০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • 123

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

রাজা যখন স্নান করেন, বা্য সহকারে স্তোত্র পাঠ হয়। সকলেই পুজার আগে স্নান করেন।

লিপি: ভাষা: বিদ্যা: গ্রন্থ। ভারতের অক্ষরগুলি ব্রহ্মাদেব সৃষ্টি করেন (ব্রাহ্মী)। কালক্রমে নানা প্রদেশে এই লিপি ক্রমশ একটু একটু ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুব বেশী বদল হয় নি। মধ্য ভারতের (গঙ্গাতীরের) ভাষাই অবিকৃত অবস্থায় আছে; এখানে উচ্চারণ শ্রুতি-সুখকর, পরিষ্কার, দেবতাদের মতন আর সমস্ত মানুষের অনুকরণীয়।

প্রত্যেক প্রদেশে একজন কর্মচারী আছেন যাঁর কাজ ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করা। এই বিবরণগুলির নাম নীলপিট।

বালকদের নানা বিষ্ণু। শিক্ষা দেওয়া হয়; প্রথমে ‘সিদ্ধিরস্ত’ তিন ভাগ তার পর শব্দবিদ্যা (ব্যাকরণ), চিকিৎসাবিজ্ঞা, হেতুবিদ্যা, অধ্যাত্মবিস্থা। ব্রাহ্মণরা চতুর্বেদ পড়েন।

সমস্ত বিঘ্না খুব গভীরভাবে শেষ পর্যন্ত না জানলে কেউ শিক্ষক হতে পারে না। এরা প্রথমে বিষয়টি সাধারণভাবে বুঝিয়ে দেন। তার পর কঠিন কঠিন শব্দগুলি বুঝান। সাবধানে, নিপুণভাবে ছাত্রদের অগ্রসর করান।

নির্বোধদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করেন। ভীরুদের উৎসাহ দেন। যারা অল্প বিদ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে চলে যেতে চায়, তাদের অধ্যবসায় দৃঢ় করতে চেষ্টা করেন। ত্রিশ বছর বয়সে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়, চরিত্র গঠিত হয়। তখন ছাত্ররা কোনো কাজে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকদের পুরস্কৃত করে।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৯)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

রাজা যখন স্নান করেন, বা্য সহকারে স্তোত্র পাঠ হয়। সকলেই পুজার আগে স্নান করেন।

লিপি: ভাষা: বিদ্যা: গ্রন্থ। ভারতের অক্ষরগুলি ব্রহ্মাদেব সৃষ্টি করেন (ব্রাহ্মী)। কালক্রমে নানা প্রদেশে এই লিপি ক্রমশ একটু একটু ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুব বেশী বদল হয় নি। মধ্য ভারতের (গঙ্গাতীরের) ভাষাই অবিকৃত অবস্থায় আছে; এখানে উচ্চারণ শ্রুতি-সুখকর, পরিষ্কার, দেবতাদের মতন আর সমস্ত মানুষের অনুকরণীয়।

প্রত্যেক প্রদেশে একজন কর্মচারী আছেন যাঁর কাজ ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করা। এই বিবরণগুলির নাম নীলপিট।

বালকদের নানা বিষ্ণু। শিক্ষা দেওয়া হয়; প্রথমে ‘সিদ্ধিরস্ত’ তিন ভাগ তার পর শব্দবিদ্যা (ব্যাকরণ), চিকিৎসাবিজ্ঞা, হেতুবিদ্যা, অধ্যাত্মবিস্থা। ব্রাহ্মণরা চতুর্বেদ পড়েন।

সমস্ত বিঘ্না খুব গভীরভাবে শেষ পর্যন্ত না জানলে কেউ শিক্ষক হতে পারে না। এরা প্রথমে বিষয়টি সাধারণভাবে বুঝিয়ে দেন। তার পর কঠিন কঠিন শব্দগুলি বুঝান। সাবধানে, নিপুণভাবে ছাত্রদের অগ্রসর করান।

নির্বোধদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করেন। ভীরুদের উৎসাহ দেন। যারা অল্প বিদ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে চলে যেতে চায়, তাদের অধ্যবসায় দৃঢ় করতে চেষ্টা করেন। ত্রিশ বছর বয়সে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়, চরিত্র গঠিত হয়। তখন ছাত্ররা কোনো কাজে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকদের পুরস্কৃত করে।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৮)