১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
নিজের জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে লিখলেন উপন্যাস ‘দ্য সিস্টার্স’ হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭২)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • 16

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি প্রাসঙ্গিক দিক হল কর দান বা কর আদায়ের ব্যবস্থা। ইনকা সমাজে খাদ্যই ছিল কর-এর একটি প্রধান একক। সাধারণভাবে বলা হয় ইনকা সমাজে কর দেওয়া হয় শ্রমদানের মাধ্যমে। কোবো বলেন যে, প্রত্যেকেই রাজাকে ব্যক্তিগতভাবে সেবা প্রদান করেন। কোবোর আরও মত হল এই ব্যবস্থাকে অনেকে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে ভারত না।

ইনকাদের মধ্যে একটা বিষয়ে বিতর্ক ছিল যে শ্রম (labour) না পণ্য দ্রব্য কোনটিকে কর হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কোবো, পোলো এবং অন্যান্য স্প্যানিশ লেখক জমির ফসল-এর শ্রম (labour)-কে-ই কর হিসেবে মনে করতেন। এই ব্যবস্থার মূল কারণ হিসেবে তারা মনে করেন যে ইনকাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় টাকার প্রাধান্য থাকার ফলে শ্রমদান করাকে কার্যত কর দেওয়ার বিকল্প হিসেবে ভাবা হত।

তবে অনেক সময় ইনকা বা শাসকদের এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কর কোনটি এ নিয়ে কিছুটা সমস্যা সন্দেহ তৈরি হত। তবে তা সত্বেও একথা বলা যায় যে কর ব্যবস্থাকে কৃষি শ্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত করার রীতি ছিল। এর সঙ্গে ছিল পরিষেবা দান যাকে ইনকা ভাষায় বলা হত মিতা (Mia)।

আবার এমনও দেখা যেত যে প্রাদেশিক প্রশাসক এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দেয় করকে তার সঠিক মর্যাদা দেওয়া হত না। এছাড়া কৃষি কর দাতাদের মধ্যে একটি শ্রেণিবিভাজন করে দেওয়া হত।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭১)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭১)

 

নিজের জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে লিখলেন উপন্যাস ‘দ্য সিস্টার্স’

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭২)

০৭:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি প্রাসঙ্গিক দিক হল কর দান বা কর আদায়ের ব্যবস্থা। ইনকা সমাজে খাদ্যই ছিল কর-এর একটি প্রধান একক। সাধারণভাবে বলা হয় ইনকা সমাজে কর দেওয়া হয় শ্রমদানের মাধ্যমে। কোবো বলেন যে, প্রত্যেকেই রাজাকে ব্যক্তিগতভাবে সেবা প্রদান করেন। কোবোর আরও মত হল এই ব্যবস্থাকে অনেকে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে ভারত না।

ইনকাদের মধ্যে একটা বিষয়ে বিতর্ক ছিল যে শ্রম (labour) না পণ্য দ্রব্য কোনটিকে কর হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কোবো, পোলো এবং অন্যান্য স্প্যানিশ লেখক জমির ফসল-এর শ্রম (labour)-কে-ই কর হিসেবে মনে করতেন। এই ব্যবস্থার মূল কারণ হিসেবে তারা মনে করেন যে ইনকাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় টাকার প্রাধান্য থাকার ফলে শ্রমদান করাকে কার্যত কর দেওয়ার বিকল্প হিসেবে ভাবা হত।

তবে অনেক সময় ইনকা বা শাসকদের এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কর কোনটি এ নিয়ে কিছুটা সমস্যা সন্দেহ তৈরি হত। তবে তা সত্বেও একথা বলা যায় যে কর ব্যবস্থাকে কৃষি শ্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত করার রীতি ছিল। এর সঙ্গে ছিল পরিষেবা দান যাকে ইনকা ভাষায় বলা হত মিতা (Mia)।

আবার এমনও দেখা যেত যে প্রাদেশিক প্রশাসক এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দেয় করকে তার সঠিক মর্যাদা দেওয়া হত না। এছাড়া কৃষি কর দাতাদের মধ্যে একটি শ্রেণিবিভাজন করে দেওয়া হত।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭১)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭১)