মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

সব সময় বস ইজ অলওয়েজ রাইট নয়

  • Update Time : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০.০০ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

কেন বসের সঙ্গে মতবিরোধ করা কঠিন

বসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা মানে সরাসরি ক্ষমতার ভারসাম্যের মুখোমুখি হওয়া। আপনি হয়তো মনে করেন তাঁর কৌশল বাস্তবে কার্যকর নয়, কিন্তু পথ চলতে গিয়েই সেটি ভুল প্রমাণিত হবে—এমন অবস্থায় কি করে বিনয়ের সঙ্গেই আপনার সন্দেহ প্রকাশ করবেন, তা নিয়েই মূল জটিলতা।

শক্তিশালী মানসিক বাধা চিনে নিন

– অধিকর্তা-আধীনতার কারণে অনুমোদনহীন বিপরীতমত এক ধরণের হুমকির মতো লাগে।
– আমাদের মস্তিষ্ক ছোটবেলায় অভিভাবক বা শিক্ষকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অসুবিধাজনক মুহূর্তের স্মৃতিতে এই ধরণের কথোপকথনকে ‘হুমকি’ হিসাবেই চিহ্নিত করে, যার ফলে নার্ভাসনেস ও অস্বস্তি তৈরি হয়।

বিরোধিতাকে প্রয়োজনীয় বলে দেখুন

– প্রতিষ্ঠান ঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কখনো কখনো কঠিন কথাও বলতে হয়।
– বস যতই উপরে উঠুন, দিন-প্রতি-দিনের বাস্তবতার সাথে তাঁর সংযোগ তত কমে যায়—সেখানে আপনিই হবেন ‘সত্যের কণ্ঠস্বর’।
– আপনি কথা বললে গোপনে ভাবা ভুলগুলো প্রকাশ পায়, আর এতে সময় ও অর্থ বাঁচে।

সেবাকারী অংশীদার মনে নিজেকে দেখতে শিখুন

– সাবর্ডিনেটের বদলে ‘বিশ্বাসযোগ্য উপদেষ্টা’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করুন।
– আপনার অভিজ্ঞতা, দায়িত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা মাথায় রেখে ‘পুশব্যাক পাওয়ার’ মূল্যায়ন করুন।

সময় ও জায়গা সাবধানে বাছাই করুন

– তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদে উত্তাপ বাড়তে পারে।
– একান্ত আলোচনার সুযোগ (যেমন এক-তালিকায় পরবর্তী একান্ত বৈঠক) অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
– হঠাৎ করেই শুক্রবার বিকেলে হলের মধ্যে বসের পথরোধ করবেন না।

বসের স্বাভাবিক কাজকর্ম ও অগ্রাধিকার বুঝে ধরণ ঠিক করুন

– কেউ সরাসরি কথা পছন্দ করেন, কেউ নরম আভাস ভালো মেনে নেন।
– উদাহরণ: “আমি ভাবছি, এটা কর্মীরা ক্লান্ত করে দেবে” বা “আমি চিন্তা করছি, এতে বাজেট অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাড়তে পারে”—দুটি আলাদা আঙ্গিক।

আগে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে শুরু করুন

– সরাসরি সমালোচনা না করে কৌতূহলপূর্বক খোঁজ করুন:

  • “এই সিদ্ধান্তে কোন ফ্যাক্টরগুলো প্রাধান্য পেয়েছে?”
  • “আপনি কার সঙ্গে আলোচনা করেছেন?”
    – এতে বস বুঝবেন আপনি সহযোগিতাপরায়ণ ইচ্ছাই নিয়ে কথা বলছেন।

অতীতের ভুল নয়ভবিষ্যতের সমাধান নিয়ে কথা বলুন

– পুরনো ঘটনার পুনর্চর্চা না করে বলুন, “আগামীবার কীভাবে আরও ভালো করা যাবে?”
– উদাহরণ: “পরবর্তী মিটিংয়ে স্পিকারদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে রাখলে আমাদের দক্ষতা পুরোপুরি তুলে ধরতে সুবিধা হবে।”

সন্ত্রস্ত প্রতিক্রিয়ায় সংযম বজায় রাখুন

– বস যদি বলে, “তুমি আমাকে ছোট করছ,” তাহলে জবাব দিন:
“আমি দলীয় ফলাফল বাড়াতে বলছি—that’s why I’m bringing this up.”
– একটু শ্বাস-নিয়ে বা ব্রেক নিলে মন শান্ত হয়।

বিকল্প উদ্যোগ প্রস্তাব করুন

– “আমার প্রস্তাব পুরোপুরি নাও মানতে পারেন, তবে চলুন একটা পাইলট চালাই” ধরনের নমনীয়তা দেখান।
– এভাবে বুঝবে, আপনার মতামত শুধুই বাতিল করা যাবে না।

কখন থামবেন তা জানুন

– বসের অগ্রহণযোগ্য মনোভাব থাকলে বড় লড়াই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক।
– সব লড়াই করা প্রয়োজনীয় নয়—নৈতিক বা আইনি সংকটে না পড়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিন।

প্রতিক্রিয়া থেকে শেখার সময়

– চেষ্টা বিফল হলে ঠাণ্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করুন:

  • কোথায় ঠিক হল, কোথায় আরও বেটার হতো?
    – পরেরবারের জন্য রণনীতি সাজিয়ে নিন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024