১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্য বিরোধ বৃদ্ধি পেলে বিশ্বব্যাপী তার মারাত্মক প্রভাব ফেলবে

  • Sarakhon Report
  • ০১:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সিঙ্গাপুরে, প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিরোধ যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তবে তা বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

মার্কিন-চীন সম্পর্ক ও ট্যারিফ বিতর্ক

  • কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখছে এবং এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
  • ট্যারিফ হুমকি:
    চীনের সঙ্গে ট্যারিফ নীতি নিয়ে বিরোধ থাকায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপের হুমকি জানিয়েছে।
  • যোগাযোগের সংকোচন:
    দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সীমিততা সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভবিষ্যতের অস্থিরতা ও সতর্কবার্তা

  • প্রস্তুতির আহ্বান:
    প্রধানমন্ত্রী ওং বলেন, আমাদের মানসিক ও বাস্তবিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ পূর্বাহ্নদৃষ্টিতে নিয়মিত ব্যবস্থা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
  • অর্থনৈতিক ঝটকা:
    নতুন যুগে অর্থনীতি অপ্রত্যাশিত ও তীব্র ঝটকার সম্মুখীন হতে পারে, তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

ট্যারিফ নীতির পেছনের যুক্তি

  • চীনের সুবিধা:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, চীনের বিশ্ব বাণিজ্যে অংশগ্রহণের ফলে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
  • বাজারে প্রভাব:
    চীন তাদের নিজস্ব কোম্পানিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর বাজারে প্রবেশ সীমিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
  • অর্থনৈতিক পতন:
    শিল্পক্ষেত্রে পতন এবং কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে, প্রচলিত অর্থনৈতিক চর্চা অবমূল্যায়িত হয়েছে।

Advantages and Disadvantages of World Trade Organization (WTO) - The  Business Scroll

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)

  • আলোচনার প্রস্তাব:
    মার্কিন উদ্বেগ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে সমাধানের আলোচনা করা উচিত।
  • পুরোনো ও বর্তমান অবদান:
    চীনের অংশগ্রহণ ৫% থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৫% এ পৌঁছায়, যার ফলে পূর্বের বাণিজ্যিক নীতির পুনঃপর্যালোচনা প্রয়োজন।
  • WTO-এর সংস্কার:
    বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার পুনর্জীবন ও সংস্কার অপরিহার্য যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
    একই সঙ্গে, বর্তমান মার্কিন নীতির পরিবর্তে তৈরি করা সিস্টেম প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।

এশিয়ার উপর প্রভাব

  • ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রভাব:
    এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন ট্যারিফ বৃদ্ধির সবচেয়ে জোরালো প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে চীন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন লরেন্স ওং

  • ট্যারিফের হার:
    চীনের ক্ষেত্রে, সাম্প্রতিক ৩৪% ট্যারিফ অতীতের ২০% ট্যারিফের সাথে মিলিয়ে গড় ট্যারিফ ৬০% ছাড়িয়ে গেছে।
    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ট্যারিফ হার ১০ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে।
    সিঙ্গাপুরেও ১০% বেসলাইন ট্যারিফ অ্যাফেক্টেড যা ২ এপ্রিল ঘোষিত হয়েছিল।

বিশ্ব অর্থনীতির বিভাজন ও রাজনৈতিক প্রভাব

  • অর্থনৈতিক বিভাজন:
    প্রধানমন্ত্রী ওং মনে করেন, এই পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতিকে বিভক্ত করে তুলবে।
  • রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিবর্তন:
    অর্থনৈতিক কার্যকারিতার পরিবর্তে, পুঁজি ও বাণিজ্য এখন রাজনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতে বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

সারাংশ

প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানান, মার্কিন ও চীনের মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে সংঘর্ষ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এই বিরোধ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নীতিমালা পুনঃপর্যালোচনা ও সংস্কারের মাধ্যমে যৌথ প্রয়াস অপরিহার্য।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্য বিরোধ বৃদ্ধি পেলে বিশ্বব্যাপী তার মারাত্মক প্রভাব ফেলবে

