সারাক্ষণ রিপোর্ট
সিঙ্গাপুরে, প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিরোধ যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তবে তা বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন-চীন সম্পর্ক ও ট্যারিফ বিতর্ক
- কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখছে এবং এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। - ট্যারিফ হুমকি:
চীনের সঙ্গে ট্যারিফ নীতি নিয়ে বিরোধ থাকায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপের হুমকি জানিয়েছে। - যোগাযোগের সংকোচন:
দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সীমিততা সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ভবিষ্যতের অস্থিরতা ও সতর্কবার্তা
- প্রস্তুতির আহ্বান:
প্রধানমন্ত্রী ওং বলেন, আমাদের মানসিক ও বাস্তবিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ পূর্বাহ্নদৃষ্টিতে নিয়মিত ব্যবস্থা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। - অর্থনৈতিক ঝটকা:
নতুন যুগে অর্থনীতি অপ্রত্যাশিত ও তীব্র ঝটকার সম্মুখীন হতে পারে, তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
ট্যারিফ নীতির পেছনের যুক্তি
- চীনের সুবিধা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, চীনের বিশ্ব বাণিজ্যে অংশগ্রহণের ফলে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। - বাজারে প্রভাব:
চীন তাদের নিজস্ব কোম্পানিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর বাজারে প্রবেশ সীমিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। - অর্থনৈতিক পতন:
শিল্পক্ষেত্রে পতন এবং কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে, প্রচলিত অর্থনৈতিক চর্চা অবমূল্যায়িত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)
- আলোচনার প্রস্তাব:
মার্কিন উদ্বেগ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে সমাধানের আলোচনা করা উচিত। - পুরোনো ও বর্তমান অবদান:
চীনের অংশগ্রহণ ৫% থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৫% এ পৌঁছায়, যার ফলে পূর্বের বাণিজ্যিক নীতির পুনঃপর্যালোচনা প্রয়োজন। - WTO-এর সংস্কার:
বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার পুনর্জীবন ও সংস্কার অপরিহার্য যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
একই সঙ্গে, বর্তমান মার্কিন নীতির পরিবর্তে তৈরি করা সিস্টেম প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
এশিয়ার উপর প্রভাব
- ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রভাব:
এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন ট্যারিফ বৃদ্ধির সবচেয়ে জোরালো প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে চীন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
- ট্যারিফের হার:
চীনের ক্ষেত্রে, সাম্প্রতিক ৩৪% ট্যারিফ অতীতের ২০% ট্যারিফের সাথে মিলিয়ে গড় ট্যারিফ ৬০% ছাড়িয়ে গেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ট্যারিফ হার ১০ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে।
সিঙ্গাপুরেও ১০% বেসলাইন ট্যারিফ অ্যাফেক্টেড যা ২ এপ্রিল ঘোষিত হয়েছিল।
বিশ্ব অর্থনীতির বিভাজন ও রাজনৈতিক প্রভাব
- অর্থনৈতিক বিভাজন:
প্রধানমন্ত্রী ওং মনে করেন, এই পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতিকে বিভক্ত করে তুলবে। - রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিবর্তন:
অর্থনৈতিক কার্যকারিতার পরিবর্তে, পুঁজি ও বাণিজ্য এখন রাজনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতে বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
সারাংশ
প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানান, মার্কিন ও চীনের মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে সংঘর্ষ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এই বিরোধ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নীতিমালা পুনঃপর্যালোচনা ও সংস্কারের মাধ্যমে যৌথ প্রয়াস অপরিহার্য।