভ হয়েছেন।

অন্যদিকে শেষপর্যন্ত সরকার যে বক্তব্য দিয়েছে, এর মাধ্যমে তারা দায় এড়াতে চাইছে কি না, এমন আলোচনাও উঠছে।

রাজনীতিকেদেরই কেউ কেউ মনে করেন, বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে ঘোষণা দিয়ে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, এর দায় এড়াতে পারে না সরকার এবং তা সরকারের ভাবমূতি ক্ষুণ্ন করেছে।

পরিস্থিতির নানা প্রভাব পড়তে পারে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘটনার ব্যাপারে বেশ সতর্ক বলে মনে হয়েছে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ভাঙচুরের ঘটনা শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে

দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে ঘটনার ব্যাপারে সরকারের ভূমিকায় বিএনপির নেতাদের অনেকের মধ্যে সন্দেহ এবং অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, ভাঙচুরের ঘটনাগুলো যে রাতদিন ধরে চলেছে, এতে তারা হতবাক হয়েছেন; বিস্মিত হয়েছেন।

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন একইরকম এবং এর পেছনে প্রস্তুতি ছিল। বিএনপির মিত্র কোনো দলও একইভাবে মূল্যায়ন করছে পরিস্থিতিটাকে।

বিএনপি’র একজন নেতাই এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলেছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ এক অনুষ্ঠানে বলেন, “গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনও চলমান। এটি কারা করেছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে নাই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল সেই তথ্য আমাদের কাছে নাই।”

পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন বলেও জানান তিনি।

তবে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ভিন্ন, দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পা্ওয়া গেছে। দলটির নেতাদের অনেকে ঘটনার জন্য শেখ হাসিনার বক্তব্য দে্ওয়ার বিষয়কেই মূল কারণ হিসেবে দেখেন। এছাড়া তাদের কথায় ঘটনাগুলোর পক্ষেই যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা ছিল।

বিএনপির মিত্র গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ঘটনা যে কারণেই ঘটুক না কেন- সরকার পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না।

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন একইরকম এবং এর পেছনে প্রস্তুতি ছিল।

ভাঙচুরের ঘটনায় যে সব সংগঠন এবং সামাজিক মাধ্যমে যারা যারা সক্রিয়, তারাও তাদের এমন অবস্থানের ক্ষেত্রে ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার বিষয়কে তুলে ধরেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেও বক্তব্য দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদেরও অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা থেকে বুলডোজার বা এক্সকাভেটর নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের সময় সংঘবদ্ধভাবে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। ফলে এর পেছনে একটা প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের পতন হলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সেদিন ঢাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং সারাদেশে দলটির নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। এবার হামলায় ভবনগুলোই গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও সরকারের বক্তব্যে ঘটনাগুলোর পক্ষেই এক ধরনের যুক্তি এসেছে বলা যায়। কিন্তু এতে কার লাভ বা কার ক্ষতি, সেই হিসাব-নিকাশ করা এ মুহূর্তে কঠিন।

অন্যদিকে, ঘটনাগুলো দেশে একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে রাজনীতিকদেরই অনেকে মনে করেন।

বিবিসি নিউজ বাংলা