স্বদেশ রায়
আজ থেকে ৩২ বছর আগে এই ঢাকা শহরে ১৪০০ সাল বরণ হয়েছিলো। সেদিনের সকালের এই ঢাকার রাজপথ আজকের বাংলাদেশে বসে কোনো তরুণ-তরুণী বা কোনো শিশু-কিশোর কল্পনাও করতে পারবে না। এমনকি ৩২ বছর পরে বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের কাছে সেদিনটি আদিখ্যেতা মনে হতে পারে। বলতে পারে, একটি নববর্ষকে নিয়ে এত নাচানাচি করার কী আছে! এমনকি এখন যারা সরকারে আছে, তারাও যদি সেদিনের মতো কোনো কাজ করতে যায়, তারাও বিপদে পড়তে পারে। এ প্রজন্ম বলতে পারে, এদের বদলে দাও। কারণ, এখন সবচেয়ে বড় স্লোগান হচ্ছে, বদলে যাও, বদলে দাও। কেন বদলাতে হবে, বদলে কী হতে হবে—সেটা নিয়ে ভাবার কোনো দরকার নেই।
আর এমনই শুধু স্লোগাননির্ভর বাঙালি কিন্তু যে হঠাৎ হয়েছে, তাও নয়। যেমন বাংলাদেশের যথেষ্ট বড় নেতা ছিলেন সাইফুদ্দিন আহমদ মানিক। যদিও তার নিজের ভোট ছিল ৪৭০টি, কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোটে তিনি বড় নেতাও ছিলেন। তার বিখ্যাত স্লোগান ছিল, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।” তার মানে, ভোট নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনার দরকার নেই, যাকে খুশি তাকে দেব—যেন ভোট আর হরি লুটের বাতাসা বিলানো একই ধরনের কাজ।
তবে তারপরেও আছে বা ছিল বাঙালির নববর্ষ। যা ষাটের দশকে বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তির ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়। ১৪০০ সালে বাঙালির নববর্ষ যেন উচ্ছল যৌবন নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলো। ওই দিন রমনা বটমূলের ছায়ানটের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে কাকতালীয়ভাবে রাস্তায় তিন সাংবাদিক দম্পতি এক হই। দুইজন অতি বিখ্যাত, আর তাদের সঙ্গে আমি তখন নিতান্তই সাংবাদিকতার পথে চলছি। অবশ্য দুজনেরই খুবই স্নেহভাজন ছিলাম। পারিবারিকভাবে আমাদের সম্পর্কও দৃঢ়। একজন বাংলাদেশের সাংবাদিক জগতে চিরকাল স্মরণীয় থাকবেন—অর্থাৎ বিবিসির আতাউস সামাদ, আরেকজন ইত্তেফাকের বিখ্যাত রিপোর্টার খায়রুল আনাম। সামাদ ভাই ও ভাবী, আনাম ভাই ও ভাবী মনে হয় রমনা বটমূলের সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ফুটপাতে বসে একটু ক্লান্তি দূর করছিলেন।
তখনও বৈশাখের রৌদ্র তার তীব্রতা ছড়ায়নি। এ সময়ে আমাদেরকে দেখেই তারা ডাক দেন। তাদের পাশে গিয়ে বসি। কিছুক্ষণ বসেই সিদ্ধান্ত হয় হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে, শিশু একাডেমি হয়ে বাংলা একাডেমির দিকে যাব। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ততক্ষণে ভরে গেছে মানুষে। সেখানে ১৪০০ সাল পালনের উৎসব চলছে।
কিন্তু হাইকোর্টের দিকে এগুতে গিয়েই মৎস্য ভবনের কাছে আটকে পড়ি। ততক্ষণে পুরানো ঢাকা থেকে বিশাল বৈশাখী মিছিল আসছে। সে মিছিলে ঠেলা গাড়ির ওপরে বড় বড় নৌকা, বড় বড় হাতি—তার পিঠে সুসজ্জিত মাহুত, আবার ঘোড়ার গাড়ি, সঙ্গে নানান নাচ-গান। মিছিলের সামনে কবি রফিক আজাদ, ত্রিদিব দস্তিদার প্রমুখ নাচতে নাচতে এগুচ্ছেন। সে মিছিলে শুধু প্রকৃত হাতি ও ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি ছিলো না; ছিলো বাঙালি সংস্কৃতির অনেক উপাদানের প্রতীক, আবার বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামেরও নানান প্রতীক।
