০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • 115

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে লীলাবতীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ১২ তম শ্লোক বলেছেন:

“কাৰ্য্যঃ ক্রমাছক্ত মতোহথবাঙ্গযোগো যথাস্থানক মন্তরংবা।”

অর্থাৎ সংখ্যাগুলির যোগ তাহাদেয় স্থানের অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে এবং বিয়োগ তাহাদের পার্থক্য অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে।?
নিয়মটি বলার পর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-

“অয়ে বালে লীলাবতি মতিমতি ক্রহি সহিতান্ দ্বিপঞ্চ দ্বাত্রিংশৎ ত্রিনবতি শতাষ্টাদশ দশ। শতো পেতানেতানযুত বিযুতাংশ্চাপি বদমে যদি বঙ্গে যুক্তি ব্যবকলন মার্গেইসি কুশলা।

অর্থাৎ হে বুদ্ধিমতি কন্যে লীলাবতি! যদি তুমি যোগ ও বিয়োগ ব্যাপারে দক্ষা হও, তাহা হইলে বল-দুই, পাচ, বত্রিশ, একশত তিরানব্বই, আঠার দশ ও একশত
সংখ্যার যোগফল কত? এবং অযুত হইতে এই যোগফল বিয়োগ দিলে কত -থাকিবে?

অর্থাৎ ২+৫+৩২+১৯৩+১৮+১০+১০০=৩৬০

১০০০০-৩৬০=৯৬৪।

মহাসিদ্ধান্তে দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:

‘সংখ্যাবতাং বহু নামেকীকরণং তদেব সঙ্কলিতম্।
যতপান্তং সর্বধনাত, তদ্বব্যবকলিতং তু শেষকং শেষম্ ।’

এটির অর্থ অত্যন্ত সরল, অতএব ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৭)

০৩:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে লীলাবতীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ১২ তম শ্লোক বলেছেন:

“কাৰ্য্যঃ ক্রমাছক্ত মতোহথবাঙ্গযোগো যথাস্থানক মন্তরংবা।”

অর্থাৎ সংখ্যাগুলির যোগ তাহাদেয় স্থানের অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে এবং বিয়োগ তাহাদের পার্থক্য অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে।?
নিয়মটি বলার পর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-

“অয়ে বালে লীলাবতি মতিমতি ক্রহি সহিতান্ দ্বিপঞ্চ দ্বাত্রিংশৎ ত্রিনবতি শতাষ্টাদশ দশ। শতো পেতানেতানযুত বিযুতাংশ্চাপি বদমে যদি বঙ্গে যুক্তি ব্যবকলন মার্গেইসি কুশলা।

অর্থাৎ হে বুদ্ধিমতি কন্যে লীলাবতি! যদি তুমি যোগ ও বিয়োগ ব্যাপারে দক্ষা হও, তাহা হইলে বল-দুই, পাচ, বত্রিশ, একশত তিরানব্বই, আঠার দশ ও একশত
সংখ্যার যোগফল কত? এবং অযুত হইতে এই যোগফল বিয়োগ দিলে কত -থাকিবে?

অর্থাৎ ২+৫+৩২+১৯৩+১৮+১০+১০০=৩৬০

১০০০০-৩৬০=৯৬৪।

মহাসিদ্ধান্তে দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:

‘সংখ্যাবতাং বহু নামেকীকরণং তদেব সঙ্কলিতম্।
যতপান্তং সর্বধনাত, তদ্বব্যবকলিতং তু শেষকং শেষম্ ।’

এটির অর্থ অত্যন্ত সরল, অতএব ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

(চলবে)