সত্যেন্দ্রকুমার বসু
পুরুষপুর ছেড়ে আবার কাবুল নদী পার হ’য়ে হিউএনচাঙ কাবুল নদী আর শুভবস্ত (শ্বাট) নদীর সঙ্গমস্থলে পুস্কলাবতী এলেন। এখানে পুরাকালে গ্রীকদের এক রাজধানী ছিল। এখানে হিউএনচাঙ সম্রাট অশোক নির্মিত একটা স্তূপ দেখেন।
বুদ্ধ এক পূর্বজন্মে যেখানে তাঁর দুটি চোখ দান করেছিলেন, এ স্তূপ সেখানে নির্মিত।পূস্কলাবতী থেকে হিউএনচাঙ আবার উত্তরে পার্বত্য প্রদেশে প্রবেশ করে ‘হারিতী’ ‘একশৃঙ্গ’ ‘বেসান্তর’ ইত্যাদি স্তূপ দর্শন করেন। এসব বুদ্ধের জাতকে বণিত পূর্বজন্মের ঘটনাস্থল।
সর্বত্রই অশোকনির্মিত বহু স্তূপ ও সঙ্ঘারাম ছিল বেশীর ভাগই হ্রণদের অত্যাচারে প্রায় জনশূন্য। আধুনিক সাবাজগাড়ির কাছে ‘বিধর্মী’ (হিন্দু) দের দেবতা ভীমাদেবীর মূর্তি নীল পাথরের গায়ে খোদিত ছিল: ‘ইনি ঈশ্বরের পত্নী।
ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই বিশ্বাস করে যে, এই মূর্তির অলৌকিক ক্ষমতা আছে। আর ভারতের সর্বত্র থেকে লোকে এখানে পুজা দিতে আসে।
(চলবে)