ত্রিদিব দস্তিদার আমার ও চিত্রার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই সে মিছিল থেকে দৌড়ে এসে তাদের সঙ্গে আমাকে ও চিত্রাকে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করে। সামাদভাই, আনাম ভাই ও দুই ভাবীও হাসতে হাসতে আমাদেরকে বলেন, “এই তোমরা ইয়াং, তোমরা জয়েন করো।” আনাম ভাই তার কমন ডাকের ভঙ্গিতে বলতে থাকেন, “এই পাবলিক, জয়েন করো।” ডাকতে থাকেন রফিক আজাদ ভাইও। যাহোক, কোন মতে ত্রিদিব ও রফিক আজাদ ভাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকি। ত্রিদিব ও রফিক আজাদভাই মিছিলের অগ্রভাগে নাচতে নাচতে হারিয়ে যান। কিন্তু মিছিল আর শেষ হয় না।
এদিকে বৈশাখের রৌদ্র বাড়তে থাকে। আমাদেরও আর শিশু একাডেমির দিকে যাওয়া হয় না। আতাউস সামাদ ভাইও ভাবীকে বাসায় ফিরতে বলে নিজ পেশার কাজে চলে যান। আনাম ভাই, ভাবী ও আমরা অনেক ভিড় ঠেলে রাস্তা পার হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে এগুতে থাকি, কিন্তু গেটের সামনে যে ভিড়, তা ঠেলে ভেতরে ঢোকার কোন উপায় নেই।
এ সময়ে দেখতে পাই, ওই ভিড় ফাঁকা করে কিছু তরুণ দুইজন মানুষকে বাইরে আসার পথ করে দিচ্ছেন। তাঁরা ছিলেন আনিসুজ্জামান স্যার ও শওকত ওসমান স্যার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ১৪০০ সাল পালনের একটি অনুষ্ঠান ছিলো।
তবে ১৪০০ সাল পালনে সবার ওপরে ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল, কামরুল হাসান, আনিসুজ্জামান, শওকত ওসমান, সালাহউদ্দিন আহমদ, গাফফার চৌধুরী, বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি কে. এম. সোবহান, আবু জাফর শামসুদ্দিন, খান সরওয়ার মুর্শেদ, ওয়াহিদুল হক, সন্তোষ গুপ্ত, ড. মুশারফ হোসেন, কলিম শরাফী, জিল্লুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শফিউদ্দিন আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরী, এম আর আকতার মুকুল, আহমদ রফিক—এমনিভাবে সমাজের নানা পেশা ও শ্রেণির শক্তিশালী সামাজিক শক্তি। তাঁরা ছিলেন মূলত বাঙালি চেতনার ধারক ও বাহক। ছিলেন মূল প্রাণশক্তি।
এই সামাজিক শক্তিকে অনেকে ভুল করে আওয়ামী লীগের সমর্থকও মনে করতেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা ছিলেন এই ভূখণ্ডের ও বাঙালির সমাজের প্রকৃত সামাজিক শক্তি। তাঁরা এই রাষ্ট্র ও সমাজকে উপলব্ধির সঙ্গে শুধু ধারণ করতেন না, সমাজ ও রাষ্ট্র যদি তার মূল কক্ষচ্যুত হতো বা কক্ষচ্যুত হবার সম্ভাবনা দেখা দিত, তাঁরা সে বিষয়ে জাতিকে সচেতন করে দিতেন, প্রয়োজনীয় পথ দেখাতেন, কখনও কখনও নিজেরা অনেক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতেন।
আর সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের অবস্থান কোথায় ছিল, তার জন্যে একটি উদাহরণই যথেষ্ট। এরশাদ আমলে রাষ্ট্র ও সমাজের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একটা পর্যায়ে ২৪ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। ওই দিন দেশের দায়িত্বশীল সংবাদপত্র দৈনিক সংবাদ ও ইত্তেফাকের সেটাই ছিল লিড নিউজ।
আর এখন দেখা যায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সমর্থক ১০১ জন, কখনও ২০০ জন, কখনও হয়তো ৫০-এর কম বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। সেটা সংবাদপত্রগুলো দয়া করে ভেতরের পাতায় সিঙ্গেল কলামে ছাপে। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারা বিবৃতি দিলেন, তা উল্লেখ করতে চায় না কেউ। দেশের মানুষ জানে। অন্যদিকে, আজ অনেক বড় বড় সাংবাদিক বা বুদ্ধিজীবী সরকার প্রধানের সঙ্গে কতক্ষণ কাটান বা কোন বড় দলের রাজনীতিকের সঙ্গে কতক্ষণ কাটান, তা নিয়ে যেমন লেখেন, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেন।
