০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু

নাজিরা বাজারের রাতের সরগরম: ঐতিহ্যবাহী খাবারের টানে মানুষের ভিড়

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • 461

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে বিশেষ ভিড় দেখা যায়
  • খাবারের মান বজায় রাখার পাশাপাশি ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি করা উচিত
  • রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয়, যা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়
  • পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি এখানকার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানোও অনেকের কাছে আনন্দের

ঢাকার নাজিরা বাজারের কাজী আলাউদ্দিন রোড মধ্যরাতেও জমজমাট থাকে। রাত আড়াইটা হলেও এ সড়ক জেগে থাকে হাজারো মানুষের কোলাহলে। শহরের নীরবতা ভেঙে এখানে মুখরোচক খাবারের টানে ছুটে আসেন ভোজনপ্রেমীরা। রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন খাবারের দোকানে পরিবেশন করা হয় বিরিয়ানি, কাবাব, লাচ্ছি, মিষ্টি, ও পানের মতো নানা স্বাদের খাবার।

সেহরির জন্য ভিড়

রমজান মাস উপলক্ষে অনেকেই সেহরি করতে আসেন নাজিরা বাজারে। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের জনপ্রিয়তা সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই ভিড় লেগে থাকে।

  • বিউটি লাচ্ছির কর্মচারীর মন্তব্য:
    তিনি জানান, গরমের রাতে পরিবারের সঙ্গে সেহরি করতে আসেন অনেক মানুষ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ে।
  • ভোজনরসিক আমেনার অভিজ্ঞতা:
    তিনি বলেন, “পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের খাবারের কদর সবসময়ই থাকে। হানিফ বিরিয়ানি, হাজী বিরিয়ানি, মুসলিম কাবাবের স্বাদ নিতে এসেছি। সেহরি আর আনন্দ—দু’টোই একসঙ্গে উপভোগ করছি।”

পান ও অন্যান্য খাবারের কদর

পান বিক্রেতা করিম মিয়া জানান, রমজান মাসে আগুন পানের স্বাদ নিতে অনেকেই আসেন। রাতে লোক সমাগম বেশি হওয়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভোজনপ্রেমীরা

  • পারভেজ মোশারফতেজগাঁও:
    “আমরা সাতজন বন্ধু একসঙ্গে এসেছি। রাত বাড়তেই পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছি। বিভিন্ন খাবার উপভোগের পর সেহরি করে বাড়ি ফিরব।”
  • ওয়ালিদসাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী:
    “বন্ধুদের সাথে সেহরির স্বাদ নিতে এসেছি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে হাঁটতে হাঁটতে কাচ্চি, নেহারি, বাখরখানি—সবকিছুর মধ্যেই পুরনো দিনের সুবাস অনুভব করেছি। এমন রাত সত্যিই স্মরণীয়।”

খাবারের দাম নিয়ে অভিযোগ

শিক্ষার্থী ফয়সাল জানান, ভীড়ের পাশাপাশি খাবারের দাম নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। তার মতে, ব্যবসায়ীদের উচিত খাবারের মান বজায় রাখা ও ন্যায্য দামে খাবার পরিবেশন করা।

উপসংহার

পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার শুধু একটি খাবারের স্থান নয়, বরং একটিসাংস্কৃতিক মিলনমেলা। সেহরির সময় এখানে জমে ওঠে অনন্য এক পরিবেশ, যেখানে খাবারের স্বাদ আর মুহূর্তের স্মৃতি দীর্ঘদিন মনে গেঁথে থাকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে

নাজিরা বাজারের রাতের সরগরম: ঐতিহ্যবাহী খাবারের টানে মানুষের ভিড়

০৫:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে বিশেষ ভিড় দেখা যায়
  • খাবারের মান বজায় রাখার পাশাপাশি ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি করা উচিত
  • রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয়, যা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়
  • পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি এখানকার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানোও অনেকের কাছে আনন্দের

ঢাকার নাজিরা বাজারের কাজী আলাউদ্দিন রোড মধ্যরাতেও জমজমাট থাকে। রাত আড়াইটা হলেও এ সড়ক জেগে থাকে হাজারো মানুষের কোলাহলে। শহরের নীরবতা ভেঙে এখানে মুখরোচক খাবারের টানে ছুটে আসেন ভোজনপ্রেমীরা। রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন খাবারের দোকানে পরিবেশন করা হয় বিরিয়ানি, কাবাব, লাচ্ছি, মিষ্টি, ও পানের মতো নানা স্বাদের খাবার।

সেহরির জন্য ভিড়

রমজান মাস উপলক্ষে অনেকেই সেহরি করতে আসেন নাজিরা বাজারে। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের জনপ্রিয়তা সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই ভিড় লেগে থাকে।

  • বিউটি লাচ্ছির কর্মচারীর মন্তব্য:
    তিনি জানান, গরমের রাতে পরিবারের সঙ্গে সেহরি করতে আসেন অনেক মানুষ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ে।
  • ভোজনরসিক আমেনার অভিজ্ঞতা:
    তিনি বলেন, “পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের খাবারের কদর সবসময়ই থাকে। হানিফ বিরিয়ানি, হাজী বিরিয়ানি, মুসলিম কাবাবের স্বাদ নিতে এসেছি। সেহরি আর আনন্দ—দু’টোই একসঙ্গে উপভোগ করছি।”

পান ও অন্যান্য খাবারের কদর

পান বিক্রেতা করিম মিয়া জানান, রমজান মাসে আগুন পানের স্বাদ নিতে অনেকেই আসেন। রাতে লোক সমাগম বেশি হওয়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভোজনপ্রেমীরা

  • পারভেজ মোশারফতেজগাঁও:
    “আমরা সাতজন বন্ধু একসঙ্গে এসেছি। রাত বাড়তেই পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছি। বিভিন্ন খাবার উপভোগের পর সেহরি করে বাড়ি ফিরব।”
  • ওয়ালিদসাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী:
    “বন্ধুদের সাথে সেহরির স্বাদ নিতে এসেছি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে হাঁটতে হাঁটতে কাচ্চি, নেহারি, বাখরখানি—সবকিছুর মধ্যেই পুরনো দিনের সুবাস অনুভব করেছি। এমন রাত সত্যিই স্মরণীয়।”

খাবারের দাম নিয়ে অভিযোগ

শিক্ষার্থী ফয়সাল জানান, ভীড়ের পাশাপাশি খাবারের দাম নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। তার মতে, ব্যবসায়ীদের উচিত খাবারের মান বজায় রাখা ও ন্যায্য দামে খাবার পরিবেশন করা।

উপসংহার

পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার শুধু একটি খাবারের স্থান নয়, বরং একটিসাংস্কৃতিক মিলনমেলা। সেহরির সময় এখানে জমে ওঠে অনন্য এক পরিবেশ, যেখানে খাবারের স্বাদ আর মুহূর্তের স্মৃতি দীর্ঘদিন মনে গেঁথে থাকে।