সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঈদে লম্বা ছুটিতেও মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা”
এবার ঈদুল ফিতরে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি। ঘরমুখী মানুষের যাত্রা স্বস্তির হওয়ার প্রত্যাশা সরকারের। কিন্তু দেশের দুটি মহাসড়কে উন্নয়নকাজ, অব্যবস্থাপনা ভোগান্তির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। বিশেষ করে ঈদের আগের দুই দিন যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে আর ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকলে তা যানজটে রূপ নিতে পারে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এই সড়কের নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত হাটবাজারের কারণে এমনিতেই চাপ থাকে।
কিন্তু চার লেনের কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আছে ধুলার ওড়াউড়ি। এই পথে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।
টাঙ্গাইল-রংপুর পথে চার লেনের কাজ চলছে ছয় বছর ধরে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। বিশেষ করে যমুনা সেতুর আগের অংশের কাজ এখনো চলমান। ঈদের শেষ চার দিনে যমুনা সেতু হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের মতো যানবাহন চলাচল করে। ফলে ভোগান্তির আশঙ্কা এই পথেও আছে। এই পথে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো জাহাজভর্তি মাটিমিশ্রিত কয়লার চালান”
কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার চালানে বিপুল পরিমাণ মাটিমিশ্রিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রচুর পরিমাণে মাটি মিশে থাকায় কয়লা খালাসের সময় দফায় দফায় জাহাজের কনভেয়র বেল্ট ছিঁড়ে যায়। ফলে খালাস বন্ধ করে গত শুক্রবার জাহাজটিকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সরবরাহকারী মাটিমিশ্রিত অবশিষ্ট কয়লা খালাস করার জন্য বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ভারতীয় সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়া থেকে উচ্চমানের কয়লা সরবরাহ করার কথা থাকলেও পাঠানো হয়েছে মাটিমিশ্রিত নিম্নমানের কয়লা। এই কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা দূরে থাক, জাহাজ থেকে খালাস করাও সম্ভব নয়। মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কয়লাগুলো গ্রহণ না করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি চ্যানেলের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রেমিট্যান্স ও রফতানি বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২ বিলিয়ন”
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়। চলতি অর্থবছরে এ দুই খাতেই বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানি আয়ে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান এ দুই উৎসের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতেও রিজার্ভ বাড়ছে না দেশে। আট মাস ধরে রিজার্ভের পরিমাণ ওঠানামা করছে ১৯ থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৭৩ কোটি বা ১৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সে হিসাবে গত আট মাসে রিজার্ভ না বেড়ে উল্টো ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। যদিও এ সময়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় এসেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। এর মধ্যে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর রফতানি আয় বেশি এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়লেও মূলত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই), বিদেশী অনুদান এবং মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ কমে যাওয়ার প্রভাবেই দেশের রিজার্ভ চাপে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) তথা দেশের সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৬৫ কোটি ডলার। একই সময়ে অনুদান (ফরেন এইড) আসা কমেছে ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন বা ১২২ কোটি ডলার। আর মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ কম এসেছে ১২৭ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে এ সময় দেশে এফডিআই প্রবাহ, বিদেশী অনুদান এবং মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কম এসেছে ৩১৪ কোটি ৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন বা ১২২ কোটি ডলারের।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ভারত হাসিনাবিরোধী মনোভাব সম্পর্কে সচেতন ছিল, কিন্তু হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: জয়শঙ্কর”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ সম্পর্কে ভারত ওয়াকিবহাল ছিল তবে এ বিষয়ে ভারত কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। শনিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ কথা জানিয়েছেন। তিনি কমিটির কাছে দাবি করেন, ভারত খুব বেশি কিছু করার মতো অবস্থানে ছিল না। কারণ তাদের কাছে শেখ হাসিনার উপর প্রয়োজনীয় প্রভাবের অভাব ছিল। তারা হাসিনাকে শুধুমাত্র ‘পরামর্শ’ দিতে পারতেন। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জয়শঙ্কর সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) -এর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সার্ক আলোচনার টেবিলের বাইরে নয় এবং এটিকে স্থগিত রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে সার্ককে পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে সার্ক অকেজো হয়ে রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের উরিতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর ভারত তাদের অংশগ্রহণ বাতিল করে দেওয়ায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তারপর থেকে ভারত বিমসটেক (বঙ্গোপসাগরীয় বহু-ক্ষেত্রীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য উদ্যোগ) সহযোগিতাকে সমর্থন করে আসছে। অবশ্য সম্প্রতি জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সার্ককে পুনরুজ্জীবনের জন্য উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান এতে প্রাধান্য পায়।
Leave a Reply