সত্যেন্দ্রকুমার বসু
ভিক্ষু অসাধু হলে নির্বাসিত হন। তাঁর দূতরা রাজকার্যে সর্বদাই যাতায়াত করে। লোকের স্বভাব পরীক্ষা করবার জন্যে তিনি লোকের সঙ্গে মেশেন। রাজধানী ছেড়ে যেখানেই যান, একটি সদ্যপ্রস্তুত আবাসে থাকেন। বর্ষার তিন মাস সফরে যান না। সফরের প্রাসাদে সর্বদাই সব ধর্মাবলম্বীকেই ভোজ্য দেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা হয়তো সংখ্যায় এক হাজার হলেন, ব্রাহ্মণরা পাঁচ শত। প্রত্যেক দিনমান তিনি তিন ভাগ করেন। প্রথম ভাগে রাজকার্য করেন। দ্বিতীয় ভাগে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুণ্য কাজে লিপ্ত থাকেন।’
হর্ষবর্ধন তাঁর তাম্রশাসনগুলিতে নিজেকে শৈব ব’লে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ৬০৬ খৃস্টাব্দ থেকে ৬৪৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। হয়তো জীবনের শেষভাগে তিনি বৌদ্ধ বা বৌদ্ধভাবাপন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু হিউএনচাঙের কথায়ই বোঝা যায় যে, কোনো ধর্মেই তাঁর বিদ্বেষ ছিল না।
এইবারে কান্যকুজে হিউএনচাঙ সম্রাটের সাক্ষাৎ পান নি। হয়তো তিনি রাজধানীতে ছিলেন না। যাহোক ৬৩৬ খৃস্টাব্দে তিন মাস হিউএনচাঙ এখানে ভদ্র-বিহার মঠে থেকে আচার্য বীর্যসেনের কাছে ত্রিপিটক গ্রন্থগুলির ভাষ্য আবার পাঠ করেন।
(চলবে)