১১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১ লাখ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে স্লোগানের আলো ও অন্ধকার : ইতিহাস মনে রাখে যে ধ্বনি বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙে বাতাসে, মাজার ভাঙে অজ্ঞাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি সফরে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা কেন সঙ্গী ড্রোন হামলায় সুদানের মসজিদে নিহত ৭৮ জন সাইবার হামলায় ইউরোপে এয়ার ইন্ডিয়ার চেক-ইন ব্যাহত অনুপাতভিত্তিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে : মান্না’র সর্তকবানী রণক্ষেত্রে (পর্ব-১০৫) সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার: সূচক ও লেনদেন কমেছে, বিনিয়োগকারীদের হতাশা বিজয়ে আস্থা থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে চান কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিনের প্রশ্ন

এই অর্থবছরের ছয় মাসে বেকার ৪% শ্রমিক, শিল্পে যন্ত্রপাতি আমদানি-ঋণপত্র কমেছে ৩০%

  • Sarakhon Report
  • ০৫:০০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 187

সারাক্ষণ রিপোর্ট

­­ সারসংক্ষেপ

  • টানা তিন অর্থবছর ধরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে; চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এলসি আরও ৩০ শতাংশ নেমে ১ ১৫ কোটি ডলারে থেমেছে।
  • একই সময়ে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ .৮২ শতাংশ—২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
  • অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের মতে, বিনিয়োগ স্থবিরতা, উচ্চ সুদহার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা একসাথে নতুন শিল্প স্থাপনা ও কর্মসংস্থানকে ধীর করে দিচ্ছে।

কেন কমছে যন্ত্রপাতির এলসি

বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় লাগে আমদানিনির্ভর মূলধনি যন্ত্রপাতি। তিন বছর আগে যেখানে এক অর্থবছরে ৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, এবার সেই অঙ্ক ১ বিলিয়নের ঘরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪-এ ২৪ শতাংশ কমার পরও ওই সময়ের আট মাসে ১ ৬৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল; চলতি অর্থবছরে সেই অঙ্ক ৩০ .১০ শতাংশ কমে গেছে।

ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নগতি

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ .৮২ শতাংশে নেমেছে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন। মুদ্রানীতিতে ধরা ৯ .৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাও অধরা। ঋণ প্রবৃদ্ধি কমায় বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান দুই-ই থমকে আছে।

ব্যাংকারদের উদ্বেগ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি  ব্যাংকের এমডি বলেন , এলসি ও ঋণ দুটিই ৩০ শতাংশের বেশি কমেছে—এটি অর্থনীতির জন্য তীব্র সতর্ক সংকেত। ইতিবাচক গতিপথে ফিরতে হলে এই দুই খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ফেরানো জরুরি।

উচ্চ সুদ ও অনিশ্চয়তার চাপ

ব্যাংক ঋণের সুদহার এখন প্রায় ১৫ শতাংশে; রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের ‘অপেক্ষা-দেখি’-তে ঠেলে দিয়েছে। অন্তত দুই ডজন ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে, ফলে বিনিয়োগে অর্থ জোগানও কঠিন।

শ্রমবাজার ও দারিদ্র্য: বিশ্বব্যাংকের সতর্কতা

‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৪ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারিয়েছে; উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মজুরি কমেছে। বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, আরও ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

সামনে কী

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আসলেই বিনিয়োগ গতি পাবে। এখন দরকার সুদহার, ডলার জোগান ও নীতিগত স্পষ্টতার দ্রুত সমাধান—যাতে শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিত হয়ে নতুন প্রকল্পে হাত দিতে পারেন, আর কর্মসংস্থানও বাড়ে।

১ লাখ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয়রা

এই অর্থবছরের ছয় মাসে বেকার ৪% শ্রমিক, শিল্পে যন্ত্রপাতি আমদানি-ঋণপত্র কমেছে ৩০%

০৫:০০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

­­ সারসংক্ষেপ

  • টানা তিন অর্থবছর ধরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে; চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এলসি আরও ৩০ শতাংশ নেমে ১ ১৫ কোটি ডলারে থেমেছে।
  • একই সময়ে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ .৮২ শতাংশ—২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
  • অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের মতে, বিনিয়োগ স্থবিরতা, উচ্চ সুদহার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা একসাথে নতুন শিল্প স্থাপনা ও কর্মসংস্থানকে ধীর করে দিচ্ছে।

কেন কমছে যন্ত্রপাতির এলসি

বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় লাগে আমদানিনির্ভর মূলধনি যন্ত্রপাতি। তিন বছর আগে যেখানে এক অর্থবছরে ৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, এবার সেই অঙ্ক ১ বিলিয়নের ঘরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪-এ ২৪ শতাংশ কমার পরও ওই সময়ের আট মাসে ১ ৬৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল; চলতি অর্থবছরে সেই অঙ্ক ৩০ .১০ শতাংশ কমে গেছে।

ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নগতি

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬ .৮২ শতাংশে নেমেছে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন। মুদ্রানীতিতে ধরা ৯ .৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাও অধরা। ঋণ প্রবৃদ্ধি কমায় বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান দুই-ই থমকে আছে।

ব্যাংকারদের উদ্বেগ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি  ব্যাংকের এমডি বলেন , এলসি ও ঋণ দুটিই ৩০ শতাংশের বেশি কমেছে—এটি অর্থনীতির জন্য তীব্র সতর্ক সংকেত। ইতিবাচক গতিপথে ফিরতে হলে এই দুই খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ফেরানো জরুরি।

উচ্চ সুদ ও অনিশ্চয়তার চাপ

ব্যাংক ঋণের সুদহার এখন প্রায় ১৫ শতাংশে; রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের ‘অপেক্ষা-দেখি’-তে ঠেলে দিয়েছে। অন্তত দুই ডজন ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে, ফলে বিনিয়োগে অর্থ জোগানও কঠিন।

শ্রমবাজার ও দারিদ্র্য: বিশ্বব্যাংকের সতর্কতা

‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৪ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারিয়েছে; উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মজুরি কমেছে। বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, আরও ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

সামনে কী

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আসলেই বিনিয়োগ গতি পাবে। এখন দরকার সুদহার, ডলার জোগান ও নীতিগত স্পষ্টতার দ্রুত সমাধান—যাতে শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিত হয়ে নতুন প্রকল্পে হাত দিতে পারেন, আর কর্মসংস্থানও বাড়ে।