০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 123

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আর্যভট “গণিত” অধ্যায়টির গ্রন্থকার

আমরা পূর্বেই বলেছি যে পদ্ধতিগত ভাবে এবং স্বশৃংখল ভাবে গণিতের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনা করেন প্রথম আর্যভট। কিন্তু কেউ কেউ এনিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। অনেকেই জানেন আর্যভটীয়ের একটি অধ্যায় “গণিত” নামে পরিচিত। আর্যভটীয় মোটামুটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগটির নাম দশগীতিকা অর্থাৎ এর মধ্যে দশটি স্তবক আছে।

দ্বিতীয় ভাগটি আবার গণিত, কালক্রিয়া এবং গোল এই তিনটি নামে ভাগে বিভক্ত। গণিতে তেত্রিশটি শ্লোক আছে, কালক্রিয়ায় আছে পচিশটি শ্লোক এবং গোলধ্যায়ে আছে পঞ্চাশটি শ্লোক। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি দ্বিতীয় ভাগটিতে একশ আটটি শ্লোক আছে এবং সেইহেতু এটিকে কখনও কখনও আর্যাষ্টশত নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন ব্রহ্মগুপ্ত এবং পরবর্তীকালে কোন কোন ভারতীয় গণিতবিদ এটিকে আর্থ সিদ্ধান্ত বা লঘু সিদ্ধান্ত নামে অভিহিত করেছেন।

দ্বিতীয় আর্যভট রচিত গ্রন্থটি মহা আর্যসিদ্ধান্ত বা মহাসিদ্বান্ত নামে প্রচলিত। প্রথম আর্যভট ও দ্বিতীয় আর্যভটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বহুশতাব্দীর। প্রথম আর্যভট জন্মগ্রহণ করেন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে। দ্বিতীয় আর্যভট দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বসুরী। শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সোয়েল প্রমুখেরা মনে করেন যে দ্বিতীয় আর্যভট ৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

কিন্তু অনেকে আবার মনে করেন দ্বিতীয় আর্যভট ৯৯১-১১১৪ খ্রষ্টাব্দের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বেন্টলী প্রমুখের। দ্বিতীয় আর্যভটকে চতুর্দশ শতাব্দীর লোক বলে মনে করেন। তবে এ সমর্থক খুব বেশী নেই। ক্যে অবশ্য মনে করেন ইনি দশম শতাব্দীর লোক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

০৩:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আর্যভট “গণিত” অধ্যায়টির গ্রন্থকার

আমরা পূর্বেই বলেছি যে পদ্ধতিগত ভাবে এবং স্বশৃংখল ভাবে গণিতের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনা করেন প্রথম আর্যভট। কিন্তু কেউ কেউ এনিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। অনেকেই জানেন আর্যভটীয়ের একটি অধ্যায় “গণিত” নামে পরিচিত। আর্যভটীয় মোটামুটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগটির নাম দশগীতিকা অর্থাৎ এর মধ্যে দশটি স্তবক আছে।

দ্বিতীয় ভাগটি আবার গণিত, কালক্রিয়া এবং গোল এই তিনটি নামে ভাগে বিভক্ত। গণিতে তেত্রিশটি শ্লোক আছে, কালক্রিয়ায় আছে পচিশটি শ্লোক এবং গোলধ্যায়ে আছে পঞ্চাশটি শ্লোক। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি দ্বিতীয় ভাগটিতে একশ আটটি শ্লোক আছে এবং সেইহেতু এটিকে কখনও কখনও আর্যাষ্টশত নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন ব্রহ্মগুপ্ত এবং পরবর্তীকালে কোন কোন ভারতীয় গণিতবিদ এটিকে আর্থ সিদ্ধান্ত বা লঘু সিদ্ধান্ত নামে অভিহিত করেছেন।

দ্বিতীয় আর্যভট রচিত গ্রন্থটি মহা আর্যসিদ্ধান্ত বা মহাসিদ্বান্ত নামে প্রচলিত। প্রথম আর্যভট ও দ্বিতীয় আর্যভটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বহুশতাব্দীর। প্রথম আর্যভট জন্মগ্রহণ করেন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে। দ্বিতীয় আর্যভট দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বসুরী। শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সোয়েল প্রমুখেরা মনে করেন যে দ্বিতীয় আর্যভট ৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

কিন্তু অনেকে আবার মনে করেন দ্বিতীয় আর্যভট ৯৯১-১১১৪ খ্রষ্টাব্দের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বেন্টলী প্রমুখের। দ্বিতীয় আর্যভটকে চতুর্দশ শতাব্দীর লোক বলে মনে করেন। তবে এ সমর্থক খুব বেশী নেই। ক্যে অবশ্য মনে করেন ইনি দশম শতাব্দীর লোক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৩)