০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 21

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

দুঃখের বিষয় হিউএনচাঙ ৬৩০ খৃস্টাব্দে যখন পুরুষপুরে আসেন তার দুইশত বছর আগে বর্বর মিহিরগুল এদেশ ধ্বংস করেছিল। তিনি বলেছেন, ‘নগর, গ্রাম সবই প্রায় জনশূন্য। পুরুষপুরের এক কোণে কেবল হাজার খানেক পরিবার বাস করে। লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।

এগুলির উপর গাছ জন্মাচ্ছে। বেশির ভাগ স্তূপ ধ্বংস হয়েছে।’ পুরুষপুরে রক্ষিত বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্র পর্যন্ত বর্বররা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিল।হিউএনচাঙের পূর্ববর্তী চৈনিক পরিব্রাজকরা পুরুষপুরে কণিষ্কনির্মিত একটা প্রকাণ্ড স্তূপের উল্লেখ করেছেন। এত প্রকাণ্ড স্তূপ জম্বুদ্বীপে আর দ্বিতীয় ছিল না।

একজন দর্শক এর এই বিবরণ দিয়েছেন: ‘ত্রিশ ফুট উঁচু ভিতের উপর, চমৎকার পালিশ করা কারুকার্যময় পাথরের একটা পাঁচতলা উঁচু অট্টালিকা। তার উপরে ১২০ ফুট উঁচু খোদাই কাজ করা কাঠের গৃহ। তার উপর তিন শত ফুট উঁচু লৌহস্তম্ভ।

এতে পর পর পনেরটা সোনালি ছাতা।’সমস্তটা কেউ কেউ বলেন সাত শত ফুট উঁচু ছিল, অন্যেরা বলেন এক হাজার ফুট। হিউএনচাঙ এর ভগ্নাবশেষ দেখেছিলেন। তখনও এর প্রধান অট্টালিকা চারি শত ফুট উঁচু ছিল।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৪)

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৫)

০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

দুঃখের বিষয় হিউএনচাঙ ৬৩০ খৃস্টাব্দে যখন পুরুষপুরে আসেন তার দুইশত বছর আগে বর্বর মিহিরগুল এদেশ ধ্বংস করেছিল। তিনি বলেছেন, ‘নগর, গ্রাম সবই প্রায় জনশূন্য। পুরুষপুরের এক কোণে কেবল হাজার খানেক পরিবার বাস করে। লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।

এগুলির উপর গাছ জন্মাচ্ছে। বেশির ভাগ স্তূপ ধ্বংস হয়েছে।’ পুরুষপুরে রক্ষিত বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্র পর্যন্ত বর্বররা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিল।হিউএনচাঙের পূর্ববর্তী চৈনিক পরিব্রাজকরা পুরুষপুরে কণিষ্কনির্মিত একটা প্রকাণ্ড স্তূপের উল্লেখ করেছেন। এত প্রকাণ্ড স্তূপ জম্বুদ্বীপে আর দ্বিতীয় ছিল না।

একজন দর্শক এর এই বিবরণ দিয়েছেন: ‘ত্রিশ ফুট উঁচু ভিতের উপর, চমৎকার পালিশ করা কারুকার্যময় পাথরের একটা পাঁচতলা উঁচু অট্টালিকা। তার উপরে ১২০ ফুট উঁচু খোদাই কাজ করা কাঠের গৃহ। তার উপর তিন শত ফুট উঁচু লৌহস্তম্ভ।

এতে পর পর পনেরটা সোনালি ছাতা।’সমস্তটা কেউ কেউ বলেন সাত শত ফুট উঁচু ছিল, অন্যেরা বলেন এক হাজার ফুট। হিউএনচাঙ এর ভগ্নাবশেষ দেখেছিলেন। তখনও এর প্রধান অট্টালিকা চারি শত ফুট উঁচু ছিল।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৪)