০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 65

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ক্যে’র এ অনুমান কতটা যুক্তি সঙ্গত তা ঐতিহাসিকেরাই বলতে পারেন তবে আমরা লক্ষ্য করেছি:

(১) আলবিরূণী তাঁর গ্রন্থে কুসুমপুরের আর্যভটের গণিত থেকে কোন উদ্ধৃতি দেন নাই। তিনি অল্প বিস্তর আর্যভটীয় থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

(২) আর্যভটীয় এবং মহাসিদ্ধান্তের মধ্যে গরমিলই বেশী দেখা যায় এবং পরস্পর বিরোধীতায় দুটি গ্রন্থ সমুজ্জ্বল লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে বৃদ্ধ আর্যভটের নিকট ঋণ স্বীকার কালে মহাসিদ্ধান্তের লেখকের মনে এ বিষয়ে কোন কিছু উদয় হয়েছিল কিনা তা যথেষ্ট সেেন্দহের অবকাশ রাখে।

(৩) কুসুমপুরে মহাসিদ্ধান্তের লেখক কোন কিছু করেছিলেন সে কথা মহা-সিদ্ধান্তের লেখক কোথাও উল্লেখ করেননি।

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভটের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন “গণিত” আর্যভটের লেখার একটি অংশ।

(৫) আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভট সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন ইনি অষ্টম শতাব্দীর পূর্বে ছিলেন। সম্ভবতঃ ব্রহ্মগুপ্তের পূর্বসূরী।

(৬) আলবিরূণী এবং অন্যান্য ভারতীয়রা দুই আর্যভট সম্বন্ধে যে সব তথ্যের সাহায্য নিয়েছেন সেগুলি অনেকক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করেনি। এবং এঁরা প্রকৃত গ্রন্থকারের মূল গ্রন্থগুলি না দেখায় অনেকক্ষেত্রে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

(৭) অনেকক্ষেত্রে আলবিরূণীর লেখার সত্য উদ্‌ঘাটিত হয়নি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে মাইডাস ও ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৬)

০৩:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ক্যে’র এ অনুমান কতটা যুক্তি সঙ্গত তা ঐতিহাসিকেরাই বলতে পারেন তবে আমরা লক্ষ্য করেছি:

(১) আলবিরূণী তাঁর গ্রন্থে কুসুমপুরের আর্যভটের গণিত থেকে কোন উদ্ধৃতি দেন নাই। তিনি অল্প বিস্তর আর্যভটীয় থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

(২) আর্যভটীয় এবং মহাসিদ্ধান্তের মধ্যে গরমিলই বেশী দেখা যায় এবং পরস্পর বিরোধীতায় দুটি গ্রন্থ সমুজ্জ্বল লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে বৃদ্ধ আর্যভটের নিকট ঋণ স্বীকার কালে মহাসিদ্ধান্তের লেখকের মনে এ বিষয়ে কোন কিছু উদয় হয়েছিল কিনা তা যথেষ্ট সেেন্দহের অবকাশ রাখে।

(৩) কুসুমপুরে মহাসিদ্ধান্তের লেখক কোন কিছু করেছিলেন সে কথা মহা-সিদ্ধান্তের লেখক কোথাও উল্লেখ করেননি।

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভটের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন “গণিত” আর্যভটের লেখার একটি অংশ।

(৫) আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভট সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন ইনি অষ্টম শতাব্দীর পূর্বে ছিলেন। সম্ভবতঃ ব্রহ্মগুপ্তের পূর্বসূরী।

(৬) আলবিরূণী এবং অন্যান্য ভারতীয়রা দুই আর্যভট সম্বন্ধে যে সব তথ্যের সাহায্য নিয়েছেন সেগুলি অনেকক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করেনি। এবং এঁরা প্রকৃত গ্রন্থকারের মূল গ্রন্থগুলি না দেখায় অনেকক্ষেত্রে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

(৭) অনেকক্ষেত্রে আলবিরূণীর লেখার সত্য উদ্‌ঘাটিত হয়নি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)