১১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 19

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন প্রশ্ন হচ্ছে “গণিত” এর লেখক কে? ক্যে অনুমান করেন আলবিরূণী কুসুমপুরের যে আর্যভটের উল্লেখ করেছেন তিনিই এটির প্রকৃত লেখক। কার্ণ, বেবর, রডেট, খিবো, শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সুধাকর দ্বিবেদী প্রমুখেরা এমতের সমর্থক নন। অবশ্য ক্যে মনে করেণ আর্যভটীয়ের বাকী সব কিছু সেই আর্যভটের লেখা যাঁর নামোল্লেখ পরবর্তী প্রায় সব ভারতীয় গণিতবিদরাই করেছেন। অনুমানের পিছনে এই যুক্তিগুলি থাকতে পারে: ক্যে’র

(১) আলবিরূণী দুজন আর্যভটের নামোল্লেখ করেছেন। একজন বৃদ্ধ আর্যভট ও দ্বিতীয়জন কুসুমপুরের আর্যভট। কুসুমপুরের আর্যভট বৃদ্ধ আর্যভটের অনুসরণকারী।

(২) মহাসিদ্ধান্তের আর্যভট তাঁর গ্রন্থে বৃদ্ধ আর্যভটের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন।

(৩) গণিতের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে এটি কুসুমপুরের আর্যভট কর্তৃক লিখিত। [আর্যভটশ্বিহ নিগদতি কুসুমপুরেহভ্যচ্চিতং জ্ঞানম্। এটির দুটি অর্থ হতে পারে (ক) আর্যভট তাঁর গ্রন্থটি কুসুমপুরে লেখেন অথবা (খ) কুসুমপুরে যে জ্ঞান তিনি পেয়েছেন সেটিই এই গ্রন্থে লিখেছেন।]

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রমুখেরা আর্যভটের লেখা থেকে উদ্ধৃতি বা উল্লেখ করেছেন কিন্তু “গণিত” থেকে কোন কিছু উল্লেখ করেন নাই।

এছাড়াও আরও নানা যুক্তি দিয়ে ক্যে বলতে চেয়েছেন গণিত ‘এর লেখক এবং মহাসিদ্ধান্তের লেখক একই ব্যক্তি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

০৩:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন প্রশ্ন হচ্ছে “গণিত” এর লেখক কে? ক্যে অনুমান করেন আলবিরূণী কুসুমপুরের যে আর্যভটের উল্লেখ করেছেন তিনিই এটির প্রকৃত লেখক। কার্ণ, বেবর, রডেট, খিবো, শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সুধাকর দ্বিবেদী প্রমুখেরা এমতের সমর্থক নন। অবশ্য ক্যে মনে করেণ আর্যভটীয়ের বাকী সব কিছু সেই আর্যভটের লেখা যাঁর নামোল্লেখ পরবর্তী প্রায় সব ভারতীয় গণিতবিদরাই করেছেন। অনুমানের পিছনে এই যুক্তিগুলি থাকতে পারে: ক্যে’র

(১) আলবিরূণী দুজন আর্যভটের নামোল্লেখ করেছেন। একজন বৃদ্ধ আর্যভট ও দ্বিতীয়জন কুসুমপুরের আর্যভট। কুসুমপুরের আর্যভট বৃদ্ধ আর্যভটের অনুসরণকারী।

(২) মহাসিদ্ধান্তের আর্যভট তাঁর গ্রন্থে বৃদ্ধ আর্যভটের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন।

(৩) গণিতের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে এটি কুসুমপুরের আর্যভট কর্তৃক লিখিত। [আর্যভটশ্বিহ নিগদতি কুসুমপুরেহভ্যচ্চিতং জ্ঞানম্। এটির দুটি অর্থ হতে পারে (ক) আর্যভট তাঁর গ্রন্থটি কুসুমপুরে লেখেন অথবা (খ) কুসুমপুরে যে জ্ঞান তিনি পেয়েছেন সেটিই এই গ্রন্থে লিখেছেন।]

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রমুখেরা আর্যভটের লেখা থেকে উদ্ধৃতি বা উল্লেখ করেছেন কিন্তু “গণিত” থেকে কোন কিছু উল্লেখ করেন নাই।

এছাড়াও আরও নানা যুক্তি দিয়ে ক্যে বলতে চেয়েছেন গণিত ‘এর লেখক এবং মহাসিদ্ধান্তের লেখক একই ব্যক্তি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)