সত্যেন্দ্রকুমার বসু
তখন, অলৌকিক ঘটনা ঘটল। এই ভাবে শতবার প্রণত হবার পর পূবের দেওয়ালে ভিক্ষুর ভিক্ষাপাত্রের আকারের একটা আলোর আভা মুহূর্তের জন্যে তিনি দেখতে পেলেন। দুঃখে, আনন্দে আবার আরাধনা করতে লাগলেন, আবার ক্ষণিকের জন্যে তার চেয়েও একটা বড় আভা দেখতে পেলেন।
প্রেম ও উৎসাহে পূর্ণ হয়ে তিনি শপথ করলেন যে, পবিত্র ছায়া না দেখে তিনি কিছুতেই যাবেন না। এই ভাবে আরাধনা করতে করতে হঠাৎ সমস্ত গুহাটা একটা প্রভায় সমুজ্জ্বল হয়ে উঠল আর হঠাৎ মেঘ কেটে গিয়ে যেমন স্বর্ণপর্বতের আশ্চর্য দৃশ্য দেখা যায়, তেমনি পূর্ব দেওয়ালে উজ্জ্বল শ্বেতবর্ণে তথাগতের মহিমময় ছায়ার প্রকাশ হল!
তাঁর দৈব আনন অত্যুজ্জ্বল প্রভাময়! হিউএনচাঙ গভীর আনন্দে পূর্ণ হয়ে তাঁর মহিমান্বিত অনুপম আরাধ্যকে দেখতে লাগলেন। বুদ্ধের শরীর আর সন্ন্যাস-বস্ত্র গৈরিক বর্ণের ছিল। হাঁটুর উপরের সমস্ত শরীরের শোভা সমুজ্জল ছিল। কিন্তু নীচের কমলাসন কতকটা ঝাপসা ছিল। তাঁর ডাইনে বামে পিছনে বোধিসত্ত্বদের আর পুণ্যাত্মা ভিক্ষুদের ছায়া দেখা যাচ্ছিল।
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-৬২)