০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
বিলুপ্ত পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের সেবা চলমান থাকবে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসে ছাত্রদলের হামলা টরন্টোতে মাধুরী দীক্ষিতের শো ঘিরে বিতর্ক: দেরির দায় টিমের ভুল তথ্য, জানালেন আয়োজকরা কক্সবাজারে ব্রিজের নিচে বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার চলছো কি দিগন্তের পথে? ৫ শতাংশের কাছাকাছি সুদে জমা রাখার সুযোগ এখনো রয়েছে জাতীয় দলের কোচিং সেটআপ ছাড়ছেন সালাহউদ্দিন জাতীয় নির্বাচনে নারীদের ১৫০ আসনে মনোনয়নের দাবি পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত: একীভূত ইসলামী ব্যাংক গঠনের পথে চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • 96

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

রাজা যখন স্নান করেন, বা্য সহকারে স্তোত্র পাঠ হয়। সকলেই পুজার আগে স্নান করেন।

লিপি: ভাষা: বিদ্যা: গ্রন্থ। ভারতের অক্ষরগুলি ব্রহ্মাদেব সৃষ্টি করেন (ব্রাহ্মী)। কালক্রমে নানা প্রদেশে এই লিপি ক্রমশ একটু একটু ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুব বেশী বদল হয় নি। মধ্য ভারতের (গঙ্গাতীরের) ভাষাই অবিকৃত অবস্থায় আছে; এখানে উচ্চারণ শ্রুতি-সুখকর, পরিষ্কার, দেবতাদের মতন আর সমস্ত মানুষের অনুকরণীয়।

প্রত্যেক প্রদেশে একজন কর্মচারী আছেন যাঁর কাজ ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করা। এই বিবরণগুলির নাম নীলপিট।

বালকদের নানা বিষ্ণু। শিক্ষা দেওয়া হয়; প্রথমে ‘সিদ্ধিরস্ত’ তিন ভাগ তার পর শব্দবিদ্যা (ব্যাকরণ), চিকিৎসাবিজ্ঞা, হেতুবিদ্যা, অধ্যাত্মবিস্থা। ব্রাহ্মণরা চতুর্বেদ পড়েন।

সমস্ত বিঘ্না খুব গভীরভাবে শেষ পর্যন্ত না জানলে কেউ শিক্ষক হতে পারে না। এরা প্রথমে বিষয়টি সাধারণভাবে বুঝিয়ে দেন। তার পর কঠিন কঠিন শব্দগুলি বুঝান। সাবধানে, নিপুণভাবে ছাত্রদের অগ্রসর করান।

নির্বোধদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করেন। ভীরুদের উৎসাহ দেন। যারা অল্প বিদ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে চলে যেতে চায়, তাদের অধ্যবসায় দৃঢ় করতে চেষ্টা করেন। ত্রিশ বছর বয়সে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়, চরিত্র গঠিত হয়। তখন ছাত্ররা কোনো কাজে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকদের পুরস্কৃত করে।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

জনপ্রিয় সংবাদ

বিলুপ্ত পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের সেবা চলমান থাকবে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৯)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

রাজা যখন স্নান করেন, বা্য সহকারে স্তোত্র পাঠ হয়। সকলেই পুজার আগে স্নান করেন।

লিপি: ভাষা: বিদ্যা: গ্রন্থ। ভারতের অক্ষরগুলি ব্রহ্মাদেব সৃষ্টি করেন (ব্রাহ্মী)। কালক্রমে নানা প্রদেশে এই লিপি ক্রমশ একটু একটু ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুব বেশী বদল হয় নি। মধ্য ভারতের (গঙ্গাতীরের) ভাষাই অবিকৃত অবস্থায় আছে; এখানে উচ্চারণ শ্রুতি-সুখকর, পরিষ্কার, দেবতাদের মতন আর সমস্ত মানুষের অনুকরণীয়।

প্রত্যেক প্রদেশে একজন কর্মচারী আছেন যাঁর কাজ ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করা। এই বিবরণগুলির নাম নীলপিট।

বালকদের নানা বিষ্ণু। শিক্ষা দেওয়া হয়; প্রথমে ‘সিদ্ধিরস্ত’ তিন ভাগ তার পর শব্দবিদ্যা (ব্যাকরণ), চিকিৎসাবিজ্ঞা, হেতুবিদ্যা, অধ্যাত্মবিস্থা। ব্রাহ্মণরা চতুর্বেদ পড়েন।

সমস্ত বিঘ্না খুব গভীরভাবে শেষ পর্যন্ত না জানলে কেউ শিক্ষক হতে পারে না। এরা প্রথমে বিষয়টি সাধারণভাবে বুঝিয়ে দেন। তার পর কঠিন কঠিন শব্দগুলি বুঝান। সাবধানে, নিপুণভাবে ছাত্রদের অগ্রসর করান।

নির্বোধদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করেন। ভীরুদের উৎসাহ দেন। যারা অল্প বিদ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে চলে যেতে চায়, তাদের অধ্যবসায় দৃঢ় করতে চেষ্টা করেন। ত্রিশ বছর বয়সে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়, চরিত্র গঠিত হয়। তখন ছাত্ররা কোনো কাজে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকদের পুরস্কৃত করে।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)