০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

জুলাই–মার্চে এডিপি বাস্তবায়নে ১২ বছরের সর্বনিম্ন অগ্রগতি

  • Sarakhon Report
  • ০৫:০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 24

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • ২০২৪‑২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯মাসে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৩৬.৬৫ শতাংশ—গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
    • কঠোর নজরদারি, বড় প্রকল্পে ব্যয়সংকোচ, আর কিছু চলমান প্রকল্পের অংশ ছাঁটাই এই ধীরগতির প্রধান কারণ।
    • সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় ৩২.৮৭ শতাংশ, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪০ শতাংশ, আর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ব্যয় ৬০ শতাংশের একটু বেশি।
    • এনার্জি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (EMRD) ব্যয়ে শীর্ষে (৭৯.৭১ শতাংশ), বিপরীতে স্বাস্থ্য, নৌপরিবহন, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয় গড়ের চেয়ে পিছিয়ে।

কেন ব্যয় কমলো

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক বড় প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়েছে এবং কয়েকটির উপাদান বাদ দিয়েছে। তদুপরি প্রতিটি ব্যয়ের আগে মান‑পরীক্ষা জোরদার হওয়ায় অর্থছাড় ধীর হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, “উচ্চ ব্যয়ের প্রবাহ নয়, প্রকল্পের গুণগত মানই এখন মুখ্য।”

সংখ্যায় এডিপি বাস্তবায়ন (জুলাইমার্চ ২০২৪‑২৫আইএমইডি)

সূচক মোট বরাদ্দ (কোটি টাকা) ব্যয় (কোটি টাকা) বাস্তবায়ন (%)
সংশোধিত মোট এডিপি ২,২৬,০০০ ৮২,৮৯৪ ৩৬.৬৫
সরকারি (GoB) তহবিল ১,৩৫,০০০ ৪৪,৩৭৬ ৩২.৮৭
প্রকল্প সহায়তা ৮১,০০০ ৩২,৪১১ ৪০.০১
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ১০,১৬৫ ৬,১০৭ ৬০.০৮

এগিয়ে‑পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয়

শীর্ষে থাকা দপ্তর বাস্তবায়ন (%) পিছিয়ে থাকা দপ্তর বাস্তবায়ন (%)
এনার্জি ও খনিজ সম্পদ ৭৯.৭১ স্বাস্থ্য ১৪.৪১
বিদ্যুৎ বিভাগ ৫৬.২৭ নৌপরিবহন ২৫.৮৩
কৃষি ৫৪.৩৬ সেতু বিভাগ ২৭.০৯
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৪৬.৩৮ রেলপথ ৩২.৭১
এলজিইডি ৪৫.২৬

অর্থবছর কেন জুলাই থেকে শুরু হয়?

মাসওয়ারি চিত্র

অর্থবছরের নবম মাস মার্চে বরাদ্দের মাত্র ৬.৭৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮৭ শতাংশ পয়েন্ট কম।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • কৃচ্ছ্রসাধন প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় বাড়াতে পারে।
    •স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে ধীর গতি জনসেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
    • দ্রুত সিদ্ধান্ত, দক্ষ ক্রয়‑প্রক্রিয়া আর বাস্তবসম্মত সময়সূচি ছাড়া এডিপি‑এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।

সামনে করণীয়

  • স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে দক্ষ জনবল ও তদারকি বাড়ানো।
    • দেশীয় তহবিল জোগানে গতি বাড়িয়ে বৈদেশিক সহায়তা দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা করা।

জুলাই–মার্চে এডিপি বাস্তবায়নে ১২ বছরের সর্বনিম্ন অগ্রগতি

০৫:০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • ২০২৪‑২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯মাসে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৩৬.৬৫ শতাংশ—গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
    • কঠোর নজরদারি, বড় প্রকল্পে ব্যয়সংকোচ, আর কিছু চলমান প্রকল্পের অংশ ছাঁটাই এই ধীরগতির প্রধান কারণ।
    • সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় ৩২.৮৭ শতাংশ, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪০ শতাংশ, আর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ব্যয় ৬০ শতাংশের একটু বেশি।
    • এনার্জি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (EMRD) ব্যয়ে শীর্ষে (৭৯.৭১ শতাংশ), বিপরীতে স্বাস্থ্য, নৌপরিবহন, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয় গড়ের চেয়ে পিছিয়ে।

কেন ব্যয় কমলো

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক বড় প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়েছে এবং কয়েকটির উপাদান বাদ দিয়েছে। তদুপরি প্রতিটি ব্যয়ের আগে মান‑পরীক্ষা জোরদার হওয়ায় অর্থছাড় ধীর হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, “উচ্চ ব্যয়ের প্রবাহ নয়, প্রকল্পের গুণগত মানই এখন মুখ্য।”

সংখ্যায় এডিপি বাস্তবায়ন (জুলাইমার্চ ২০২৪‑২৫আইএমইডি)

সূচক মোট বরাদ্দ (কোটি টাকা) ব্যয় (কোটি টাকা) বাস্তবায়ন (%)
সংশোধিত মোট এডিপি ২,২৬,০০০ ৮২,৮৯৪ ৩৬.৬৫
সরকারি (GoB) তহবিল ১,৩৫,০০০ ৪৪,৩৭৬ ৩২.৮৭
প্রকল্প সহায়তা ৮১,০০০ ৩২,৪১১ ৪০.০১
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ১০,১৬৫ ৬,১০৭ ৬০.০৮

এগিয়ে‑পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয়

শীর্ষে থাকা দপ্তর বাস্তবায়ন (%) পিছিয়ে থাকা দপ্তর বাস্তবায়ন (%)
এনার্জি ও খনিজ সম্পদ ৭৯.৭১ স্বাস্থ্য ১৪.৪১
বিদ্যুৎ বিভাগ ৫৬.২৭ নৌপরিবহন ২৫.৮৩
কৃষি ৫৪.৩৬ সেতু বিভাগ ২৭.০৯
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৪৬.৩৮ রেলপথ ৩২.৭১
এলজিইডি ৪৫.২৬

অর্থবছর কেন জুলাই থেকে শুরু হয়?

মাসওয়ারি চিত্র

অর্থবছরের নবম মাস মার্চে বরাদ্দের মাত্র ৬.৭৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮৭ শতাংশ পয়েন্ট কম।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • কৃচ্ছ্রসাধন প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় বাড়াতে পারে।
    •স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে ধীর গতি জনসেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
    • দ্রুত সিদ্ধান্ত, দক্ষ ক্রয়‑প্রক্রিয়া আর বাস্তবসম্মত সময়সূচি ছাড়া এডিপি‑এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।

সামনে করণীয়

  • স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে দক্ষ জনবল ও তদারকি বাড়ানো।
    • দেশীয় তহবিল জোগানে গতি বাড়িয়ে বৈদেশিক সহায়তা দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা করা।