০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 29

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ক্যে’র এ অনুমান কতটা যুক্তি সঙ্গত তা ঐতিহাসিকেরাই বলতে পারেন তবে আমরা লক্ষ্য করেছি:

(১) আলবিরূণী তাঁর গ্রন্থে কুসুমপুরের আর্যভটের গণিত থেকে কোন উদ্ধৃতি দেন নাই। তিনি অল্প বিস্তর আর্যভটীয় থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

(২) আর্যভটীয় এবং মহাসিদ্ধান্তের মধ্যে গরমিলই বেশী দেখা যায় এবং পরস্পর বিরোধীতায় দুটি গ্রন্থ সমুজ্জ্বল লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে বৃদ্ধ আর্যভটের নিকট ঋণ স্বীকার কালে মহাসিদ্ধান্তের লেখকের মনে এ বিষয়ে কোন কিছু উদয় হয়েছিল কিনা তা যথেষ্ট সেেন্দহের অবকাশ রাখে।

(৩) কুসুমপুরে মহাসিদ্ধান্তের লেখক কোন কিছু করেছিলেন সে কথা মহা-সিদ্ধান্তের লেখক কোথাও উল্লেখ করেননি।

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভটের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন “গণিত” আর্যভটের লেখার একটি অংশ।

(৫) আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভট সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন ইনি অষ্টম শতাব্দীর পূর্বে ছিলেন। সম্ভবতঃ ব্রহ্মগুপ্তের পূর্বসূরী।

(৬) আলবিরূণী এবং অন্যান্য ভারতীয়রা দুই আর্যভট সম্বন্ধে যে সব তথ্যের সাহায্য নিয়েছেন সেগুলি অনেকক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করেনি। এবং এঁরা প্রকৃত গ্রন্থকারের মূল গ্রন্থগুলি না দেখায় অনেকক্ষেত্রে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

(৭) অনেকক্ষেত্রে আলবিরূণীর লেখার সত্য উদ্‌ঘাটিত হয়নি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

 

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৬)

০৩:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

 ক্যে’র এ অনুমান কতটা যুক্তি সঙ্গত তা ঐতিহাসিকেরাই বলতে পারেন তবে আমরা লক্ষ্য করেছি:

(১) আলবিরূণী তাঁর গ্রন্থে কুসুমপুরের আর্যভটের গণিত থেকে কোন উদ্ধৃতি দেন নাই। তিনি অল্প বিস্তর আর্যভটীয় থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

(২) আর্যভটীয় এবং মহাসিদ্ধান্তের মধ্যে গরমিলই বেশী দেখা যায় এবং পরস্পর বিরোধীতায় দুটি গ্রন্থ সমুজ্জ্বল লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে বৃদ্ধ আর্যভটের নিকট ঋণ স্বীকার কালে মহাসিদ্ধান্তের লেখকের মনে এ বিষয়ে কোন কিছু উদয় হয়েছিল কিনা তা যথেষ্ট সেেন্দহের অবকাশ রাখে।

(৩) কুসুমপুরে মহাসিদ্ধান্তের লেখক কোন কিছু করেছিলেন সে কথা মহা-সিদ্ধান্তের লেখক কোথাও উল্লেখ করেননি।

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভটের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন “গণিত” আর্যভটের লেখার একটি অংশ।

(৫) আলবিরূণী কুসুমপুরের আর্যভট সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন ইনি অষ্টম শতাব্দীর পূর্বে ছিলেন। সম্ভবতঃ ব্রহ্মগুপ্তের পূর্বসূরী।

(৬) আলবিরূণী এবং অন্যান্য ভারতীয়রা দুই আর্যভট সম্বন্ধে যে সব তথ্যের সাহায্য নিয়েছেন সেগুলি অনেকক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করেনি। এবং এঁরা প্রকৃত গ্রন্থকারের মূল গ্রন্থগুলি না দেখায় অনেকক্ষেত্রে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

(৭) অনেকক্ষেত্রে আলবিরূণীর লেখার সত্য উদ্‌ঘাটিত হয়নি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)