অথচ ১৯৮৫ সালের দিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষ থেকে একজন গিয়েছিলেন সাংবাদিক আবু জাফর শামসুদ্দিনের কাছে। তিনি বলেন, নেত্রী একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আবু জাফর শামসুদ্দিন তাঁর দিনের রুটিন জানিয়ে দিয়ে বলেন, আমি এই যে সময়টা বাসায় থাকি, এই সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন উনি আসতে পারেন। বিদেশি দূতাবাসের লোকজনও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁদেরও তিনি এমনটাই বলতেন।
নব্বইয়ের দশক থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের এই মেরুদণ্ডওয়ালা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি, সিভিল সোসাইটির নেতারা, ক্রমেই হারিয়ে যেতে শুরু করেন। আর এই স্থানটি ধীরে ধীরে দখল করতে শুরু করে এনজিও শ্রেণি। অথচ আশির দশক ও নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধি এনজিও করা কোনো লোককে স্বাভাবিকভাবেই সবাই দুর্নীতিবাজ মনে করতো। কারণ, তারা ধরেই নিতো—এদের মূল কাজ বাংলাদেশের দারিদ্র্য দেখিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনে তার বড় একটা অংশ চুরি করা।
ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ তাঁর রাজনৈতিক ভাষণে প্রায় বলতেন, এক সময়ের জমিদার বা ধনী বাড়ির গৃহিণীরা যেমন বানর নাচ দেখতো এবং যে ভালো বানর নাচ দেখাতে পারতো সেই বেদেকে প্রশংসা করতো, পশ্চিমা ধনীরাও তেমনি বাংলাদেশের দরিদ্রের জীবন দেখে মজা পায়, আর যে যত ভালোভাবে দারিদ্র্যকে দেখাতে পারে, তাকে তারা তত ভালো বেদে মনে করে।
দুর্ভাগ্য হলো, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বিলুপ্ত হওয়ার পরে এই বিলুপ্তির পথে থাকা ‘ডাইনোসররা’ প্রথমে এনজিওতে আশ্রয় নেয়। পরে ধীরে ধীরে এদের বড় অংশ আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেয়। এরাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনজিওদের সংযোগ ঘটায়। এমনকি ২১ বছর পরে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে মাইক্রোক্রেডিটের মতো ফালতু সামিটে যোগ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে এমন অনেক মাইক্রোক্রেডিট নেতা ছিলেন, যারা ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন অসততার দায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন। এর পরে আওয়ামী লীগ আবার বিরোধী দলে আসার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের’ নামে দলটির ঘাড়ে চেপে বসে ‘প্রশিকা’ নামের একটি এনজিও। তারা একবার তাদের এনজিওর কর্মচারীদের ঢাকায় এনে সরকার পতনের মতো ফালতু কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের মতো একটি আন্দোলন-সংগ্রামে ঐতিহ্যবাহী দলকে যুক্ত করতে সমর্থ হয়েছিল। অথচ এই এনজিওটির জমি দখল থেকে শুরু করে সকল অপকর্মের বিষয় কমবেশি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
