১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • 47

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে লীলাবতীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ১২ তম শ্লোক বলেছেন:

“কাৰ্য্যঃ ক্রমাছক্ত মতোহথবাঙ্গযোগো যথাস্থানক মন্তরংবা।”

অর্থাৎ সংখ্যাগুলির যোগ তাহাদেয় স্থানের অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে এবং বিয়োগ তাহাদের পার্থক্য অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে।?
নিয়মটি বলার পর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-

“অয়ে বালে লীলাবতি মতিমতি ক্রহি সহিতান্ দ্বিপঞ্চ দ্বাত্রিংশৎ ত্রিনবতি শতাষ্টাদশ দশ। শতো পেতানেতানযুত বিযুতাংশ্চাপি বদমে যদি বঙ্গে যুক্তি ব্যবকলন মার্গেইসি কুশলা।

অর্থাৎ হে বুদ্ধিমতি কন্যে লীলাবতি! যদি তুমি যোগ ও বিয়োগ ব্যাপারে দক্ষা হও, তাহা হইলে বল-দুই, পাচ, বত্রিশ, একশত তিরানব্বই, আঠার দশ ও একশত
সংখ্যার যোগফল কত? এবং অযুত হইতে এই যোগফল বিয়োগ দিলে কত -থাকিবে?

অর্থাৎ ২+৫+৩২+১৯৩+১৮+১০+১০০=৩৬০

১০০০০-৩৬০=৯৬৪।

মহাসিদ্ধান্তে দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:

‘সংখ্যাবতাং বহু নামেকীকরণং তদেব সঙ্কলিতম্।
যতপান্তং সর্বধনাত, তদ্বব্যবকলিতং তু শেষকং শেষম্ ।’

এটির অর্থ অত্যন্ত সরল, অতএব ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

(চলবে)

 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৭)

০৩:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে লীলাবতীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ১২ তম শ্লোক বলেছেন:

“কাৰ্য্যঃ ক্রমাছক্ত মতোহথবাঙ্গযোগো যথাস্থানক মন্তরংবা।”

অর্থাৎ সংখ্যাগুলির যোগ তাহাদেয় স্থানের অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে এবং বিয়োগ তাহাদের পার্থক্য অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে।?
নিয়মটি বলার পর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-

“অয়ে বালে লীলাবতি মতিমতি ক্রহি সহিতান্ দ্বিপঞ্চ দ্বাত্রিংশৎ ত্রিনবতি শতাষ্টাদশ দশ। শতো পেতানেতানযুত বিযুতাংশ্চাপি বদমে যদি বঙ্গে যুক্তি ব্যবকলন মার্গেইসি কুশলা।

অর্থাৎ হে বুদ্ধিমতি কন্যে লীলাবতি! যদি তুমি যোগ ও বিয়োগ ব্যাপারে দক্ষা হও, তাহা হইলে বল-দুই, পাচ, বত্রিশ, একশত তিরানব্বই, আঠার দশ ও একশত
সংখ্যার যোগফল কত? এবং অযুত হইতে এই যোগফল বিয়োগ দিলে কত -থাকিবে?

অর্থাৎ ২+৫+৩২+১৯৩+১৮+১০+১০০=৩৬০

১০০০০-৩৬০=৯৬৪।

মহাসিদ্ধান্তে দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:

‘সংখ্যাবতাং বহু নামেকীকরণং তদেব সঙ্কলিতম্।
যতপান্তং সর্বধনাত, তদ্বব্যবকলিতং তু শেষকং শেষম্ ।’

এটির অর্থ অত্যন্ত সরল, অতএব ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

(চলবে)