সারাক্ষণ রিপোর্ট
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চকবাজার থানার উদ্যোগে “নিরাপদ ইফতারী ও রমজানে করনীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
- স্থান: চকবাজার সাউথ এশিয়ান কলেজ হলরুম
- তারিখ: ২১শে মার্চ, শুক্রবার
- সভাপতি: ক্যাব চকবাজার থানার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল আলীম
- আয়োজক: সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ
উপস্থিতি ও অংশগ্রহণকারী
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ অতিথি ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যেমন:
- প্রধান অতিথি: ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন
- উদ্বোধনকারী: বিশিষ্ট চিকিৎসক, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডাঃ মোঃ মাহাফুজুর রহমান
- প্রধান বক্তা: ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার সাবেরী
- বিশেষ অতিথি:
- সাবেক ছাত্রনেতা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ হাশেম রাজু
- ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারী নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস
- যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠক লায়ন সাজ্জাদ উদ্দীন
- অধিকার চট্টগ্রামের সংগঠক সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর
- অন্যান্য অংশগ্রহণকারী:
- যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের রাসেল উদ্দীন
- ক্যাব চকবাজার থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসেন
- যুগ্ম সম্পাদক আমির মাহমুদ খসরু রাজু, সহ সম্পাদক মোঃ আলম
- সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল সরকার
- দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি
- প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব
- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর হোসেন
- অন্যান্য সদস্য
বক্তাদের মূল বক্তব্য
(ক) ডাঃ মোঃ মাহাফুজুর রহমানের বক্তব্য
- সমাজের চিত্র:
আজকের এই ভৌতবাদী সমাজে, যেখানে কিছু সন্তান নিজের স্বার্থে পিতার প্রতি উদাসীন, সেখানে ক্যাব সদস্যরা নিঃস্বার্থভাবে ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
- ভোক্তা ক্ষমতায়ন:
খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ও সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি, কেননা সরকারি সংস্থাগুলো যথেষ্ট কার্যকরীতা দেখাচ্ছে না।
(খ) এস এম নাজের হোসাইনের বক্তব্য
- সরকারি ব্যবস্থাপনা:
সরকার খাদ্যে ভেজাল রোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে, কিন্তু তা যথার্থভাবে কার্যকর হচ্ছে না – এটি এমন অবস্থায় যেখানে “কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই”।
- ইফতারী মান ও স্বাস্থ্য:
এই রমজানে ভেজাল ও নিম্নমানের ইফতারীর কারণে জনগণ অসুস্থ হচ্ছে।
- বাণিজ্যিক দুর্নীতি:
চট্টগ্রামে “ওরশ বিরিয়ানী” নামে বৃহৎ বানিজ্যিক কার্যক্রম চললেও, কর্তৃপক্ষ সচেতন নয়।
- আত্মসমর্পণ নয়, সংগঠন:
ভোক্তা হিসেবে আমাদেরকে সংগঠিত হয়ে, July আন্দোলনের মতো একতাবদ্ধভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের ও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
- ক্রিয়াশীল ক্ষতিকারক প্রভাব:
প্রতিদিন সয়াবিন তেল, চাল, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণের অধিকার অবহেলা করা হচ্ছে, যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যে মারাত্মক ক্ষতি দেখা দিচ্ছে।
(গ) কাজী ইকবাল বাহার সাবেরীর বক্তব্য
- অসংগঠিত ভোক্তা, সংগঠিত ব্যবসায়ী:
সব ধরনের ব্যবসায়ী – এমনকি রিকসাওয়ালাও – সংগঠিত থাকলেও, ভোক্তারা অসংগঠিত।
- অপকর্ম প্রতিরোধ:
এই ব্যবধানকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট কাটছে এবং সরকারের কর্মকর্তারা এ সকলকে স্বাভাবিক বলে দেখাচ্ছে।
- তৃণমূল আন্দোলনের আহ্বান:
মানুষের কল্যাণে যদি সত্যিকার উদ্যোগ নিতে হয়, তাহলে তৃণমূল পর্যায়ে এই অপকর্মগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সার্বিক উপসংহার
অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে যে, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তার অধিকার আদায়ে সরকারী ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট নয়। সেজন্যই জনগণকে একতাবদ্ধ হয়ে, তৃণমূল থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের ও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই সংগ্রামই স্বাস্থ্যময় ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
Leave a Reply