০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই, নির্বাচনও পেছাবে না: ড. ইউনূস

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৫৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • 86

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পাঁচ দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আসছে পাকিস্তান। গত আগস্টের পর হুটহাট করেই সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ততটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু ব্যবসা, বাণিজ্য আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংযুক্তিকে বিবেচনায় নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে আগামী মাসেই পাঁচ দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ২২ এপ্রিল ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকা সফরের সব কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দুজনেরই সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ বছরের বিরতিতে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে দুই দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি জানান, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সম্পর্কের নানা বিষয় আলোচনার সময় ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে”

দেশে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ইতিমধ্যে অনেক শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বা স্থগিত রয়েছে। চালু থাকা কারখানাগুলোও চাহিদামতো চাপে গ্যাস না পেয়ে বহুমাত্রিক সমস্যায় ভুগছে।

গত দুই বছরের মধ্যে বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ তুলনামূলক বেশি হলেও স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন ক্রমে কমে যাওয়ায় শিল্পে জ্বালানি সংকট দূর হচ্ছে না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪১০ থেকে ৪২০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না এক দশকের বেশি সময় ধরে।

তবে ৩৫০-৩৬০ কোটি গ্যাস সরবরাহ করা গেলে পরিস্থিতি মোটামুটি সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার ২৮২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এ দিন প্রায় সাড়ে ৯৮ কোটি ঘনফুট পরিমাণ গ্যাস এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হয়।

পেট্রোবাংলার এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা জানান, আর্থিক ও প্রকৌশলগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক ২০০ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন সম্ভব নয়। কক্সবাজারে থাকা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেও দৈনিক ১০৮ কোটি ঘনফুটের বেশি এলএনজি সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এডিস মশা প্রতিরোধে কার্যকর প্রস্তুতি নেই সরকারের”

প্রতি বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে প্রাক-বর্ষা জরিপটি বছরের এ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সরকার এখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাক-বর্ষা জরিপ শুরুই করেনি। আবার ২০২৪ সালের বর্ষা-পরবর্তী জরিপের প্রতিবেদন তৈরির কাজও এখনো শেষ হয়নি।

বাংলাদেশে প্রতি বছরই বর্ষার আগে থেকে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু সংক্রমণ। বৃষ্টিপাত শুরুর পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের অনুকূলে হওয়ায় সাধারণত এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এবারো আসন্ন এপ্রিলে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না এখনো।

গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সাময়িক সময়ের জন্য স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম থমকে যায়। একই সঙ্গে স্থবিরতা নেমে আসে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমেও। এর মধ্যে শীত মৌসুম চলে আসায় এডিসের বিস্তার প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম আরো ধীর হয়ে আসে। বর্তমানে শীত শেষে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ অবস্থায় পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা ৫৭৫। গত বছরও এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৫৫ জন। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এ সংখ্যা কমে আসে। এ দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী নথিভুক্ত হয় যথাক্রমে ৩৩৯ ও ৩১১ জন। ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে এপ্রিল থেকে। ওই মাসে রোগী শনাক্ত হয় ৫০৪ জন এবং তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় অক্টোবরে। দেশে অক্টোবর ও নভেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ৩০ হাজার ৮৭৯ ও ২৯ হাজার ৬৫২ জন। এর পর ডিসেম্বরে তা নেমে আসে ৯ হাজার ৭৪৫ জনে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই, নির্বাচনও পেছাবে না: ড. ইউনূস”

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দলটির যে সব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য দু’টি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হবে না।
তিনি বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। পাশাপাশি, তিনি জোর দিয়ে বলেন আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), হেগ-এ মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি। এটি এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে সরকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে প্রশংসা করেন।
কর্মকর্তারা আরও জোর দিয়ে বলেন, রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের আরও কার্যকর যোগাযোগের প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ত্বরান্বিত করতে কাজ করছে এবং আসন্ন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করার আশা করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই, নির্বাচনও পেছাবে না: ড. ইউনূস

