সারাক্ষণ রিপোর্ট
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহীম জানিয়েছেন যে, তাঁর দেশসহ আসিয়ান অংশীদাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু করার জন্য ওয়াশিংটনে কর্মকর্তাদের প্রেরণের পরিকল্পনা করছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, শুল্ক নীতি পুনর্বিবেচনার কিছুটা স্থান রয়েছে, তবে এর বাস্তবায়নে পরিবর্তন আনার সুযোগও আছে।
আনওয়ারের বক্তব্যের মূল টুকরা
প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান বিনিয়োগ সম্মেলনে বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর ইতিবাচক চাপ পড়েছে যা ইতিবাচক স্মৃতির তুলনায় অনেক বেশি মারাত্মক।” তিনি আরও বলেছিলেন যে, বিশ্ব বাণিজ্যে শুল্কের ব্যাপক প্রভাব স্পষ্ট এবং এ কারণেই শুল্ক নীতি ও তার প্রয়োগে সমন্বয় আনা প্রয়োজন।
শুল্কের প্রভাব ও প্রাসঙ্গিক তথ্য
ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
• মালয়েশিয়া – ২৪% শুল্ক
• ইন্দোনেশিয়া – ৩২% শুল্ক
• ভিয়েতনাম – ৪৬% শুল্ক
• সিঙ্গাপুর – ১০% শুল্ক
• ফিলিপাইন – ১৭% শুল্ক
আগ্রহী পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সমন্বয়
মালয়েশিয়া বর্তমানে দশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান দেশের আসিয়ান গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে। আনওয়ার গত সপ্তাহে জানিয়েছেন যে, মালয়েশিয়া আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলার জন্য নেতৃত্ব প্রদান করবে। তিনি বলেন, “শান্ত কূটনীতির অংশ হিসেবে আমরা আসিয়ানের সহকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ওয়াশিংটনে কর্মকর্তাদের প্রেরণ করবো এবং এই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করবো।” এছাড়াও, আসিয়ান ব্লকের মোট পণ্য বাণিজ্য ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো হওয়ায়, আরও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিয়ন্ত্রক সামঞ্জস্য, সীমান্ত অতিক্রমী লজিস্টিক কাজ এবং ডিজিটাল সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
উপসংহার
আনওয়ার বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বব্যাপী শুল্কের বন্যা সরাসরি বৈশ্বিক শৃঙ্খলার ভেঙে পড়ার লক্ষণ। তিনি উল্লেখ করেন যে, “ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বহুপাক্ষিকতায় যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে তা প্রথম নয় এবং শেষও হবে না।” যদি আসিয়ান দেশসমূহ শাসন ব্যবস্থাকে সচেতন, বাস্তববাদী ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে, তবে তারা হয়ত সেই বিশ্বের অন্যতম অন্তর্দৃষ্টিশীল দেশ হিসেবে থেকে যাবে যেখানে একসাথে কাজ করা উত্তম।