সারাক্ষণ রিপোর্ট
সিনেটর রন জনসনের নতুন উদ্যোগ
উইসকনসিনের রিপাবলিকান সিনেটর রন জনসন সাম্প্রতিক একটি ডানপন্থি পডকাস্টে অংশ নিয়ে দাবি করেছেন যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সময় নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কমপ্লেক্সের একটি ভবন “নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে” ধ্বংস করা হয়েছিল। এরপরই তিনি ২৫ বছর আগের ওই ঘটনার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক শুনানি আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তদন্ত ক্ষমতা ও সাবকমিটির ভবিষ্যৎ
জনসন এখন সিনেট পার্মানেন্ট সাবকমিটি অন ইনভেস্টিগেশনের চেয়ারম্যান, যেটি অতীতে যুদ্ধকালীন মুনাফাখোরি, সংগঠিত অপরাধ ও ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট নিয়ে উচ্চপ্রোফাইল তদন্ত করেছে। এ পদে থেকে তিনি যেকোনো বিষয় খতিয়ে দেখার বিস্তৃত ক্ষমতা রাখেন।
বিল্ডিং ৭ ঘিরে বিতর্ক
পডকাস্টে জনসন দাবি করেন যে, টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার পর ওয়াল স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত বিল্ডিং ৭ ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরকের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, টাওয়ার থেকে পড়ে আসা জ্বলন্ত ধ্বংসস্তুপে ঘন্টার পর ঘন্টা অগ্নিকাণ্ড চলায় ভবনটি শক্তি ধরে রাখতে পারেনি। তবু “জেট ফুয়েল স্টিল গলায় না” ধরনের স্লোগান ছড়িয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে ওই ভবনে সিআইএ-র একটি কার্যালয় থাকায়।
‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ তদন্তের অভিযোগ
একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রামাণ্যচিত্রের পক্ষে জনসন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST)-র অনুসন্ধান “দুর্নীতিগ্রস্ত” ছিল। তাঁর প্রশ্ন, “আসলে কী ঘটেছিল? কী ঢাকা দেওয়া হয়েছে?” জনসনের দাবি, মার্কিন সরকার ৯/১১ সম্পর্কে অনেক তথ্য লুকিয়ে রেখেছে।
অতীতের নজরদারি ও বর্তমান লক্ষ্য
কংগ্রেস ইতিপূর্বে অনেক শুনানি ও একটি স্বাধীন দ্বিদলীয় কমিশনের মাধ্যমে ৯/১১-এর গোয়েন্দা ত্রুটি ও সৌদি আরবের সম্ভাব্য জড়িততা পর্যালোচনা করেছে। তবে জনসন নতুন করে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে চান, যদিও তাঁর সময়সূচি এখনো নির্ধারিত নয়; তা নির্ভর করবে তাঁর কার্যালয় কতটা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে তার উপর।
‘কভার-আপ’ ধারণা ও সমালোচনা
জানুয়ারি ৬ ক্যাপিটল হামলা নিয়েও জনসনের অভিযোগ, ঘটনাটি “বড় ধরনের গোপন প্রচেষ্টা”র অংশ। নিজেকে ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক বলা হয়—এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমেই সত্য গোপন রাখা হয়।” তার এই অবস্থান ও শুনানি পরিকল্পনা নিয়ে সিনেট ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।