০৮:৫৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পাঁচ দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আসছে পাকিস্তান। গত আগস্টের পর হুটহাট করেই সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ততটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু ব্যবসা, বাণিজ্য আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংযুক্তিকে বিবেচনায় নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে আগামী মাসেই পাঁচ দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ২২ এপ্রিল ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকা সফরের সব কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দুজনেরই সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ বছরের বিরতিতে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে দুই দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি জানান, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সম্পর্কের নানা বিষয় আলোচনার সময় ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে”

দেশে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ইতিমধ্যে অনেক শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বা স্থগিত রয়েছে। চালু থাকা কারখানাগুলোও চাহিদামতো চাপে গ্যাস না পেয়ে বহুমাত্রিক সমস্যায় ভুগছে।

গত দুই বছরের মধ্যে বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ তুলনামূলক বেশি হলেও স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন ক্রমে কমে যাওয়ায় শিল্পে জ্বালানি সংকট দূর হচ্ছে না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪১০ থেকে ৪২০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না এক দশকের বেশি সময় ধরে।

তবে ৩৫০-৩৬০ কোটি গ্যাস সরবরাহ করা গেলে পরিস্থিতি মোটামুটি সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার ২৮২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এ দিন প্রায় সাড়ে ৯৮ কোটি ঘনফুট পরিমাণ গ্যাস এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হয়।

পেট্রোবাংলার এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা জানান, আর্থিক ও প্রকৌশলগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক ২০০ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন সম্ভব নয়। কক্সবাজারে থাকা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেও দৈনিক ১০৮ কোটি ঘনফুটের বেশি এলএনজি সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এডিস মশা প্রতিরোধে কার্যকর প্রস্তুতি নেই সরকারের”

প্রতি বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে প্রাক-বর্ষা জরিপটি বছরের এ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সরকার এখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাক-বর্ষা জরিপ শুরুই করেনি। আবার ২০২৪ সালের বর্ষা-পরবর্তী জরিপের প্রতিবেদন তৈরির কাজও এখনো শেষ হয়নি।

বাংলাদেশে প্রতি বছরই বর্ষার আগে থেকে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু সংক্রমণ। বৃষ্টিপাত শুরুর পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের অনুকূলে হওয়ায় সাধারণত এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এবারো আসন্ন এপ্রিলে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না এখনো।

গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সাময়িক সময়ের জন্য স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম থমকে যায়। একই সঙ্গে স্থবিরতা নেমে আসে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমেও। এর মধ্যে শীত মৌসুম চলে আসায় এডিসের বিস্তার প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম আরো ধীর হয়ে আসে। বর্তমানে শীত শেষে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ অবস্থায় পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা ৫৭৫। গত বছরও এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৫৫ জন। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এ সংখ্যা কমে আসে। এ দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী নথিভুক্ত হয় যথাক্রমে ৩৩৯ ও ৩১১ জন। ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করে এপ্রিল থেকে। ওই মাসে রোগী শনাক্ত হয় ৫০৪ জন এবং তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় অক্টোবরে। দেশে অক্টোবর ও নভেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ৩০ হাজার ৮৭৯ ও ২৯ হাজার ৬৫২ জন। এর পর ডিসেম্বরে তা নেমে আসে ৯ হাজার ৭৪৫ জনে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই, নির্বাচনও পেছাবে না: ড. ইউনূস”

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দলটির যে সব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য দু’টি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হবে না।
তিনি বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। পাশাপাশি, তিনি জোর দিয়ে বলেন আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), হেগ-এ মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি। এটি এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে সরকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে প্রশংসা করেন।
কর্মকর্তারা আরও জোর দিয়ে বলেন, রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের আরও কার্যকর যোগাযোগের প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ত্বরান্বিত করতে কাজ করছে এবং আসন্ন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করার আশা করছে।