প্রদীপ কুমার মজুমদার
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে লীলাবতীর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ১২ তম শ্লোক বলেছেন:
“কাৰ্য্যঃ ক্রমাছক্ত মতোহথবাঙ্গযোগো যথাস্থানক মন্তরংবা।”
অর্থাৎ সংখ্যাগুলির যোগ তাহাদেয় স্থানের অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে এবং বিয়োগ তাহাদের পার্থক্য অনুসারে গ্রহণ করিতে হইবে।?
নিয়মটি বলার পর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-
“অয়ে বালে লীলাবতি মতিমতি ক্রহি সহিতান্ দ্বিপঞ্চ দ্বাত্রিংশৎ ত্রিনবতি শতাষ্টাদশ দশ। শতো পেতানেতানযুত বিযুতাংশ্চাপি বদমে যদি বঙ্গে যুক্তি ব্যবকলন মার্গেইসি কুশলা।
অর্থাৎ হে বুদ্ধিমতি কন্যে লীলাবতি! যদি তুমি যোগ ও বিয়োগ ব্যাপারে দক্ষা হও, তাহা হইলে বল-দুই, পাচ, বত্রিশ, একশত তিরানব্বই, আঠার দশ ও একশত
সংখ্যার যোগফল কত? এবং অযুত হইতে এই যোগফল বিয়োগ দিলে কত -থাকিবে?
অর্থাৎ ২+৫+৩২+১৯৩+১৮+১০+১০০=৩৬০
১০০০০-৩৬০=৯৬৪।
মহাসিদ্ধান্তে দ্বিতীয় আর্যভট বলেছেন:
‘সংখ্যাবতাং বহু নামেকীকরণং তদেব সঙ্কলিতম্।
যতপান্তং সর্বধনাত, তদ্বব্যবকলিতং তু শেষকং শেষম্ ।’
এটির অর্থ অত্যন্ত সরল, অতএব ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
(চলবে)