ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক
দ্য গার্ডিয়ান,
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং জার্মান কর্মকর্তারা অংশ নেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির চিফ-অফ-স্টাফ নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলও বৈঠকে অংশ নেয় এবং প্রতিরক্ষা সহায়তা পাওয়ার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষে এবং ইরানের পারমাণবিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে নীতিগত বিভাজন দূর করার উদ্দেশ্যে এই আলোচনা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুনরায় ‘সর্বোচ্চ চাপের নীতি’ চালু করেছেন এবং আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব: বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা
রয়টার্স,
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস খারাপ হয়েছে এবং বেইজিংয়ের নীতিনির্ধারকদের নীতিগত শিথিলতার দিকে যেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন চীন শিগগিরই লোন প্রাইম রেট কমাতে পারে। এশিয়াজুড়ে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়াও মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রার চাপে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। যুক্তরাষ্ট্রে টেসলা ও অ্যালফাবেটের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের আয় প্রতিবেদনগুলো বাজারের প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। এপ্রিল মাসের প্রাথমিক PMI (পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স) তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন খাতে ইনপুট মূল্যের ঊর্ধ্বগতি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। একই সময়ে, ওয়াশিংটনে IMF ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হয়েছে, যেখানে মার্কিন বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। IMF সতর্ক করেছে, এই ধরনের শুল্ক ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকিস্বরূপ।
নীতিগত বিরোধে হার্ভার্ডের ফেডারেল অর্থায়ন স্থগিত করলেন ট্রাম্প
দ্য গার্ডিয়ান,
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে “একটা ঠাট্টা” বলে আখ্যায়িত করেন এবং ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অর্থায়ন স্থগিত করার নির্দেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নীতিগত তদারকি প্রত্যাখ্যান করায় প্রশাসন তার ট্যাক্স-ফ্রি সুবিধা বাতিল ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়। এই পদক্ষেপ শিক্ষাজগৎ ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করে, যা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা লঙ্ঘনের অভিযোগে আনা হয়। ট্রাম্প অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন, যেখানে তিনি গাল্ফ অফ মেক্সিকোর নামকরণ নিয়ে প্রেসের প্রবেশাধিকার সীমিত করার চেষ্টা করেন। আদালত এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করে। অন্যদিকে, মেরিল্যান্ডের এক অবৈধভাবে নির্বাসিত বাসিন্দার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না পাওয়ায়, সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন ট্রাম্প প্রশাসনের নিন্দা জানান। এছাড়া, ৯০০-এর বেশি ছাত্রের ভিসা বাতিলের ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে, যেখানে একাডেমিক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সুইডেনের মূস (হরিণ) অভিবাসন লাইভস্ট্রিম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে
পিপল ম্যাগাজিন,
সুইডেনের “দ্য গ্রেট মূস মাইগ্রেশন” শিরোনামের ২৪/৭ লাইভস্ট্রিম বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মন জয় করেছে। উত্তর-পূর্ব হাই কোস্ট অঞ্চলে মূসদের অভিবাসন পথ ধরে তাদের চলাফেরা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকৃতি-নির্ভর অনুষ্ঠান SVT Play-এ ২০২৪ সালে ৯ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক পেয়েছিল। এবছর বসন্ত আগেভাগেই শুরু হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকেই ২০ দিনের এ অভিবাসন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। কুলবার্গ গ্রামের কাছাকাছি ৩২টি ক্যামেরা ও প্রায় ১২ মাইল ক্যাবলের মাধ্যমে এই লাইভ সম্প্রচার পরিচালিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি “স্লো টিভি” ঘরানার, যাতে কোনো ধারাভাষ্য বা সংগীত নেই—শুধু প্রকৃতির স্বাভাবিক শব্দ। মূস ছাড়াও মাঝে মাঝে ভালুক ও শিকারি পাখির দেখা মেলে। ২০২৪ সালে রেকর্ড ৮৭টি মূস আঙ্গারম্যান নদী পেরিয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। সুইডেনে প্রায় ৩ লাখ মূস আছে বলে ধারণা করা হয়। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এ সম্প্রচার এখন এক নিঃশব্দ বিশ্রামের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।
K2-18b গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য চিহ্নের সন্ধান
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস,
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন যে, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত K2-18b নামক এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডিসালফাইডের মতো যৌগ শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুটি যৌগ পৃথিবীতে কেবল জীবিত প্রাণীর মাধ্যমেই উৎপন্ন হয়, যা গ্রহটিতে প্রাণের সম্ভাব্য উপস্থিতির সবচেয়ে শক্তিশালী ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হচ্ছে। যদিও এটি এখনো চূড়ান্ত প্রমাণ নয়, তবুও এই আবিষ্কার আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রাণ খোঁজার ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এটি মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব ও বাসযোগ্য পরিবেশের ধারণা সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিকে আরও গভীর করতে পারে।