ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ভাগটির আজতেকীয় নাম হল কামপানন্স (Campana)। গোটা শহরকে খাল বা ছোট নদীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী শহর ও অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করা সহজ হয়েছিল।
তবে এই সঙ্গে একথাও বলা ভাল যে রাজধানী শহর তেনোচতিতলান একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে কিছুটা লোকাচার-এরও সম্পর্ক আছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে খাট মিটার উঁচু একটি পিরামিড আছে।
বাড়িঘর-এর পরিকল্পনাও খুব সরল ও ছিমছাম। সাধারণত কাঠ এবং আঁশযুক্ত মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। বাড়ির ছাদ করা হয় বাঁশ-এর মণ্ড দিয়ে। তবে এই বাড়িঘর বাদে পিরামিড, মন্দির এবং অট্রালিকা সাধারণভাবে নানা আকারের পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল মন্দির-পিরামিডের এই স্থাপত্য শৈলীর সবটাই নিজস্ব ভাবনা-চিন্তার ফসল। বিদেশী ধারণা বা পশ্চিমী স্থাপত্যর থেকে ধার করে আনা নয়।
(চলবে)
আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৪)