০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে মাসে অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা দাঁড়াবে ২৫ কোটি ডলার

  • Sarakhon Report
  • ১১:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • 30

সারাক্ষণ রিপোর্ট

শুল্ক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট

যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর ৩৭% শুল্ক আরোপ করে, তাহলে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। নীতিগতভাবে আমদানিকারকরা এই বোঝা বহন করবে বলে রয়েছে, তবে বাস্তবে গ্রাহক চাপ সরাসরি রপ্তানিকারীদের ওপর পড়বে। এর ফলে ছোট ও মাঝারি মানের একাধিক কারখানা মার্জিন হারিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।

সমাধানে আগাম উদ্যোগের আহ্বান

বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট – সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, পরিস্থিতি তৈরির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধান খুঁজতে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে।

নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও নেতাদের বিবৃতি

রাজধানীর উত্তরা’র জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে নেতারা তাদের উদ্বেগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

মো. আবুল কালাম (প্যানেল লিডার)

  • ৯০ দিনের শুল্কমওকুফ মেয়াদ শেষ হতেই আমদানিকারকরা অতিরিক্ত শুল্ক চাপ রপ্তানিকারীদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
  • এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার কারখানার টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
  • কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে শুল্ক প্রত্যাহার না হলে শিল্পখাতে প্রতি মাসে ২৫ কোটি ডলারের অতিরিক্ত খরচ হবে, যেখানে উদ্যোক্তাদের লাভ মাত্র ৩–৪%।
  • ড. ইউনুসকে সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

ফারুক হাসান (সমন্বয়কারী ও সাবেক সভাপতি)

  • LDC সুবিধা উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএ সহায়ক কমিটির সদস্য আসিফ আশরাফ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম।

যুক্তরাষ্ট্রে মাসে অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা দাঁড়াবে ২৫ কোটি ডলার

১১:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

শুল্ক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট

যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর ৩৭% শুল্ক আরোপ করে, তাহলে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। নীতিগতভাবে আমদানিকারকরা এই বোঝা বহন করবে বলে রয়েছে, তবে বাস্তবে গ্রাহক চাপ সরাসরি রপ্তানিকারীদের ওপর পড়বে। এর ফলে ছোট ও মাঝারি মানের একাধিক কারখানা মার্জিন হারিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।

সমাধানে আগাম উদ্যোগের আহ্বান

বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট – সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, পরিস্থিতি তৈরির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধান খুঁজতে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে।

নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও নেতাদের বিবৃতি

রাজধানীর উত্তরা’র জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে নেতারা তাদের উদ্বেগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

মো. আবুল কালাম (প্যানেল লিডার)

  • ৯০ দিনের শুল্কমওকুফ মেয়াদ শেষ হতেই আমদানিকারকরা অতিরিক্ত শুল্ক চাপ রপ্তানিকারীদের ওপর চাপিয়ে দেবে।
  • এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার কারখানার টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
  • কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে শুল্ক প্রত্যাহার না হলে শিল্পখাতে প্রতি মাসে ২৫ কোটি ডলারের অতিরিক্ত খরচ হবে, যেখানে উদ্যোক্তাদের লাভ মাত্র ৩–৪%।
  • ড. ইউনুসকে সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

ফারুক হাসান (সমন্বয়কারী ও সাবেক সভাপতি)

  • LDC সুবিধা উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএ সহায়ক কমিটির সদস্য আসিফ আশরাফ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম।