সত্যেন্দ্রকুমার বসু
দুঃখের বিষয় হিউএনচাঙ ৬৩০ খৃস্টাব্দে যখন পুরুষপুরে আসেন তার দুইশত বছর আগে বর্বর মিহিরগুল এদেশ ধ্বংস করেছিল। তিনি বলেছেন, ‘নগর, গ্রাম সবই প্রায় জনশূন্য। পুরুষপুরের এক কোণে কেবল হাজার খানেক পরিবার বাস করে। লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
এগুলির উপর গাছ জন্মাচ্ছে। বেশির ভাগ স্তূপ ধ্বংস হয়েছে।’ পুরুষপুরে রক্ষিত বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্র পর্যন্ত বর্বররা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিল।হিউএনচাঙের পূর্ববর্তী চৈনিক পরিব্রাজকরা পুরুষপুরে কণিষ্কনির্মিত একটা প্রকাণ্ড স্তূপের উল্লেখ করেছেন। এত প্রকাণ্ড স্তূপ জম্বুদ্বীপে আর দ্বিতীয় ছিল না।
একজন দর্শক এর এই বিবরণ দিয়েছেন: ‘ত্রিশ ফুট উঁচু ভিতের উপর, চমৎকার পালিশ করা কারুকার্যময় পাথরের একটা পাঁচতলা উঁচু অট্টালিকা। তার উপরে ১২০ ফুট উঁচু খোদাই কাজ করা কাঠের গৃহ। তার উপর তিন শত ফুট উঁচু লৌহস্তম্ভ।
এতে পর পর পনেরটা সোনালি ছাতা।’সমস্তটা কেউ কেউ বলেন সাত শত ফুট উঁচু ছিল, অন্যেরা বলেন এক হাজার ফুট। হিউএনচাঙ এর ভগ্নাবশেষ দেখেছিলেন। তখনও এর প্রধান অট্টালিকা চারি শত ফুট উঁচু ছিল।
(চলবে)