০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 57

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন প্রশ্ন হচ্ছে “গণিত” এর লেখক কে? ক্যে অনুমান করেন আলবিরূণী কুসুমপুরের যে আর্যভটের উল্লেখ করেছেন তিনিই এটির প্রকৃত লেখক। কার্ণ, বেবর, রডেট, খিবো, শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সুধাকর দ্বিবেদী প্রমুখেরা এমতের সমর্থক নন। অবশ্য ক্যে মনে করেণ আর্যভটীয়ের বাকী সব কিছু সেই আর্যভটের লেখা যাঁর নামোল্লেখ পরবর্তী প্রায় সব ভারতীয় গণিতবিদরাই করেছেন। অনুমানের পিছনে এই যুক্তিগুলি থাকতে পারে: ক্যে’র

(১) আলবিরূণী দুজন আর্যভটের নামোল্লেখ করেছেন। একজন বৃদ্ধ আর্যভট ও দ্বিতীয়জন কুসুমপুরের আর্যভট। কুসুমপুরের আর্যভট বৃদ্ধ আর্যভটের অনুসরণকারী।

(২) মহাসিদ্ধান্তের আর্যভট তাঁর গ্রন্থে বৃদ্ধ আর্যভটের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন।

(৩) গণিতের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে এটি কুসুমপুরের আর্যভট কর্তৃক লিখিত। [আর্যভটশ্বিহ নিগদতি কুসুমপুরেহভ্যচ্চিতং জ্ঞানম্। এটির দুটি অর্থ হতে পারে (ক) আর্যভট তাঁর গ্রন্থটি কুসুমপুরে লেখেন অথবা (খ) কুসুমপুরে যে জ্ঞান তিনি পেয়েছেন সেটিই এই গ্রন্থে লিখেছেন।]

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রমুখেরা আর্যভটের লেখা থেকে উদ্ধৃতি বা উল্লেখ করেছেন কিন্তু “গণিত” থেকে কোন কিছু উল্লেখ করেন নাই।

এছাড়াও আরও নানা যুক্তি দিয়ে ক্যে বলতে চেয়েছেন গণিত ‘এর লেখক এবং মহাসিদ্ধান্তের লেখক একই ব্যক্তি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৫)

০৩:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখন প্রশ্ন হচ্ছে “গণিত” এর লেখক কে? ক্যে অনুমান করেন আলবিরূণী কুসুমপুরের যে আর্যভটের উল্লেখ করেছেন তিনিই এটির প্রকৃত লেখক। কার্ণ, বেবর, রডেট, খিবো, শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিত, সুধাকর দ্বিবেদী প্রমুখেরা এমতের সমর্থক নন। অবশ্য ক্যে মনে করেণ আর্যভটীয়ের বাকী সব কিছু সেই আর্যভটের লেখা যাঁর নামোল্লেখ পরবর্তী প্রায় সব ভারতীয় গণিতবিদরাই করেছেন। অনুমানের পিছনে এই যুক্তিগুলি থাকতে পারে: ক্যে’র

(১) আলবিরূণী দুজন আর্যভটের নামোল্লেখ করেছেন। একজন বৃদ্ধ আর্যভট ও দ্বিতীয়জন কুসুমপুরের আর্যভট। কুসুমপুরের আর্যভট বৃদ্ধ আর্যভটের অনুসরণকারী।

(২) মহাসিদ্ধান্তের আর্যভট তাঁর গ্রন্থে বৃদ্ধ আর্যভটের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন।

(৩) গণিতের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে এটি কুসুমপুরের আর্যভট কর্তৃক লিখিত। [আর্যভটশ্বিহ নিগদতি কুসুমপুরেহভ্যচ্চিতং জ্ঞানম্। এটির দুটি অর্থ হতে পারে (ক) আর্যভট তাঁর গ্রন্থটি কুসুমপুরে লেখেন অথবা (খ) কুসুমপুরে যে জ্ঞান তিনি পেয়েছেন সেটিই এই গ্রন্থে লিখেছেন।]

(৪) ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রমুখেরা আর্যভটের লেখা থেকে উদ্ধৃতি বা উল্লেখ করেছেন কিন্তু “গণিত” থেকে কোন কিছু উল্লেখ করেন নাই।

এছাড়াও আরও নানা যুক্তি দিয়ে ক্যে বলতে চেয়েছেন গণিত ‘এর লেখক এবং মহাসিদ্ধান্তের লেখক একই ব্যক্তি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৪)