ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
তার ফলে স্থাপত্য-সৌকর্যর কোনরকম অভাব নেই। প্রতিবছর লাতিন আমেরিকা, উত্তর মধ্য আমেরিকাসহ ইউরোপের কিছু দেশ থেকে পর্যটকরা এই স্থাপত্য শৈলী দেখে খুশী হন। স্থাপত্য শিল্পের পাশাপাশি উপত্যকাকে ব্যবহার করার দক্ষতাও দেখার মত।
দ্বীপের চারপাশে সমতলভূমি বা চিনামপা তট (Cinampa beds) এর জনি বানিয়ে সেখানে খাদ্যশস্য ফলানোর চেষ্টা করা হয়। এই চিনামপাতটকে কেউ কেউ মজা করে ভ্রাম্যমান বাগান (Floating gardens) ও বলেন। এই ফলনশীল উপত্যকা বা তট তৈরীর জন্য আজতেকরা নিজেদের কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত করেছিল।
এই উন্নত কৃষি পদ্ধতির ফলে বছরে সাতবার ফলনও করতে পারত। বর্তমান হিসাব থেকে জানা যায় প্রতি হেক্টর চিনামপা জমির উৎপাদিত ফসলে উনিশজন-এর খাবার হত। মোটামুটিভাবে বলা যায় নয় হাজার হেক্টর চিনামপা এক লক্ষ আশি হাজার মানুষের খাবারের জোগান দেয়।
(চলবে)