সারাক্ষণ রিপোর্ট
আজ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও বাকি বিশ্ব একেবারে ছুরির ধারায় দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছেন, বেইজিং পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
লেনদেন নয়, কৌশল
এখানে কোনো আদর্শের লড়াই বা তাত্ত্বিক বিবাদ নেই, বরং বাণিজ্য-রাজনীতিতে লেনদেন চলছে। ট্রাম্পের চীন নীতি আদর্শগত নয়—তার একটাই লক্ষ্য, ‘জয়’ অর্জন করা।

পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি
গত কয়েক দশকে ‘সম্পৃক্তি’ বনাম ‘বিচ্ছিন্নতা’ দুই পথই ব্যর্থ হয়েছে। এখন দরকার এক শান্ত, সুচিন্তিত কৌশল যা আবেগের বাইরে। নির্বিকার পর্যবেক্ষকের মতো গোপনে দেখা, সময় পেলে নিশ্চিত আক্রমণ—এভাবে প্রভাব বাড়াতে হবে।
শিল্পায়ন জরুরি
যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল আর্থিক খাতে শক্তিশালী হলেও কারখানাগুলো ঢেলে সাজায়নি। চীন ২০০৮–এর পর অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও কারখানা নিয়ে কাজ করেছে। ফলস্বরূপ, আমেরিকার সরবরাহশৃঙ্খলে ফাঁক, অপরিহার্য জিনিসের ওপর ভরসা ও স্থানীয় উৎপাদন কমেছে। তাই এখনই শিল্পায়ন বাড়ানো দরকার।

ঝুঁকি-মতো সুযোগ
পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হলে শিল্পায়ন ধীর, ব্যয়বহুল ও কঠিন হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এতে সুযোগও হারাবে। তাই ‘সব কিছু থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া’ নয়, বরং শর্তসাপেক্ষ যৌথ লেনদেনের মাধ্যমে ঝুঁকি সামলে সুযোগ নিতে হবে।
যৌথ উদ্যোগ
চীন আর আগের মতো কঠোর নয়—এখন ভোক্তা বাজার, বেসরকারি খাত ও পুঁজি বাজার শক্তিশালী করছে। আমেরিকাকেও চীনের ওপর ‘সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা’ ত্যাগ করে ঝুঁকি-সুযোগের ভারসাম্য দেখতে হবে। পারস্পরিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ভাগ করে নেওয়া এবং শ্রমশক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে দুই পক্ষই লাভবান হতে পারে।

উপসংহার
প্রত্যেক কার্যকর নীতি ঝুঁকি-সচেতনই হয়—নিয়ম, পারস্পরিকতা ও স্বচ্ছ নিরীক্ষার ওপর ভর করে। আজকের দিনে আবেগপ্রবণ বিচ্ছিন্নতা নয়, বরং শীতল, বাস্তবভিত্তিক কৌশলই সফল হবে। নির্বিকার পর্যবেক্ষকের মতো ধৈর্য ধরে নজর রাখুন, সময় পেলে নিশ্চিত আঘাত করুন—এটাই নতুন যুগের কৌশল।
Sarakhon Report 



















