০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন

হিউএনচাঙ (পর্ব-৮৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • 126

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

ভিক্ষু অসাধু হলে নির্বাসিত হন। তাঁর দূতরা রাজকার্যে সর্বদাই যাতায়াত করে। লোকের স্বভাব পরীক্ষা করবার জন্যে তিনি লোকের সঙ্গে মেশেন। রাজধানী ছেড়ে যেখানেই যান, একটি সদ্যপ্রস্তুত আবাসে থাকেন। বর্ষার তিন মাস সফরে যান না। সফরের প্রাসাদে সর্বদাই সব ধর্মাবলম্বীকেই ভোজ্য দেন।

বৌদ্ধ ভিক্ষুরা হয়তো সংখ্যায় এক হাজার হলেন, ব্রাহ্মণরা পাঁচ শত। প্রত্যেক দিনমান তিনি তিন ভাগ করেন। প্রথম ভাগে রাজকার্য করেন। দ্বিতীয় ভাগে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুণ্য কাজে লিপ্ত থাকেন।’

হর্ষবর্ধন তাঁর তাম্রশাসনগুলিতে নিজেকে শৈব ব’লে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ৬০৬ খৃস্টাব্দ থেকে ৬৪৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। হয়তো জীবনের শেষভাগে তিনি বৌদ্ধ বা বৌদ্ধভাবাপন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু হিউএনচাঙের কথায়ই বোঝা যায় যে, কোনো ধর্মেই তাঁর বিদ্বেষ ছিল না।

এইবারে কান্যকুজে হিউএনচাঙ সম্রাটের সাক্ষাৎ পান নি। হয়তো তিনি রাজধানীতে ছিলেন না। যাহোক ৬৩৬ খৃস্টাব্দে তিন মাস হিউএনচাঙ এখানে ভদ্র-বিহার মঠে থেকে আচার্য বীর্যসেনের কাছে ত্রিপিটক গ্রন্থগুলির ভাষ্য আবার পাঠ করেন।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৮৩)

০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

ভিক্ষু অসাধু হলে নির্বাসিত হন। তাঁর দূতরা রাজকার্যে সর্বদাই যাতায়াত করে। লোকের স্বভাব পরীক্ষা করবার জন্যে তিনি লোকের সঙ্গে মেশেন। রাজধানী ছেড়ে যেখানেই যান, একটি সদ্যপ্রস্তুত আবাসে থাকেন। বর্ষার তিন মাস সফরে যান না। সফরের প্রাসাদে সর্বদাই সব ধর্মাবলম্বীকেই ভোজ্য দেন।

বৌদ্ধ ভিক্ষুরা হয়তো সংখ্যায় এক হাজার হলেন, ব্রাহ্মণরা পাঁচ শত। প্রত্যেক দিনমান তিনি তিন ভাগ করেন। প্রথম ভাগে রাজকার্য করেন। দ্বিতীয় ভাগে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুণ্য কাজে লিপ্ত থাকেন।’

হর্ষবর্ধন তাঁর তাম্রশাসনগুলিতে নিজেকে শৈব ব’লে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ৬০৬ খৃস্টাব্দ থেকে ৬৪৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। হয়তো জীবনের শেষভাগে তিনি বৌদ্ধ বা বৌদ্ধভাবাপন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু হিউএনচাঙের কথায়ই বোঝা যায় যে, কোনো ধর্মেই তাঁর বিদ্বেষ ছিল না।

এইবারে কান্যকুজে হিউএনচাঙ সম্রাটের সাক্ষাৎ পান নি। হয়তো তিনি রাজধানীতে ছিলেন না। যাহোক ৬৩৬ খৃস্টাব্দে তিন মাস হিউএনচাঙ এখানে ভদ্র-বিহার মঠে থেকে আচার্য বীর্যসেনের কাছে ত্রিপিটক গ্রন্থগুলির ভাষ্য আবার পাঠ করেন।

(চলবে)