১১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১ লাখ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে স্লোগানের আলো ও অন্ধকার : ইতিহাস মনে রাখে যে ধ্বনি বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙে বাতাসে, মাজার ভাঙে অজ্ঞাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি সফরে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা কেন সঙ্গী ড্রোন হামলায় সুদানের মসজিদে নিহত ৭৮ জন সাইবার হামলায় ইউরোপে এয়ার ইন্ডিয়ার চেক-ইন ব্যাহত অনুপাতভিত্তিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে : মান্না’র সর্তকবানী রণক্ষেত্রে (পর্ব-১০৫) সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার: সূচক ও লেনদেন কমেছে, বিনিয়োগকারীদের হতাশা বিজয়ে আস্থা থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে চান কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিনের প্রশ্ন

সুবিধাজনক ফ্রি-ট্রেডাররা

  • Sarakhon Report
  • ১২:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 103

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ডেমোক্র্যাট ফ্রি-ট্রেডারদের দ্বৈত চরিত্র

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষণা করেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ব,” তবে একই সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কবৃদ্ধি শ্রমিক ও কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেছেন। এর ফলে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মুক্ত-বাণিজ্যের পক্ষে টোন এবং মি-টু-শুল্ক-প্রতিরোধী বক্তব্য দু’ই বক্তৃতায় মিশছে।

দ্বৈত মানদণ্ড: নিউসম ও ওয়ারেনের উদাহরণ

নিউসম যদি সত্যিই পরিবেশ ও ভোক্তাদের পক্ষে থাকতেন, তাহলে মাংস ও ডিম আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে সস্তা ফসিল-ইউনিট শক্তি আনার বাধা কমাতেন। কিন্তু তা করেননি। অন্যদিকে, ম্যাসাচুসেটস সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ট্রাম্পের শুল্ককে “অর্থনৈতিক ধ্বংস” বলেন, তবে ২০১৯ সালে “অর্থনৈতিক দেশপ্রেম” নাম নিয়ে পরিবেশ ও কর্মসংস্থান নীতি না মানা দেশের বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক কৌশল বনাম আইনি পথ

যদি ডেমোক্র্যাটরা সত্যিই শুল্কবিরোধী লড়াই চান, তারা IEEPA (International Emergency Economic Powers Act) ব্যবহার করে সরাসরি মামলা করতে পারতেন। তাছাড়া, বাইডেন প্রশাসনের আমলেই কংগ্রেসে আইন পাস করিয়ে এই ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দিতে পারত—but তারা করেনি, কারণ প্রতিভাগুলো নীতিগত নয়, রাজনৈতিক স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

শ্রম ইউনিয়নের সমর্থন ও বাধা

ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্সের মতো মহান শ্রম ইউনিয়নগুলো ট্রাম্পের গাড়ি শুল্ককে “জাতীয় নিরাপত্তা” বলে সমর্থন করেছে। বড় শ্রম গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতারা কঠিন অবস্থান নিতে পারেনি, ফলে রাজনৈতিক ইভেন্টে সত্যিকারের বিরোধিতার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

IEEPA ক্ষমতা ও এর ইতিহাস

১৯৩০ সালের স্মুট-হাউলি আইনের পর কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে সীমিত সময়ের নিরাপত্তা-ভিত্তিক শুল্ক আরোপের অধিকার দিয়েছে, একই সঙ্গে বৈদেশিক সরবরাহ নিয়ে দরকষাকষি ক্ষমতা সঙ্কুচিত করেছে। ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, ওয়াশিং মেশিন ও সৌর প্যানেলে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা বাইডেনও বেশিরভাগই বজায় রেখেছেন।

কংগ্রেসের প্রয়াস ও ব্যর্থতা

২০১৯ সালে সিনেটর টম কারপার ও প্যাট টুমি IEEPA-ভিত্তিক শুল্ক আরোপ বন্ধের জন্য যে বিল পেশ করেছিলেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতে পাশ হলেও ট্রাম্প পিছু হটার পর বিল বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২০২২ সালে চিপস অ্যাক্টে একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ডেমোক্র্যাট নেতাদের অনাগ্রহে তা সফল হয়নি।

ভবিষ্যতের কার্বন শুল্ক’ ধারণা

বাইডেন ২০২০ প্রচারকালে কার্বন-নিট ইনটেনসিভ আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন, ওয়্যারেনও সমর্থন করেছিলেন। তবে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কায় তা কার্যকর হয়নি। এর পরও ডেমোক্র্যাটরা এই হাতিয়ার ভবিষ্যতে রাখতে চান, তাই শুল্ক ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে ইচ্ছুক নন।

