সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে বিশেষ ভিড় দেখা যায়
- খাবারের মান বজায় রাখার পাশাপাশি ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি করা উচিত
- রমজান মাসে সেহরির সময় এখানে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয়, যা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়
- পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি এখানকার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানোও অনেকের কাছে আনন্দের
ঢাকার নাজিরা বাজারের কাজী আলাউদ্দিন রোড মধ্যরাতেও জমজমাট থাকে। রাত আড়াইটা হলেও এ সড়ক জেগে থাকে হাজারো মানুষের কোলাহলে। শহরের নীরবতা ভেঙে এখানে মুখরোচক খাবারের টানে ছুটে আসেন ভোজনপ্রেমীরা। রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন খাবারের দোকানে পরিবেশন করা হয় বিরিয়ানি, কাবাব, লাচ্ছি, মিষ্টি, ও পানের মতো নানা স্বাদের খাবার।
সেহরির জন্য ভিড়
রমজান মাস উপলক্ষে অনেকেই সেহরি করতে আসেন নাজিরা বাজারে। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের জনপ্রিয়তা সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই ভিড় লেগে থাকে।
- বিউটি লাচ্ছির কর্মচারীর মন্তব্য:
তিনি জানান, গরমের রাতে পরিবারের সঙ্গে সেহরি করতে আসেন অনেক মানুষ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ে। - ভোজনরসিক আমেনার অভিজ্ঞতা:
তিনি বলেন, “পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের খাবারের কদর সবসময়ই থাকে। হানিফ বিরিয়ানি, হাজী বিরিয়ানি, মুসলিম কাবাবের স্বাদ নিতে এসেছি। সেহরি আর আনন্দ—দু’টোই একসঙ্গে উপভোগ করছি।”
পান ও অন্যান্য খাবারের কদর
পান বিক্রেতা করিম মিয়া জানান, রমজান মাসে আগুন পানের স্বাদ নিতে অনেকেই আসেন। রাতে লোক সমাগম বেশি হওয়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভোজনপ্রেমীরা
- পারভেজ মোশারফ, তেজগাঁও:
“আমরা সাতজন বন্ধু একসঙ্গে এসেছি। রাত বাড়তেই পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছি। বিভিন্ন খাবার উপভোগের পর সেহরি করে বাড়ি ফিরব।” - ওয়ালিদ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী:
“বন্ধুদের সাথে সেহরির স্বাদ নিতে এসেছি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে হাঁটতে হাঁটতে কাচ্চি, নেহারি, বাখরখানি—সবকিছুর মধ্যেই পুরনো দিনের সুবাস অনুভব করেছি। এমন রাত সত্যিই স্মরণীয়।”
খাবারের দাম নিয়ে অভিযোগ
শিক্ষার্থী ফয়সাল জানান, ভীড়ের পাশাপাশি খাবারের দাম নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। তার মতে, ব্যবসায়ীদের উচিত খাবারের মান বজায় রাখা ও ন্যায্য দামে খাবার পরিবেশন করা।
উপসংহার
পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার শুধু একটি খাবারের স্থান নয়, বরং একটিসাংস্কৃতিক মিলনমেলা। সেহরির সময় এখানে জমে ওঠে অনন্য এক পরিবেশ, যেখানে খাবারের স্বাদ আর মুহূর্তের স্মৃতি দীর্ঘদিন মনে গেঁথে থাকে।