০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩২)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 38

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘ইডিয়ট কোথাকার!’ মনে মনে বললুম আমি। অপমানে আর সুখারেভের প্রতি ঘেন্নায় আমার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছিল। ‘অন্য সকলের সামনে আমার সম্বন্ধে এ-সব কথা বলে কী করে? ঠিক আছে, ওরা যদি আমায় সঙ্গে না নেয় তো আমি একাই একদিকে বেরিয়ে যাব।

যাবই তো। ওই গাঁয়ের ভেতরেই চলে যাব, তারপর সবকিছু দেখেশুনে ফিরে আসব আবার। তখন সুখারেভ কী করে, কোন চুলোয় গিয়ে মুখে ঢাকে দেখব তো একবার!”

চুবুক ইতিমধ্যে বোলুট্টা খুলে ম্যাগাজিনে চারটে কার্তুজ পুরে নিলেন আর পঞ্চম কার্তুজটাকে ছোড়ার জন্যে তৈরি অবস্থায় রাখলেন। তারপর সেফটি ক্যাচটা নিলেন আটকে। আর এ-ব্যাপারে ওঁর মতামত আমার কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তার হিসেব বুঝি না রেখেই নির্বিকার ভাবে বললেন:

‘সিম্কারে লিব? আচ্ছা, ঠিক আচে।’ কাঁধের ক্রসুস্কেলুটটা ঠিকঠাক করে নিতে-নিতে হঠাৎ ওঁর চোখ পড়ে গেল আমার দিকে। আমার ফ্যাকাশে মুখখানা দেখে মুখ টিপে হাসলেন উনি, তারপর একটু যেন কর্কশ ভঙ্গিতে বললেন: ‘না, সিষ্কার ব্যাপার আমি ঠিক জানি না। আমার এরে হলিই চলবে, এ কাজ বোঝে। আচ্ছা, বাচ্চা চলি এস!’

সঙ্গে সঙ্গে বনের প্রান্তের দিকে দৌড় লাগালুম আমি।

‘আঃ, রও দিকি বাপু!’ এক ধমক লাগালেন চুবুক। ‘তিড়িং-তিড়িং বন্ধ কর। আরে, এ বনভোজন লয়, বুইলে? সঙ্গে বোমা-টোমা আচে? নেই? তা আমার থেকে একটা রাখো। হাতলটা নিচের দিকি করে পকেটে রেখো না যেন, টেনে বের করতি গেলে তাইলে আটাটা খুলে আসবে কিন্তু। খোলটারে নিচের দিক করি রাখো। হ্যাঁ, ঠিক আচে। উহ, কী ছটফটে!’ গলার স্বরটা ওঁর এবার কেমন কোমল শোনাল।

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩২)

০৮:০০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘ইডিয়ট কোথাকার!’ মনে মনে বললুম আমি। অপমানে আর সুখারেভের প্রতি ঘেন্নায় আমার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছিল। ‘অন্য সকলের সামনে আমার সম্বন্ধে এ-সব কথা বলে কী করে? ঠিক আছে, ওরা যদি আমায় সঙ্গে না নেয় তো আমি একাই একদিকে বেরিয়ে যাব।

যাবই তো। ওই গাঁয়ের ভেতরেই চলে যাব, তারপর সবকিছু দেখেশুনে ফিরে আসব আবার। তখন সুখারেভ কী করে, কোন চুলোয় গিয়ে মুখে ঢাকে দেখব তো একবার!”

চুবুক ইতিমধ্যে বোলুট্টা খুলে ম্যাগাজিনে চারটে কার্তুজ পুরে নিলেন আর পঞ্চম কার্তুজটাকে ছোড়ার জন্যে তৈরি অবস্থায় রাখলেন। তারপর সেফটি ক্যাচটা নিলেন আটকে। আর এ-ব্যাপারে ওঁর মতামত আমার কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তার হিসেব বুঝি না রেখেই নির্বিকার ভাবে বললেন:

‘সিম্কারে লিব? আচ্ছা, ঠিক আচে।’ কাঁধের ক্রসুস্কেলুটটা ঠিকঠাক করে নিতে-নিতে হঠাৎ ওঁর চোখ পড়ে গেল আমার দিকে। আমার ফ্যাকাশে মুখখানা দেখে মুখ টিপে হাসলেন উনি, তারপর একটু যেন কর্কশ ভঙ্গিতে বললেন: ‘না, সিষ্কার ব্যাপার আমি ঠিক জানি না। আমার এরে হলিই চলবে, এ কাজ বোঝে। আচ্ছা, বাচ্চা চলি এস!’

সঙ্গে সঙ্গে বনের প্রান্তের দিকে দৌড় লাগালুম আমি।

‘আঃ, রও দিকি বাপু!’ এক ধমক লাগালেন চুবুক। ‘তিড়িং-তিড়িং বন্ধ কর। আরে, এ বনভোজন লয়, বুইলে? সঙ্গে বোমা-টোমা আচে? নেই? তা আমার থেকে একটা রাখো। হাতলটা নিচের দিকি করে পকেটে রেখো না যেন, টেনে বের করতি গেলে তাইলে আটাটা খুলে আসবে কিন্তু। খোলটারে নিচের দিক করি রাখো। হ্যাঁ, ঠিক আচে। উহ, কী ছটফটে!’ গলার স্বরটা ওঁর এবার কেমন কোমল শোনাল।