উপসংহার

নিউসম, ওয়ারেনসহ যারা শুল্কবিরোধী বার্তা দিচ্ছেন, তারা ভালোভাবেই বুঝেন—আদালতে মামলা করাই একমাত্র কার্যকর পথ। কিন্তু রাজনৈতিক হিসেব ও শ্রম ইউনিয়নের স্বার্থে তারা আইনি লড়াই থেকে দূরে রয়েছেন। সত্যিকারের শুল্কবিরোধী উদ্যোগ নিতে চাইলে আদালতের দ্বারপ্রান্তে রাখতে হবে।

১ লাখ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়রা

সুবিধাজনক ফ্রি-ট্রেডাররা

১২:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ডেমোক্র্যাট ফ্রি-ট্রেডারদের দ্বৈত চরিত্র

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষণা করেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ব,” তবে একই সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কবৃদ্ধি শ্রমিক ও কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেছেন। এর ফলে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মুক্ত-বাণিজ্যের পক্ষে টোন এবং মি-টু-শুল্ক-প্রতিরোধী বক্তব্য দু’ই বক্তৃতায় মিশছে।

দ্বৈত মানদণ্ড: নিউসম ও ওয়ারেনের উদাহরণ

নিউসম যদি সত্যিই পরিবেশ ও ভোক্তাদের পক্ষে থাকতেন, তাহলে মাংস ও ডিম আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে সস্তা ফসিল-ইউনিট শক্তি আনার বাধা কমাতেন। কিন্তু তা করেননি। অন্যদিকে, ম্যাসাচুসেটস সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ট্রাম্পের শুল্ককে “অর্থনৈতিক ধ্বংস” বলেন, তবে ২০১৯ সালে “অর্থনৈতিক দেশপ্রেম” নাম নিয়ে পরিবেশ ও কর্মসংস্থান নীতি না মানা দেশের বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক কৌশল বনাম আইনি পথ

যদি ডেমোক্র্যাটরা সত্যিই শুল্কবিরোধী লড়াই চান, তারা IEEPA (International Emergency Economic Powers Act) ব্যবহার করে সরাসরি মামলা করতে পারতেন। তাছাড়া, বাইডেন প্রশাসনের আমলেই কংগ্রেসে আইন পাস করিয়ে এই ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দিতে পারত—but তারা করেনি, কারণ প্রতিভাগুলো নীতিগত নয়, রাজনৈতিক স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

শ্রম ইউনিয়নের সমর্থন ও বাধা

ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্সের মতো মহান শ্রম ইউনিয়নগুলো ট্রাম্পের গাড়ি শুল্ককে “জাতীয় নিরাপত্তা” বলে সমর্থন করেছে। বড় শ্রম গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতারা কঠিন অবস্থান নিতে পারেনি, ফলে রাজনৈতিক ইভেন্টে সত্যিকারের বিরোধিতার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

IEEPA ক্ষমতা ও এর ইতিহাস

১৯৩০ সালের স্মুট-হাউলি আইনের পর কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে সীমিত সময়ের নিরাপত্তা-ভিত্তিক শুল্ক আরোপের অধিকার দিয়েছে, একই সঙ্গে বৈদেশিক সরবরাহ নিয়ে দরকষাকষি ক্ষমতা সঙ্কুচিত করেছে। ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, ওয়াশিং মেশিন ও সৌর প্যানেলে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা বাইডেনও বেশিরভাগই বজায় রেখেছেন।

কংগ্রেসের প্রয়াস ও ব্যর্থতা

২০১৯ সালে সিনেটর টম কারপার ও প্যাট টুমি IEEPA-ভিত্তিক শুল্ক আরোপ বন্ধের জন্য যে বিল পেশ করেছিলেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতে পাশ হলেও ট্রাম্প পিছু হটার পর বিল বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২০২২ সালে চিপস অ্যাক্টে একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ডেমোক্র্যাট নেতাদের অনাগ্রহে তা সফল হয়নি।

ভবিষ্যতের কার্বন শুল্ক’ ধারণা

বাইডেন ২০২০ প্রচারকালে কার্বন-নিট ইনটেনসিভ আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন, ওয়্যারেনও সমর্থন করেছিলেন। তবে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কায় তা কার্যকর হয়নি। এর পরও ডেমোক্র্যাটরা এই হাতিয়ার ভবিষ্যতে রাখতে চান, তাই শুল্ক ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে ইচ্ছুক নন।

উপসংহার

নিউসম, ওয়ারেনসহ যারা শুল্কবিরোধী বার্তা দিচ্ছেন, তারা ভালোভাবেই বুঝেন—আদালতে মামলা করাই একমাত্র কার্যকর পথ। কিন্তু রাজনৈতিক হিসেব ও শ্রম ইউনিয়নের স্বার্থে তারা আইনি লড়াই থেকে দূরে রয়েছেন। সত্যিকারের শুল্কবিরোধী উদ্যোগ নিতে চাইলে আদালতের দ্বারপ্রান্তে রাখতে হবে।