সত্যেন্দ্রকুমার বসু
এই অলৌকিক দৃশ্য দেখবার পর ধর্মগুরু দেখলেন, ছয়টি লোক বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ধর্মগুরু তাদের ধূপধুনা আর আগুন আনতে বললেন। আগুন ভিতরে আনতেই বুদ্ধের ছায়া অদৃশ্য হল। তখনই তিনি আগুন নিবিয়ে ফেললেন, আর ছায়া আবার আভিভূত হল।
ঐ ছয় ব্যক্তির মধ্যে পাঁচ জন ছায়া দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু একজন কিছুই দেখতে পায় নি। এও কেবল মুহূর্ত মাত্র থেকে আবার মিলিয়ে গেল। হিউএন-চাঙ ভক্তিভরে প্রণত হয়ে বুদ্ধের আরাধনা করতে করতে ফুল আর পূজা নিবেদন করলেন। তার পর সেখান থেকে বিদায় নিলেন।
নগরহার ছেড়ে হিউএনচাঙ খাইবার পাশের ভিতর দিয়ে এসে গান্ধারের প্রধান নগর পুরুষপুর (পেশাওয়ার) এলেন। এইখানেই কুষাণ সম্রাট কণিষ্কের শীতকালের রাজধানী ছিল। গ্রীষ্মকালে তিনি কাপিশীতে থাকতেন।
‘হিউএনচাঙ মহাযানের যে শাখার অনুগামী ছিলেন, তার স্থাপয়িতা দার্শনিক ভ্রাতৃদ্বয় অসঙ্গ ও বসুবন্ধু, হিউএনচাঙের দুই শত বর্ষ আগে পুরুষপুরেই জন্মগ্রহণ করেন। এখানে এসে তিনি এ কথা আনন্দে স্মরণ করলেন।
(চলবে)