০১:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সিঙ্গাপুরে, প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিরোধ যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তবে তা বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

মার্কিন-চীন সম্পর্ক ও ট্যারিফ বিতর্ক

  • কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখছে এবং এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
  • ট্যারিফ হুমকি:
    চীনের সঙ্গে ট্যারিফ নীতি নিয়ে বিরোধ থাকায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপের হুমকি জানিয়েছে।
  • যোগাযোগের সংকোচন:
    দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সীমিততা সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভবিষ্যতের অস্থিরতা ও সতর্কবার্তা

  • প্রস্তুতির আহ্বান:
    প্রধানমন্ত্রী ওং বলেন, আমাদের মানসিক ও বাস্তবিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ পূর্বাহ্নদৃষ্টিতে নিয়মিত ব্যবস্থা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
  • অর্থনৈতিক ঝটকা:
    নতুন যুগে অর্থনীতি অপ্রত্যাশিত ও তীব্র ঝটকার সম্মুখীন হতে পারে, তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

ট্যারিফ নীতির পেছনের যুক্তি

  • চীনের সুবিধা:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, চীনের বিশ্ব বাণিজ্যে অংশগ্রহণের ফলে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
  • বাজারে প্রভাব:
    চীন তাদের নিজস্ব কোম্পানিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর বাজারে প্রবেশ সীমিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
  • অর্থনৈতিক পতন:
    শিল্পক্ষেত্রে পতন এবং কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে, প্রচলিত অর্থনৈতিক চর্চা অবমূল্যায়িত হয়েছে।

Advantages and Disadvantages of World Trade Organization (WTO) - The  Business Scroll

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)

  • আলোচনার প্রস্তাব:
    মার্কিন উদ্বেগ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে সমাধানের আলোচনা করা উচিত।
  • পুরোনো ও বর্তমান অবদান:
    চীনের অংশগ্রহণ ৫% থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৫% এ পৌঁছায়, যার ফলে পূর্বের বাণিজ্যিক নীতির পুনঃপর্যালোচনা প্রয়োজন।
  • WTO-এর সংস্কার:
    বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার পুনর্জীবন ও সংস্কার অপরিহার্য যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
    একই সঙ্গে, বর্তমান মার্কিন নীতির পরিবর্তে তৈরি করা সিস্টেম প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।

এশিয়ার উপর প্রভাব

  • ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রভাব:
    এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন ট্যারিফ বৃদ্ধির সবচেয়ে জোরালো প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে চীন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন লরেন্স ওং

  • ট্যারিফের হার:
    চীনের ক্ষেত্রে, সাম্প্রতিক ৩৪% ট্যারিফ অতীতের ২০% ট্যারিফের সাথে মিলিয়ে গড় ট্যারিফ ৬০% ছাড়িয়ে গেছে।
    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ট্যারিফ হার ১০ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে।
    সিঙ্গাপুরেও ১০% বেসলাইন ট্যারিফ অ্যাফেক্টেড যা ২ এপ্রিল ঘোষিত হয়েছিল।

বিশ্ব অর্থনীতির বিভাজন ও রাজনৈতিক প্রভাব

  • অর্থনৈতিক বিভাজন:
    প্রধানমন্ত্রী ওং মনে করেন, এই পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতিকে বিভক্ত করে তুলবে।
  • রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিবর্তন:
    অর্থনৈতিক কার্যকারিতার পরিবর্তে, পুঁজি ও বাণিজ্য এখন রাজনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতে বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

সারাংশ

প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং জানান, মার্কিন ও চীনের মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে সংঘর্ষ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এই বিরোধ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নীতিমালা পুনঃপর্যালোচনা ও সংস্কারের মাধ্যমে যৌথ প্রয়াস অপরিহার্য।