অবশ্য এর আগেই, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজনীতিবিদরা সম্মিলিতভাবে তাঁদের রাজনীতিকে আরেক ধাপ নিচে নামিয়ে দেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ দল ও ৭ দল থেকে দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমেরিকায় পাঠানো হয় এরশাদের পতনের পক্ষে লবিং করার জন্য। বলা যেতে পারে, এইভাবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা তাঁদের শক্তি বিদেশি লবিস্টদের হাতে তুলে দিতে শুরু করেন। আর বিদেশিরা এই সুযোগ গ্রহণ করে।
তারা হিসাব করে দেখে—রাজনৈতিক দলগুলোর যেহেতু জনভিত্তি আছে, তার থেকে এনজিও শ্রেণিই তাদের জন্য অনেক ভালো। তারা যেমন দারিদ্র্যের বানর নাচায়, বিদেশিরাও তাদের তেমনি নাচাতে পারবে।
অন্যদিকে, শিক্ষার মান কমে যাবার কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক (বাস্তবে এ বিষয়টি বাংলাদেশের সমাজে গবেষণার দাবি রাখে), ধীরে ধীরে সমাজ থেকে মেরুদণ্ডওয়ালা বুদ্ধিজীবী কমে যেতে থাকেন। তাঁদের অবর্তমানে নতুন কেউ সৃষ্টি হয়নি। এর বদলে এই সিভিল সোসাইটি বা সামাজিক শক্তির জায়গাটা ‘সুশীল সমাজ’ নাম দিয়ে এনজিও করা লোকজনই দখল করে নেয়। তখন বিদেশি অর্থ ও বিদেশি লবিস্ট—উভয়ই তাদের হাতে চলে যায়। আর বাঙালির সমাজ থেকে শেষ হয়ে যায় সিভিল সোসাইটি বা আপন সত্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সামাজিক শক্তি।
অর্থাৎ, যে সামাজিক শক্তি আধুনিক বাঙালি সংস্কৃতির রূপান্তর ঘটিয়েছিল। যাদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে বাঙালি সংস্কৃতির সকল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতো। যেখানে রাজনৈতিক দল বা সরকারের খুব বেশি কর্তৃত্ব থাকতো না, বরং তারা সেখানে অন্য দশজনের মতো থাকতেন সম্মানীয় অতিথি বা দর্শক। সেই কালচার ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে।
যার ফলে ১৪৩২ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, বাঙালির সেই নববর্ষ পালন অনেকখানি শুধু সরকারি নয়, রাজনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ডসম্পন্ন সামাজিক শক্তির জায়গা দখল করে ফেলেছে এনজিও শ্রেণি। এবং দেশের মানুষেরও এমন শক্তি নেই, যা তাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারে। এমনকি যারা সমাজের এই ক্ষতিকর শ্রেণির বিলুপ্তি চান, তারাও এখন আশা রাখেন বিদেশের অর্থনৈতিক নীতি ও তাদের অর্থনীতির ওপর। নিজস্ব কোন শক্তি তাদের নেই বলেই মনে হয়।
আমেরিকা ইউএসএইড বন্ধ করেছে, ইউরোপ দিন দিন দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। আর আমেরিকার এই বর্তমান অর্থনৈতিক নীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও দরিদ্র হয়ে যাবে। অন্যদিকে, উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি চীন ব্যবসা-নির্ভর কূটনীতিতে বিশ্বাসী। কারণ, তাদের নিজ দেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক ক্ষমতা তাদের অর্থনীতিকে আজ এই জায়গায় এনেছে। তাই তাদের নীতি হলো—স্থিতিশীল দেশেই অর্থ বিনিয়োগ করে লাভ করা। অন্যের সমাজ বা রাষ্ট্র গড়ার দায়িত্ব তারা কখনও কাঁধে নেয় না।
তবে দেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যা-ই ঘটুক না কেন, বাংলাদেশের বাঙালির সংস্কৃতি ও সামাজিক শক্তির দ্রুত ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
লেখক: রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সম্পাদক সারাক্ষণ ও The Present World.
Leave a Reply